ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
১০১ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিলেন বৃদ্ধা—চাঞ্চল্যকর এই তথ্য ফেসবুকে অসংখ্য গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে পোস্ট ও শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে। দেশে কিছু অনলাইন পোর্টালে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফেসবুকে পোস্টের সঙ্গে একটি প্রতিবেদনের লিংকও যুক্ত করা হয়েছে। গত দুই দিনে একই রকম তথ্যসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে দেখা গেছে।
২৪নিউজ, বেঙ্গল টাইম, ময়মনসিংহ নিউজ, রেডিও স্টেশন, টলিটাইমস, আজকের নিউজ, সময় লাইভ, সংবাদ বাংলা, নিউজ ইনসাইটস, লিংকজোজো—এ রকম বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে একই শিরোনামে প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে এই তথ্য কয়েক লাখবার শেয়ার হয়েছে।
কী আছে প্রতিবেদনগুলোতে
সবগুলো অনলাইন পোর্টালে একই রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, ছবির ওই নারী ইতালি অধিবাসী, নাম আনাতোলিয়া ভার্তাদেলা। কিন্তু ইউরোপে ওভ্যারি ট্রান্সপ্লান্ট (ডিম্বাশয় প্রতিস্থাপন) আইনত নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি তুরস্কে এই শিশুর জন্ম দেন। যেখানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, সেই ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
প্রতিবেদনে ওই বৃদ্ধার উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘৪৮ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি আর সন্তানের জন্ম দিতে পারিনি। মাঝে মাঝে ভাবতাম মাত্র ১৬টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য ভগবান আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু ভগবানের কৃপায় আবারও আমি মা হতে পারলাম। ১৭তম সন্তান এল আমার কোলে।’
‘ডাক্তার আলেক্সান্দ্রো পোপোলিচিসহ বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাঁর অস্ত্রোপচার করেছেন’, বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৮ সালে আনাতোলিয়ার স্বামী মারা যান।
ইন্টারনেটে শুক্রাণুদাতা খুঁজতে গিয়ে ২৬ বছরের এক ক্যাথলিক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এই বৃদ্ধার। সেই যুবকই বৃদ্ধার সন্তানের বাবা। তবে সন্তান ও তাঁর সঙ্গে ওই যুবকের আর কোনো সম্পর্ক নেই।
দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেছেন আনাতোলিয়া। এত দিন এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মালেগওয়ালে রামোকগোপা। ৯২ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ওই নারী। তাঁর সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১০১ বছর বয়সী আনাতোলিয়া।
ফ্যাক্টচেক
বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা পোর্টালগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং ফেসবুকের পোস্টগুলো সাম্প্রতিক হলেও ছবিটি নেট দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যায় ২০১৫ সাল থেকেই। রিভার্স সার্চের মাধ্যমে জানা যায়, এ পর্যন্ত অন্তত ৫৭৬টি ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে।
পরে ছবিটি ‘লাইফ অব ড্যাড’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ পোস্ট করা হলে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পোস্টটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই পেজ থেকে ৭৮ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। মন্তব্য এসেছে ২৪ হাজার।
২০১৫ সালের ২১ মার্চ মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবির ওই বৃদ্ধা ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মারা যান।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়াতে ছবিটি বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ছড়িয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপির ইংরেজি সংস্করণে এ–সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া যায়।সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এখনো স্পেনের মারিয়া দি কারমেন বৌসাদা দি লারার দখলে। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৬৬ বছর ৩৫৮ দিন বয়সে যমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বয়স কমিয়ে বলার বিষয়টি ধরা পড়ার পর আর নিজ দেশে সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি লারা। পরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত লারা ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মারা যান।
সিদ্ধান্ত
শিশুটি ১০১ বছর বয়সী বৃদ্ধার সন্তান নয়; মূলত ওই বৃদ্ধার নাতনির মেয়ে। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালের আলোচিত ওই ছবিকে কেন্দ্র করে বঙ্গ মুলুকে গুজব ছড়িয়ে পড়ল ঘটনার ছয় বছর পর।
