ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
পাকিস্তানের উত্তরে গিলগিট-বালটিস্তানের হুনজা ভ্যালির অধিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হুনজা। তারা পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘজীবী জনগোষ্ঠী বলে দাবি করা হয়। ১৯৭০ সালে ছড়িয়ে পড়া এই দাবির সত্যতা যাচাই করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এরপর তাদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
হুনজা আদিবাসী গোষ্ঠী নিয়ে প্রচলিত দাবিগুলো:
১। এখানকার মানুষের গড় আয়ু ১১০ থেকে ১২০ বছর, অনেকে এখানে ১৬৫ বছরও বাঁচে।
২। হুনজাদের কখনো টিউমার হয়েছে বলে কেউ শোনেনি।
৩। এই জনগোষ্ঠীর মেয়েদের ৬৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত যুবতী মনে হয় এবং এই বয়সেও তাঁরা গর্ভধারণ করতে পারেন।
এই দাবিগুলোর সত্যতা নিয়ে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবি ১: হুনজাদের গড় আয়ু ১১০ থেকে ১২০ বছর, অনেকে এখানে ১৬৫ বছরও বাঁচে
হুনজাদের বয়সের প্রচলিত এই দাবি নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের গবেষকেরা গবেষণা করেছেন। ২০১০ সালে বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক যুক্তরাজ্যের পিয়ার-রিভিউড গবেষণা জার্নাল হিন্দাউইতে মানুষের দীর্ঘায়ু সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বেলজিয়ামের তিন গবেষক। তাঁরা গবেষণাটিতে দীর্ঘায়ু-সম্পর্কিত ১১ ধরনের মিথের কথা তুলে ধরেন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭০ এর দশকে দীর্ঘায়ু-সম্পর্কিত দাবির পুনরুত্থান ঘটে। বিশেষ করে, সোভিয়েত রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলে, পাকিস্তানের হুনজা উপত্যকা ও ইকুয়েডরের ভিলকাবাম্বা উপত্যকায়। তবে ১৯৮০ এর দশকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ধারণাগুলোর স্বরূপ উন্মোচন করা হয় এবং এগুলো মিথ বা প্রচলিত ধারণা হিসেবে প্রমাণিত হয়। যেমন ১৯৭৮ সালে জাপানের শিগেচিও ইজুমির বয়স দাবি করা হয় ১১৩ বছর। পরে ১৯৮৬ সালে ১২০ বছর বয়সে তাঁকে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে ১৯৮৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে জাপানি গবেষকেরা দেখেন, শিগেচিও ইজুমির বয়স ১২০ নয়, বড়জোর ১০৫ বছর হবে।
১৯৩৩ সালে জেমস হিলটন ‘লস্ট হরাইজন’ নামে একটি উপন্যাস লেখেন। সেখানে শাংগ্রি-লা নামে তিব্বতে একটি কাল্পনিক ভূস্বর্গের কথা বলা হয়েছে, যেখানকার বাসিন্দারা সুখী, পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। গবেষণা জার্নাল হিন্দাউইতে হুনজাদের বয়স-সম্পর্কিত ধারণাকে ‘শাংগ্রি-লার’ আধুনিক উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিশ্বাসে মানুষের অনেক বেশি আয়ু পাওয়ার গল্প রয়েছে। যেমন রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলের বাসিন্দারা ১৬৮ বছর পর্যন্ত বাঁচেন। শুধু তা-ই নয়, সেখানে ১২০ বছরের বেশি বয়সী শত শত লোক জীবিত আছে—এমন দাবিও করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, আয়ুর এসব দাবিই প্রমাণ করে, এগুলো কতটা অবাস্তব! আবার দীর্ঘায়ু দাবিদারদের মধ্যে পুরুষই বেশি। যেখানে আধুনিক বিশ্বে নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ধক্য বিশেষজ্ঞ এরডম্যান বাল্লাহ পালমোর দ্য জেরোন্টোলজিস্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় লেখেন, ১৯৭০-এর দশকে রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলে, পাকিস্তানের হুনজা উপত্যকা ও ইকুয়েডরের ভিলকাবাম্বা উপত্যকায় অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ুর বিভিন্ন প্রতিবেদন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই অঞ্চলগুলোতে ব্যাপকসংখ্যক শতবর্ষী মানুষ বেঁচে আছেন এবং এদের কেউ কেউ ১৫০ বছর বা তার বেশি বয়স লাভ করেছেন।
তবে প্রতিবেদনগুলো সংশয়ের সৃষ্টি করে। কারণ, ইকুয়েডরের ভিলকাবাম্বা উপত্যকায় আদমশুমারি চালিয়ে অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ুর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুরূপভাবে রাশিয়ায়ও শতবর্ষী মানুষ বেশি থাকার পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে হুনজাদের ভাষার কোনো লিখিত রূপ না থাকা এবং শিশুদের জন্মনিবন্ধন না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘায়ু প্রাপ্তি নিয়ে কেউ গবেষণা করেনি।
১৯৬১ সালে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হুনজাদের নিয়ে একটি গবেষণায় বলা হয়, হুনজা পুরুষদের সাধারণভাবে ১২০ বা ১৪০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচার দাবিটির কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র নেই। যদিও কারও কারও ক্ষেত্রে এমন বয়স পাওয়া সম্ভব হতে পারে।
জন মেরিয়ন টিয়ার্নি নামের একজন আমেরিকান সাংবাদিক হুনজা ভ্যালি ঘুরে এসে ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন লেখেন। সেখানে তিনি বলেন, হুনজা ভ্যালিতে গিয়ে তাঁদের বয়স-সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাটি ভেঙে গেছে। তাঁদের কোনো জন্মনিবন্ধন নেই। সেখানকার নিরক্ষর লোকজন জানেন না, তাঁদের বয়স কত এবং তাঁদের মধ্যে বয়স বাড়িয়ে বলার প্রবণতা দেখেছেন তিনি।
ওই সাংবাদিক লেখেন, হুনজাতে অস্বাভাবিক বেশি কোনো শতবর্ষী আমি দেখিনি এবং তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁদের ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা, আমাশয়, ম্যালেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও ক্যানসারের মতো রোগে ভুগতে দেখেছি। এ ছাড়া তাঁদের খাদ্যতালিকাতেও আয়োডিনের অপার্যপ্ততা রয়েছে।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত চিকিৎসা গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি জানান, হুনজাদের গড় আয়ু পুরুষের ৫৩ বছর এবং নারীদের ৫২ বছর।
১৯৮৬ সালে ওয়াশিংটন পোস্টেও দীর্ঘায়ু নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলো সম্পর্কে এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়, রাশিয়া, ইকুয়েডর কিংবা পাকিস্তান—যেখানেই দীর্ঘায়ুর দাবি উঠেছে, সেখানে অধিকাংশই বয়স নিয়ে মিথ্যা বলেছেন।
কিন্তু কেন মানুষ বয়স নিয়ে মিথ্যা বলে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সংস্কৃতি যেমন, হুনজাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তিদের খুব সম্মান করা হয়। তাঁদের সংস্কৃতিতে মানুষ যত বুড়ো হয়, তাঁর সম্মান তত বেশি।
অনুসন্ধানে ব্লু জোন নামে একটি পরিভাষা খুঁজে পাওয়া যায়। ব্লু জোন বলতে এমন ভৌগোলিক স্থানকে বোঝায়, যেখানে দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার হার কম এবং মানুষের গড় আয়ু বেশি। পৃথিবীতে এমন পাঁচটি ব্লু জোনের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে সেখানে পাকিস্তানের হুনজা ভ্যালির নাম নেই। ব্লু জোন পাঁচটি হলো ইতালি, গ্রিস, জাপান, কোস্টারিকা ও যুক্তরাষ্ট্র।
হুনজাদের প্রকৃত গড় আয়ু নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নেদারল্যান্ডসের রেডবাউড ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট রিসার্চের ওয়েবসাইটে গিলগিট-বালটিস্তানের বাসিন্দাদের গড় আয়ুর তথ্য পাওয়া যায়। সব শেষ ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী, গিলগিট-বালটিস্তানের বাসিন্দাদের গড় আয়ু ছিল প্রায় ৬৪ বছর।
ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, হুনজাদের গড় আয়ু ১১০ থেকে ১২০ বছর এবং তাঁদের কারও কারও ১৬৫ বছরও বাঁচার দাবিটি মিথ বা প্রচলিত বিশ্বাস, যা মোটামুটি ১৯৭০-এর দশক থেকে প্রচার হয়ে আসছে। দাবিটির সপক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।
দাবি ২: হুনজাদের কখনো টিউমার হয়েছে বলে কেউ শোনেনি
হুনজাদের নিয়ে প্রচলিত দাবিগুলোর আরেকটি হলো, হুনজাদের কখনো টিউমার হয়েছে বলে কেউ শোনেনি। তবে ২০২১ সালে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ জাপানের নৃবিজ্ঞানী কিঞ্জি ইমানিশির লেখা বই ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন হুনজা ভ্যালি’-এর বরাত দিয়ে জানায়, ১৯৫৫ সালে হুনজা ভ্যালিতে জাপানি গবেষকদের একটি পর্যবেক্ষণে ১০ জন হুনজা আদিবাসীর মধ্যে টিউমারের অস্তিত্ব খুঁজে পান। হুনজা উপত্যকার বাসিন্দাদের ক্যানসারমুক্ত হওয়ার গুজব, ভিত্তিহীন।
হুনজাদের ক্যানসার না হওয়ার কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, তাঁদের খাদ্যতালিকায় থাকে এপ্রিকট নামের ফল। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার কাউন্সিলের নির্বাহী তানইয়া বুকানন এএফপিকে বলেন, এপ্রিকট ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে—এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
একই দাবি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও একই বছর একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। হুনজাদের কখনো ক্যানসার না হওয়ার দাবিটি মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করে। একই সঙ্গে অ্যাপ্রিকট ফল খাওয়ার সঙ্গে ক্যানসার না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
জনস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ মার্ক স্টিবিচ ফ্যাক্টভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান ভেরি ওয়েল হেলথে লেখেন, হুনজাদের কখনো রোগ না হওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। ২০২১ সালে ৪২৫ জন হুনজার ওপর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এতে প্রতি তিনজনের একজনের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের লক্ষণও দেখা গেছে।
এ ছাড়া এরই আগেই আমেরিকান সাংবাদিক জন মেরিয়ন টিয়ার্নির হুনজা ভ্যালি ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি সেখানে ঘুরতে গিয়ে হুনজাদের ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা, আমাশয়, ম্যালেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও ক্যানসারের মতো রোগে ভুগতে দেখেছেন।
অর্থাৎ হুনজাদের কখনো টিউমার হয় না—তথ্যটি ভিত্তিহীন।
দাবি ৩: হুনজা মেয়েদের ৬৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত যুবতী মনে হয় এবং তাঁরা এই বয়সে গর্ভধারণ করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে প্রচারিত দাবি অনুযায়ী, হুনজা মেয়েদের ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত যুবতী মনে হয়। কোথাও কোথাও এই বয়স ৮০-৯০ বছর বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়, তাঁরা ৬৫ বা ৮০-৯০ বছর বয়স পর্যন্ত অনায়াসে সন্তান জন্ম দিতে পারেন।
তবে অনুসন্ধানে দীর্ঘায়ুর দাবির মতোই এই দাবিরও কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটিও অতিরঞ্জিত তথ্য।
আবার এই দাবি সত্য হলেও এটি কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ, সাধারণভাবে গর্ভধারণের কোনো বয়স নির্দিষ্ট নেই। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গর্ভধারণের সক্ষমতা কমতে থাকে। সাধারণত মেনোপজের ৫ থেকে ১০ বছর আগে থেকেই একজন নারীর গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়। আর ৪০ বছরের পরই সাধারণত মেনোপজ শুরু হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রেও ৬০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের সন্তান জন্মদানের ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়।
হুনজাদের বাস পাকিস্তানের গিলগিট-বালটিস্তানের উত্তর অংশে হুনজা উপত্যকায়। এটির পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং উত্তর-পূর্বে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল। বর্তমান আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার আগে দুর্গম এই অঞ্চলে মানুষের পৌঁছানো ছিল কঠিন। আর দুর্গম হওয়ার কারণেই এই অঞ্চল মানুষের কাছে রহস্যময় হয়ে রয়েছে। সেই রহস্য থেকেই হুনজাদের বয়স, সন্তানধারণ ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ছড়িয়েছে নানা তথ্য। এগুলোর মধ্যে আছে শতবর্ষী দীর্ঘায়ু লাভ, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং নারীদের গর্ভধারণের ক্ষমতা।
পাকিস্তানের উত্তরে গিলগিট-বালটিস্তানের হুনজা ভ্যালির অধিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হুনজা। তারা পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘজীবী জনগোষ্ঠী বলে দাবি করা হয়। ১৯৭০ সালে ছড়িয়ে পড়া এই দাবির সত্যতা যাচাই করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এরপর তাদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু গবেষকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
হুনজা আদিবাসী গোষ্ঠী নিয়ে প্রচলিত দাবিগুলো:
১। এখানকার মানুষের গড় আয়ু ১১০ থেকে ১২০ বছর, অনেকে এখানে ১৬৫ বছরও বাঁচে।
২। হুনজাদের কখনো টিউমার হয়েছে বলে কেউ শোনেনি।
৩। এই জনগোষ্ঠীর মেয়েদের ৬৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত যুবতী মনে হয় এবং এই বয়সেও তাঁরা গর্ভধারণ করতে পারেন।
এই দাবিগুলোর সত্যতা নিয়ে অনুসন্ধান করেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবি ১: হুনজাদের গড় আয়ু ১১০ থেকে ১২০ বছর, অনেকে এখানে ১৬৫ বছরও বাঁচে
হুনজাদের বয়সের প্রচলিত এই দাবি নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের গবেষকেরা গবেষণা করেছেন। ২০১০ সালে বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও প্রযুক্তিবিষয়ক যুক্তরাজ্যের পিয়ার-রিভিউড গবেষণা জার্নাল হিন্দাউইতে মানুষের দীর্ঘায়ু সম্পর্কে বিভিন্ন মিথ নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও বেলজিয়ামের তিন গবেষক। তাঁরা গবেষণাটিতে দীর্ঘায়ু-সম্পর্কিত ১১ ধরনের মিথের কথা তুলে ধরেন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭০ এর দশকে দীর্ঘায়ু-সম্পর্কিত দাবির পুনরুত্থান ঘটে। বিশেষ করে, সোভিয়েত রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলে, পাকিস্তানের হুনজা উপত্যকা ও ইকুয়েডরের ভিলকাবাম্বা উপত্যকায়। তবে ১৯৮০ এর দশকে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ধারণাগুলোর স্বরূপ উন্মোচন করা হয় এবং এগুলো মিথ বা প্রচলিত ধারণা হিসেবে প্রমাণিত হয়। যেমন ১৯৭৮ সালে জাপানের শিগেচিও ইজুমির বয়স দাবি করা হয় ১১৩ বছর। পরে ১৯৮৬ সালে ১২০ বছর বয়সে তাঁকে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে ১৯৮৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে জাপানি গবেষকেরা দেখেন, শিগেচিও ইজুমির বয়স ১২০ নয়, বড়জোর ১০৫ বছর হবে।
১৯৩৩ সালে জেমস হিলটন ‘লস্ট হরাইজন’ নামে একটি উপন্যাস লেখেন। সেখানে শাংগ্রি-লা নামে তিব্বতে একটি কাল্পনিক ভূস্বর্গের কথা বলা হয়েছে, যেখানকার বাসিন্দারা সুখী, পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে। গবেষণা জার্নাল হিন্দাউইতে হুনজাদের বয়স-সম্পর্কিত ধারণাকে ‘শাংগ্রি-লার’ আধুনিক উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিশ্বাসে মানুষের অনেক বেশি আয়ু পাওয়ার গল্প রয়েছে। যেমন রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলের বাসিন্দারা ১৬৮ বছর পর্যন্ত বাঁচেন। শুধু তা-ই নয়, সেখানে ১২০ বছরের বেশি বয়সী শত শত লোক জীবিত আছে—এমন দাবিও করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, আয়ুর এসব দাবিই প্রমাণ করে, এগুলো কতটা অবাস্তব! আবার দীর্ঘায়ু দাবিদারদের মধ্যে পুরুষই বেশি। যেখানে আধুনিক বিশ্বে নারীদের গড় আয়ু পুরুষের চেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্ধক্য বিশেষজ্ঞ এরডম্যান বাল্লাহ পালমোর দ্য জেরোন্টোলজিস্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় লেখেন, ১৯৭০-এর দশকে রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলে, পাকিস্তানের হুনজা উপত্যকা ও ইকুয়েডরের ভিলকাবাম্বা উপত্যকায় অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ুর বিভিন্ন প্রতিবেদন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই অঞ্চলগুলোতে ব্যাপকসংখ্যক শতবর্ষী মানুষ বেঁচে আছেন এবং এদের কেউ কেউ ১৫০ বছর বা তার বেশি বয়স লাভ করেছেন।
তবে প্রতিবেদনগুলো সংশয়ের সৃষ্টি করে। কারণ, ইকুয়েডরের ভিলকাবাম্বা উপত্যকায় আদমশুমারি চালিয়ে অস্বাভাবিক দীর্ঘায়ুর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অনুরূপভাবে রাশিয়ায়ও শতবর্ষী মানুষ বেশি থাকার পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অপরদিকে হুনজাদের ভাষার কোনো লিখিত রূপ না থাকা এবং শিশুদের জন্মনিবন্ধন না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষদের দীর্ঘায়ু প্রাপ্তি নিয়ে কেউ গবেষণা করেনি।
১৯৬১ সালে জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হুনজাদের নিয়ে একটি গবেষণায় বলা হয়, হুনজা পুরুষদের সাধারণভাবে ১২০ বা ১৪০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচার দাবিটির কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র নেই। যদিও কারও কারও ক্ষেত্রে এমন বয়স পাওয়া সম্ভব হতে পারে।
জন মেরিয়ন টিয়ার্নি নামের একজন আমেরিকান সাংবাদিক হুনজা ভ্যালি ঘুরে এসে ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রতিবেদন লেখেন। সেখানে তিনি বলেন, হুনজা ভ্যালিতে গিয়ে তাঁদের বয়স-সম্পর্কিত প্রচলিত ধারণাটি ভেঙে গেছে। তাঁদের কোনো জন্মনিবন্ধন নেই। সেখানকার নিরক্ষর লোকজন জানেন না, তাঁদের বয়স কত এবং তাঁদের মধ্যে বয়স বাড়িয়ে বলার প্রবণতা দেখেছেন তিনি।
ওই সাংবাদিক লেখেন, হুনজাতে অস্বাভাবিক বেশি কোনো শতবর্ষী আমি দেখিনি এবং তাঁদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁদের ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা, আমাশয়, ম্যালেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও ক্যানসারের মতো রোগে ভুগতে দেখেছি। এ ছাড়া তাঁদের খাদ্যতালিকাতেও আয়োডিনের অপার্যপ্ততা রয়েছে।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত চিকিৎসা গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি জানান, হুনজাদের গড় আয়ু পুরুষের ৫৩ বছর এবং নারীদের ৫২ বছর।
১৯৮৬ সালে ওয়াশিংটন পোস্টেও দীর্ঘায়ু নিয়ে প্রচলিত ধারণাগুলো সম্পর্কে এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়, রাশিয়া, ইকুয়েডর কিংবা পাকিস্তান—যেখানেই দীর্ঘায়ুর দাবি উঠেছে, সেখানে অধিকাংশই বয়স নিয়ে মিথ্যা বলেছেন।
কিন্তু কেন মানুষ বয়স নিয়ে মিথ্যা বলে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কিছু সংস্কৃতি যেমন, হুনজাদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তিদের খুব সম্মান করা হয়। তাঁদের সংস্কৃতিতে মানুষ যত বুড়ো হয়, তাঁর সম্মান তত বেশি।
অনুসন্ধানে ব্লু জোন নামে একটি পরিভাষা খুঁজে পাওয়া যায়। ব্লু জোন বলতে এমন ভৌগোলিক স্থানকে বোঝায়, যেখানে দীর্ঘস্থায়ী রোগ হওয়ার হার কম এবং মানুষের গড় আয়ু বেশি। পৃথিবীতে এমন পাঁচটি ব্লু জোনের খোঁজ পাওয়া যায়। তবে সেখানে পাকিস্তানের হুনজা ভ্যালির নাম নেই। ব্লু জোন পাঁচটি হলো ইতালি, গ্রিস, জাপান, কোস্টারিকা ও যুক্তরাষ্ট্র।
হুনজাদের প্রকৃত গড় আয়ু নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে নেদারল্যান্ডসের রেডবাউড ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট রিসার্চের ওয়েবসাইটে গিলগিট-বালটিস্তানের বাসিন্দাদের গড় আয়ুর তথ্য পাওয়া যায়। সব শেষ ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী, গিলগিট-বালটিস্তানের বাসিন্দাদের গড় আয়ু ছিল প্রায় ৬৪ বছর।
ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, হুনজাদের গড় আয়ু ১১০ থেকে ১২০ বছর এবং তাঁদের কারও কারও ১৬৫ বছরও বাঁচার দাবিটি মিথ বা প্রচলিত বিশ্বাস, যা মোটামুটি ১৯৭০-এর দশক থেকে প্রচার হয়ে আসছে। দাবিটির সপক্ষে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই।
দাবি ২: হুনজাদের কখনো টিউমার হয়েছে বলে কেউ শোনেনি
হুনজাদের নিয়ে প্রচলিত দাবিগুলোর আরেকটি হলো, হুনজাদের কখনো টিউমার হয়েছে বলে কেউ শোনেনি। তবে ২০২১ সালে বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ জাপানের নৃবিজ্ঞানী কিঞ্জি ইমানিশির লেখা বই ‘পারসোনালিটি অ্যান্ড হেলথ ইন হুনজা ভ্যালি’-এর বরাত দিয়ে জানায়, ১৯৫৫ সালে হুনজা ভ্যালিতে জাপানি গবেষকদের একটি পর্যবেক্ষণে ১০ জন হুনজা আদিবাসীর মধ্যে টিউমারের অস্তিত্ব খুঁজে পান। হুনজা উপত্যকার বাসিন্দাদের ক্যানসারমুক্ত হওয়ার গুজব, ভিত্তিহীন।
হুনজাদের ক্যানসার না হওয়ার কারণ হিসেবে দাবি করা হয়, তাঁদের খাদ্যতালিকায় থাকে এপ্রিকট নামের ফল। তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানসার কাউন্সিলের নির্বাহী তানইয়া বুকানন এএফপিকে বলেন, এপ্রিকট ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে—এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই।
একই দাবি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও একই বছর একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। হুনজাদের কখনো ক্যানসার না হওয়ার দাবিটি মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করে। একই সঙ্গে অ্যাপ্রিকট ফল খাওয়ার সঙ্গে ক্যানসার না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
জনস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ মার্ক স্টিবিচ ফ্যাক্টভিত্তিক কনটেন্ট প্রকাশকারী প্রতিষ্ঠান ভেরি ওয়েল হেলথে লেখেন, হুনজাদের কখনো রোগ না হওয়ার তথ্যটি সঠিক নয়। ২০২১ সালে ৪২৫ জন হুনজার ওপর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে গবেষণা করা হয়। এতে প্রতি তিনজনের একজনের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ পাওয়া গেছে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের লক্ষণও দেখা গেছে।
এ ছাড়া এরই আগেই আমেরিকান সাংবাদিক জন মেরিয়ন টিয়ার্নির হুনজা ভ্যালি ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি সেখানে ঘুরতে গিয়ে হুনজাদের ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা, আমাশয়, ম্যালেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কার ও ক্যানসারের মতো রোগে ভুগতে দেখেছেন।
অর্থাৎ হুনজাদের কখনো টিউমার হয় না—তথ্যটি ভিত্তিহীন।
দাবি ৩: হুনজা মেয়েদের ৬৫ থেকে ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত যুবতী মনে হয় এবং তাঁরা এই বয়সে গর্ভধারণ করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে প্রচারিত দাবি অনুযায়ী, হুনজা মেয়েদের ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত যুবতী মনে হয়। কোথাও কোথাও এই বয়স ৮০-৯০ বছর বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়, তাঁরা ৬৫ বা ৮০-৯০ বছর বয়স পর্যন্ত অনায়াসে সন্তান জন্ম দিতে পারেন।
তবে অনুসন্ধানে দীর্ঘায়ুর দাবির মতোই এই দাবিরও কোনো সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটিও অতিরঞ্জিত তথ্য।
আবার এই দাবি সত্য হলেও এটি কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ, সাধারণভাবে গর্ভধারণের কোনো বয়স নির্দিষ্ট নেই। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গর্ভধারণের সক্ষমতা কমতে থাকে। সাধারণত মেনোপজের ৫ থেকে ১০ বছর আগে থেকেই একজন নারীর গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়। আর ৪০ বছরের পরই সাধারণত মেনোপজ শুরু হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রেও ৬০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের সন্তান জন্মদানের ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায়।
হুনজাদের বাস পাকিস্তানের গিলগিট-বালটিস্তানের উত্তর অংশে হুনজা উপত্যকায়। এটির পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং উত্তর-পূর্বে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চল। বর্তমান আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থার আগে দুর্গম এই অঞ্চলে মানুষের পৌঁছানো ছিল কঠিন। আর দুর্গম হওয়ার কারণেই এই অঞ্চল মানুষের কাছে রহস্যময় হয়ে রয়েছে। সেই রহস্য থেকেই হুনজাদের বয়স, সন্তানধারণ ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ছড়িয়েছে নানা তথ্য। এগুলোর মধ্যে আছে শতবর্ষী দীর্ঘায়ু লাভ, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং নারীদের গর্ভধারণের ক্ষমতা।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে