ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আদরের মেয়েকে বুক থেকে ছাড়েননি বাবা। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুজনেরই। সন্তানের প্রতি একজন বাবার ভালোবাসা কতটা তীব্র হতে পারে ছবিটি তারই একটি চিত্র’—এমন ক্যাপশনযুক্ত একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে চিত হয়ে পড়ে থাকা কাদা মাখা প্যান্ট–শার্ট পরিহিত এক যুবকের বুকে উপুর হয়ে শুয়ে রয়েছে ফ্রক পরা এক বালিকা। ওই ব্যক্তি দুই হাতে বালিকাকে জড়িয়ে ধরে আছেন। পাশেই কিছু মানুষের পা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের পোশাক পরিহিত।
‘Love Express’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ৭ এপ্রিল উল্লেখিত ক্যাপশনে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনের শুরুতে লেখা হয়, ‘ওরা কারা? চেনা যাচ্ছে না। শেয়ার করে সাহায্য করেন ওদের পরিবারকে খোঁজার জন্য।’ ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগো নিউজ২৪–এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৮ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
‘মৃত নয় জীবিত, বাবা নয় চাচা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই দিন ময়মনসিংহ–শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুলপুরের ছনধরা ইউনিয়নের বাশাটি গ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে যায়। এই ঘটনায় শিশুসহ আটজন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও শিশুসন্তান হারিয়েছেন ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের বাকশিবাড়ি গ্রামের শাহজাহান। ভাইরাল ছবিটিতে থাকা শিশুটি শাহজাহানের মেয়ে। তার নাম বুলবুলি আক্তার (৭)। বুলবুলি এই দুর্ঘটনায় মারা যায়।
জাগো নিউজের একই প্রতিবেদন বুলবুলিকে জড়িয়ে ধরে রাখা ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। ভাইরাল ছবিতে বুলবুলিকে জড়িয়ে ধরে রাখা ব্যক্তি তাঁর চাচা শারফুল। শারফুলের নিঃসন্তান ছিলেন, ভাই শাহজাহানের মেয়ে বুলবুলিকে নিজের মেয়ের মতো আদর–যত্ন করতেন। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় খালাতো ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। একই গাড়িতে ছিলেন সবাই।
শারফুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুলবুলির লাশ দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। তাই বুকে জড়িয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছিলাম। আমার ভাই হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন। আমার ভাই জীবিত, অথচ তাকে ফেসবুকে মৃত বানিয়ে দিয়েছে। বুলবুলিকে হারানোর শোকে ভাই স্তব্ধ। এর মধ্যে ছড়ানো হলো মৃত্যুর গুজব!’
প্রতিবেদনটিতে বুলবুলির মরদেহ নিয়ে শারফুল ও শাহজাহানের আহাজারির একটি ছবিও পাওয়া যায়। জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তরে একই দিন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও এই ঘটনার একই বর্ণনা পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত মাইক্রোবাসটিতে ১৪ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৮ জন নিহত এবং বাকি ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নিহতদের মধ্যে সাত বছর বয়সী বুবলি আক্তার ছিল। আর আহতদের মধ্যে ছিলেন বুবলির বাবা শাহজাহান (৪০) এবং শারফুল (৩৬)। শাহজাহান ও শারফুল আপন ভাই, সে তথ্যও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং, একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে মাটিতে শুয়ে থাকা ব্যক্তির ছবিটি ২০২০ সালের আগস্টে এক সড়ক দুর্ঘটনার। তবে ভাইরাল ছবির বর্ণনাটি সঠিক নয়। ছবিটি মৃত বাবা–মেয়ের নয়। বরং, ওই দুর্ঘটনায় নিহত শিশুকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়া চাচার ছবি।
‘মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আদরের মেয়েকে বুক থেকে ছাড়েননি বাবা। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় দুজনেরই। সন্তানের প্রতি একজন বাবার ভালোবাসা কতটা তীব্র হতে পারে ছবিটি তারই একটি চিত্র’—এমন ক্যাপশনযুক্ত একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, মাটিতে চিত হয়ে পড়ে থাকা কাদা মাখা প্যান্ট–শার্ট পরিহিত এক যুবকের বুকে উপুর হয়ে শুয়ে রয়েছে ফ্রক পরা এক বালিকা। ওই ব্যক্তি দুই হাতে বালিকাকে জড়িয়ে ধরে আছেন। পাশেই কিছু মানুষের পা দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের পোশাক পরিহিত।
‘Love Express’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ৭ এপ্রিল উল্লেখিত ক্যাপশনে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনের শুরুতে লেখা হয়, ‘ওরা কারা? চেনা যাচ্ছে না। শেয়ার করে সাহায্য করেন ওদের পরিবারকে খোঁজার জন্য।’ ভাইরাল ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগো নিউজ২৪–এর ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৮ আগস্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
‘মৃত নয় জীবিত, বাবা নয় চাচা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই দিন ময়মনসিংহ–শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুলপুরের ছনধরা ইউনিয়নের বাশাটি গ্রামে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস পুকুরে পড়ে যায়। এই ঘটনায় শিশুসহ আটজন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও শিশুসন্তান হারিয়েছেন ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের বাকশিবাড়ি গ্রামের শাহজাহান। ভাইরাল ছবিটিতে থাকা শিশুটি শাহজাহানের মেয়ে। তার নাম বুলবুলি আক্তার (৭)। বুলবুলি এই দুর্ঘটনায় মারা যায়।
জাগো নিউজের একই প্রতিবেদন বুলবুলিকে জড়িয়ে ধরে রাখা ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। ভাইরাল ছবিতে বুলবুলিকে জড়িয়ে ধরে রাখা ব্যক্তি তাঁর চাচা শারফুল। শারফুলের নিঃসন্তান ছিলেন, ভাই শাহজাহানের মেয়ে বুলবুলিকে নিজের মেয়ের মতো আদর–যত্ন করতেন। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় খালাতো ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। একই গাড়িতে ছিলেন সবাই।
শারফুল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বুলবুলির লাশ দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। তাই বুকে জড়িয়ে মাটিতে শুয়ে পড়েছিলাম। আমার ভাই হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন। আমার ভাই জীবিত, অথচ তাকে ফেসবুকে মৃত বানিয়ে দিয়েছে। বুলবুলিকে হারানোর শোকে ভাই স্তব্ধ। এর মধ্যে ছড়ানো হলো মৃত্যুর গুজব!’
প্রতিবেদনটিতে বুলবুলির মরদেহ নিয়ে শারফুল ও শাহজাহানের আহাজারির একটি ছবিও পাওয়া যায়। জাতীয় দৈনিক দেশ রূপান্তরে একই দিন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকেও এই ঘটনার একই বর্ণনা পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় পতিত মাইক্রোবাসটিতে ১৪ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৮ জন নিহত এবং বাকি ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নিহতদের মধ্যে সাত বছর বয়সী বুবলি আক্তার ছিল। আর আহতদের মধ্যে ছিলেন বুবলির বাবা শাহজাহান (৪০) এবং শারফুল (৩৬)। শাহজাহান ও শারফুল আপন ভাই, সে তথ্যও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুতরাং, একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে মাটিতে শুয়ে থাকা ব্যক্তির ছবিটি ২০২০ সালের আগস্টে এক সড়ক দুর্ঘটনার। তবে ভাইরাল ছবির বর্ণনাটি সঠিক নয়। ছবিটি মৃত বাবা–মেয়ের নয়। বরং, ওই দুর্ঘটনায় নিহত শিশুকে বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়া চাচার ছবি।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
২ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
৩ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৪ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৪ দিন আগে