১০১ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিলেন বৃদ্ধা—চাঞ্চল্যকর এই তথ্য ফেসবুকে অসংখ্য গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে পোস্ট ও শেয়ার করতে দেখা যাচ্ছে। দেশে কিছু অনলাইন পোর্টালে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফেসবুকে পোস্টের সঙ্গে একটি প্রতিবেদনের লিংকও যুক্ত করা হয়েছে। গত দুই দিনে একই রকম তথ্যসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে দেখা গেছে।
২৪নিউজ, বেঙ্গল টাইম, ময়মনসিংহ নিউজ, রেডিও স্টেশন, টলিটাইমস, আজকের নিউজ, সময় লাইভ, সংবাদ বাংলা, নিউজ ইনসাইটস, লিংকজোজো—এ রকম বেশ কিছু অনলাইন পোর্টালে একই শিরোনামে প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও আইডিতে এই তথ্য কয়েক লাখবার শেয়ার হয়েছে।
কী আছে প্রতিবেদনগুলোতে
সবগুলো অনলাইন পোর্টালে একই রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিবেদনগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, ছবির ওই নারী ইতালি অধিবাসী, নাম আনাতোলিয়া ভার্তাদেলা। কিন্তু ইউরোপে ওভ্যারি ট্রান্সপ্লান্ট (ডিম্বাশয় প্রতিস্থাপন) আইনত নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি তুরস্কে এই শিশুর জন্ম দেন। যেখানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, সেই ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
প্রতিবেদনে ওই বৃদ্ধার উদ্ধৃতি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘৪৮ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি আর সন্তানের জন্ম দিতে পারিনি। মাঝে মাঝে ভাবতাম মাত্র ১৬টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য ভগবান আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু ভগবানের কৃপায় আবারও আমি মা হতে পারলাম। ১৭তম সন্তান এল আমার কোলে।’
‘ডাক্তার আলেক্সান্দ্রো পোপোলিচিসহ বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাঁর অস্ত্রোপচার করেছেন’, বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৮ সালে আনাতোলিয়ার স্বামী মারা যান।
ইন্টারনেটে শুক্রাণুদাতা খুঁজতে গিয়ে ২৬ বছরের এক ক্যাথলিক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এই বৃদ্ধার। সেই যুবকই বৃদ্ধার সন্তানের বাবা। তবে সন্তান ও তাঁর সঙ্গে ওই যুবকের আর কোনো সম্পর্ক নেই।
দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেছেন আনাতোলিয়া। এত দিন এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মালেগওয়ালে রামোকগোপা। ৯২ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ওই নারী। তাঁর সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১০১ বছর বয়সী আনাতোলিয়া।
ফ্যাক্টচেক
বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা পোর্টালগুলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং ফেসবুকের পোস্টগুলো সাম্প্রতিক হলেও ছবিটি নেট দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া যায় ২০১৫ সাল থেকেই। রিভার্স সার্চের মাধ্যমে জানা যায়, এ পর্যন্ত অন্তত ৫৭৬টি ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে।
পরে ছবিটি ‘লাইফ অব ড্যাড’ নামে একটি ফেসবুক পেজে ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ পোস্ট করা হলে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পোস্টটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই পেজ থেকে ৭৮ হাজারবার শেয়ার হয়েছে। মন্তব্য এসেছে ২৪ হাজার।
২০১৫ সালের ২১ মার্চ মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবির ওই বৃদ্ধা ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মারা যান।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়াতে ছবিটি বিভ্রান্তিকর তথ্যসহ ছড়িয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপির ইংরেজি সংস্করণে এ–সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া যায়।সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এখনো স্পেনের মারিয়া দি কারমেন বৌসাদা দি লারার দখলে। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৬৬ বছর ৩৫৮ দিন বয়সে যমজ সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বয়স কমিয়ে বলার বিষয়টি ধরা পড়ার পর আর নিজ দেশে সন্তানের জন্ম দিতে পারেননি লারা। পরে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সন্তান জন্ম দেন তিনি। ক্যানসারে আক্রান্ত লারা ২০০৯ সালের ১১ জুলাই মারা যান।
সিদ্ধান্ত
শিশুটি ১০১ বছর বয়সী বৃদ্ধার সন্তান নয়; মূলত ওই বৃদ্ধার নাতনির মেয়ে। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালের আলোচিত ওই ছবিকে কেন্দ্র করে বঙ্গ মুলুকে গুজব ছড়িয়ে পড়ল ঘটনার ছয় বছর পর।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে