ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রকৃতি থেকে সবে বিদায় নিয়েছে শীত। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এখন ফাল্গুন মাস, বসন্তকাল। কদিন পরেই শুরু হবে চৈত্র, সঙ্গে নামবে গরম। গরমে মানুষ তৃষ্ণা নিবারণে খুঁজে একটু ঠান্ডা পানি। স্বভাবতই এ সময়ে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা বেড়ে যায়। নিত্যনৈমিত্তিক পানি পানসহ খাবারের টেবিলেও জায়গা করে নেয় একবোতল ঠান্ডা পানি। তবে গরমে তৃপ্তি দেওয়া ঠান্ডা পানি নিয়ে আছে নানা প্রচারণা। দাবি করা হয়, ঠান্ডা পানি পানে হৃদরোগ, ক্যানসার, লিভারে চর্বি জমার মতো নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঠান্ডা পানির নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পোস্টগুলোতে দাবি করা হয়, খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি পান করলে খাবারে থাকা তৈলাক্ত উপাদানগুলো জমাট বাঁধে। ফলে খাবারের হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। একপর্যায়ে সেগুলো চর্বিতে পরিণত হয় এবং ক্যানসারের দিকে ধাবিত হয়। তাই খাওয়ার পর ঠান্ডা পানির পরিবর্তে গরম স্যুপ বা গরম পানি পান করা সবচেয়ে ভালো।
আসলেই কি তাই? এই দাবির সত্যতা খুঁজেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ জানায়, ঠান্ডা পানির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে ইন্টারনেটে দীর্ঘদিন ধরেই এমন প্রচারণা চলে আসছে। তবে প্রচারণাগুলো সত্য নয়। ক্যানসার কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক সানচিয়া আরন্ডা এএফপিকে ২০১৯ সালে ইমেইল বার্তায় বলেন, ঠান্ডা পানি পানের সঙ্গে ক্যানসার সৃষ্টির দাবিটির কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। যখন কোনো ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করা হয়, তখন সেটি দ্রুতই শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে মিলে যায় এবং সেটি খাবারের হজম প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করে না।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির এক মুখপাত্র এএফপিকে ইমেইল যোগে দাবিটি প্রসঙ্গে একই মন্তব্য করে বলেন, ঠান্ডা পানির সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক নিয়ে প্রচারিত দাবিটির কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঠান্ডা পানি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। পানি ঠান্ডা হোক বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার হোক, সেটি একজন মানুষের শরীরকে সতেজ রাখে। অনেকেই ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলতে চায়। তবে কারও যদি সর্দি, জ্বর বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁর ঠান্ডা পানি পান না করাই ভালো।
একই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডে। ম্যাগাজিনটি জানায়, ঠান্ডা পানি পান করা মানুষের জন্য খারাপ- এই দাবির পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আসলে ঠান্ডা পানি পান ব্যয়ামের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে এবং একইসঙ্গে ব্যায়াম করার সময় ডিহাইড্রেশনের জন্য ভালো হতে পারে, বিশেষ করে গরম পরিবেশে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি পানে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যারা অ্যাকলেসিয়াতে আক্রান্ত। অ্যাকলেসিয়া হলো খুবই বিরল কিন্তু গুরুতর অবস্থা, এটি আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্যনালীকে প্রভাবিত করে। এছাড়া যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি পান মাথা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট (এনসিআই) যেসব বিষয় ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে তাঁর একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকায় ঠান্ডা পানিকে ক্যানসারের ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকির কারণ হিসাবে উল্লেখ করা খাদ্যের আলোচনাতেও ঠান্ডা পানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া ক্যানসারের চিকিৎসার প্রতিষেধক হিসেবেও গরম পানি পানকে অন্তর্ভুক্ত করেনি এনসিআই।
একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি), যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) হৃদরোগের কারণ হিসেবে ঠান্ডা পানি এবং অন্যান্য কোমল পানীয়কে অন্তর্ভুক্ত করেনি। সিডিসি জানায়, হৃদরোগের প্রধান কারণগুলো হলো উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ধুমপান।
সিডিসি এবং এনএইচএসের মতে, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ করোনারি ধমনী রোগ। এই অবস্থায় হৃৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহকারী প্রধান রক্তনালীগুলো (করোনারি ধমনী) হৃৎপিণ্ডের পেশিতে পর্যাপ্ত রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টি পাঠাতে পারে না। হৃৎপিণ্ডের ধমনিতে কোলেস্টেরল জমা এবং প্রদাহ সাধারণত করোনারি ধমনী রোগের কারণ। রক্ত প্রবাহে বাধাও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। লিভারে চর্বি জমার সঙ্গেও পানির কোনো সম্পর্ক নেই। চর্বির উপাদানের মধ্যে পানির অণু নয়, বরং চর্বির উপাদান ফ্যাটি অ্যাসিড যা কার্বক্সিলিক অ্যাসিড। কার্বক্সিলিক অ্যাসিড অণুতে কার্বন পরমাণু থাকে, পানির অণু থাকে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগের কারণগুলোর তালিকায় পানিকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি খাওয়ার সঙ্গে ক্যানসার আক্রান্ত প্রচলিত দাবিকে মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নুপস ২০০৬ সালে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
উপরিউক্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে স্পষ্ট যে, ঠান্ডা পানি পানের সঙ্গে ক্যানসার, হৃদরোগের কোনো সম্পর্ক নেই। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ঠান্ডা পানি পান করতে পারবেন।
কেবল ঠান্ডা পানি নয়, পানি পানের সময় নিয়েও মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে ভুল তথ্য। যেমন, পানি পানের সময় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি তথ্য ‘খাওয়ার মাঝখানে পানি খাওয়া একদম ঠিক নয়, এতে হজম-প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাই যেকোনো খাবার খাওয়ার পর অন্তত ২০ মিনিট সময় বিরতি নিয়ে পানি পান করুন।’ আবার এমন দাবিও করা হয়, দিনের নির্দিষ্ট সময় যেমন গোসলের আগে পানি পান করা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে উদ্দীপিত করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এ দাবি প্রসঙ্গে অলাভজনক মেডিকেল গ্রুপ মায়ো ক্লিনিক জানায়, খাওয়ার মাঝখানে পানি পান করা ঠিক না- এমন দাবি আসলে ঠিক নয়। বরং খাবারের সময় বা পরে পানি পান খাবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। হেলথলাইনের মতে, খাবারের সঙ্গে পানি পান করা না করা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর। যদি কোনো ব্যক্তি খাবারের সঙ্গে পানি পান করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাহলে তার পানি পান করাই উচিত। সর্বোপরি, খাবার গ্রহণের সময় পানি পান করা যাবে না- এমন দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ফিলিপাইনের ম্যানিলা ডক্টরস হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট অ্যান্থনি সি লিচন দাবিগুলো প্রসঙ্গে এএফপিকে বলেন, ‘দাবিগুলো সত্য নয় এবং বিজ্ঞানভিত্তিকও নয়। আমাদের এগুলো বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
প্রকৃতি থেকে সবে বিদায় নিয়েছে শীত। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে এখন ফাল্গুন মাস, বসন্তকাল। কদিন পরেই শুরু হবে চৈত্র, সঙ্গে নামবে গরম। গরমে মানুষ তৃষ্ণা নিবারণে খুঁজে একটু ঠান্ডা পানি। স্বভাবতই এ সময়ে ঠান্ডা পানি পানের প্রবণতা বেড়ে যায়। নিত্যনৈমিত্তিক পানি পানসহ খাবারের টেবিলেও জায়গা করে নেয় একবোতল ঠান্ডা পানি। তবে গরমে তৃপ্তি দেওয়া ঠান্ডা পানি নিয়ে আছে নানা প্রচারণা। দাবি করা হয়, ঠান্ডা পানি পানে হৃদরোগ, ক্যানসার, লিভারে চর্বি জমার মতো নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ঠান্ডা পানির নেতিবাচক প্রভাব হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পোস্টগুলোতে দাবি করা হয়, খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি পান করলে খাবারে থাকা তৈলাক্ত উপাদানগুলো জমাট বাঁধে। ফলে খাবারের হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। একপর্যায়ে সেগুলো চর্বিতে পরিণত হয় এবং ক্যানসারের দিকে ধাবিত হয়। তাই খাওয়ার পর ঠান্ডা পানির পরিবর্তে গরম স্যুপ বা গরম পানি পান করা সবচেয়ে ভালো।
আসলেই কি তাই? এই দাবির সত্যতা খুঁজেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্টচেক বিভাগ জানায়, ঠান্ডা পানির নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে ইন্টারনেটে দীর্ঘদিন ধরেই এমন প্রচারণা চলে আসছে। তবে প্রচারণাগুলো সত্য নয়। ক্যানসার কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক সানচিয়া আরন্ডা এএফপিকে ২০১৯ সালে ইমেইল বার্তায় বলেন, ঠান্ডা পানি পানের সঙ্গে ক্যানসার সৃষ্টির দাবিটির কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। যখন কোনো ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ করা হয়, তখন সেটি দ্রুতই শরীরের তাপমাত্রার সঙ্গে মিলে যায় এবং সেটি খাবারের হজম প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করে না।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির এক মুখপাত্র এএফপিকে ইমেইল যোগে দাবিটি প্রসঙ্গে একই মন্তব্য করে বলেন, ঠান্ডা পানির সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ক নিয়ে প্রচারিত দাবিটির কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ নেই।
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঠান্ডা পানি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। পানি ঠান্ডা হোক বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার হোক, সেটি একজন মানুষের শরীরকে সতেজ রাখে। অনেকেই ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলতে চায়। তবে কারও যদি সর্দি, জ্বর বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তাঁর ঠান্ডা পানি পান না করাই ভালো।
একই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিন মেডিকেল নিউজ টুডে। ম্যাগাজিনটি জানায়, ঠান্ডা পানি পান করা মানুষের জন্য খারাপ- এই দাবির পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আসলে ঠান্ডা পানি পান ব্যয়ামের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে পারে এবং একইসঙ্গে ব্যায়াম করার সময় ডিহাইড্রেশনের জন্য ভালো হতে পারে, বিশেষ করে গরম পরিবেশে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি পানে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যারা অ্যাকলেসিয়াতে আক্রান্ত। অ্যাকলেসিয়া হলো খুবই বিরল কিন্তু গুরুতর অবস্থা, এটি আক্রান্ত ব্যক্তির খাদ্যনালীকে প্রভাবিত করে। এছাড়া যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি পান মাথা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট (এনসিআই) যেসব বিষয় ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে তাঁর একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকায় ঠান্ডা পানিকে ক্যানসারের ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেই সঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকির কারণ হিসাবে উল্লেখ করা খাদ্যের আলোচনাতেও ঠান্ডা পানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া ক্যানসারের চিকিৎসার প্রতিষেধক হিসেবেও গরম পানি পানকে অন্তর্ভুক্ত করেনি এনসিআই।
একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি), যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) হৃদরোগের কারণ হিসেবে ঠান্ডা পানি এবং অন্যান্য কোমল পানীয়কে অন্তর্ভুক্ত করেনি। সিডিসি জানায়, হৃদরোগের প্রধান কারণগুলো হলো উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ধুমপান।
সিডিসি এবং এনএইচএসের মতে, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান কারণ করোনারি ধমনী রোগ। এই অবস্থায় হৃৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহকারী প্রধান রক্তনালীগুলো (করোনারি ধমনী) হৃৎপিণ্ডের পেশিতে পর্যাপ্ত রক্ত, অক্সিজেন এবং পুষ্টি পাঠাতে পারে না। হৃৎপিণ্ডের ধমনিতে কোলেস্টেরল জমা এবং প্রদাহ সাধারণত করোনারি ধমনী রোগের কারণ। রক্ত প্রবাহে বাধাও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। লিভারে চর্বি জমার সঙ্গেও পানির কোনো সম্পর্ক নেই। চর্বির উপাদানের মধ্যে পানির অণু নয়, বরং চর্বির উপাদান ফ্যাটি অ্যাসিড যা কার্বক্সিলিক অ্যাসিড। কার্বক্সিলিক অ্যাসিড অণুতে কার্বন পরমাণু থাকে, পানির অণু থাকে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগের কারণগুলোর তালিকায় পানিকে অন্তর্ভুক্ত করেনি। খাওয়ার পর ঠান্ডা পানি খাওয়ার সঙ্গে ক্যানসার আক্রান্ত প্রচলিত দাবিকে মিথ্যা হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নুপস ২০০৬ সালে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
উপরিউক্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে স্পষ্ট যে, ঠান্ডা পানি পানের সঙ্গে ক্যানসার, হৃদরোগের কোনো সম্পর্ক নেই। সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ঠান্ডা পানি পান করতে পারবেন।
কেবল ঠান্ডা পানি নয়, পানি পানের সময় নিয়েও মানুষের মধ্যে প্রচলিত আছে ভুল তথ্য। যেমন, পানি পানের সময় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত একটি তথ্য ‘খাওয়ার মাঝখানে পানি খাওয়া একদম ঠিক নয়, এতে হজম-প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। তাই যেকোনো খাবার খাওয়ার পর অন্তত ২০ মিনিট সময় বিরতি নিয়ে পানি পান করুন।’ আবার এমন দাবিও করা হয়, দিনের নির্দিষ্ট সময় যেমন গোসলের আগে পানি পান করা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে উদ্দীপিত করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত এ দাবি প্রসঙ্গে অলাভজনক মেডিকেল গ্রুপ মায়ো ক্লিনিক জানায়, খাওয়ার মাঝখানে পানি পান করা ঠিক না- এমন দাবি আসলে ঠিক নয়। বরং খাবারের সময় বা পরে পানি পান খাবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। হেলথলাইনের মতে, খাবারের সঙ্গে পানি পান করা না করা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর। যদি কোনো ব্যক্তি খাবারের সঙ্গে পানি পান করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে তাহলে তার পানি পান করাই উচিত। সর্বোপরি, খাবার গ্রহণের সময় পানি পান করা যাবে না- এমন দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ফিলিপাইনের ম্যানিলা ডক্টরস হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট অ্যান্থনি সি লিচন দাবিগুলো প্রসঙ্গে এএফপিকে বলেন, ‘দাবিগুলো সত্য নয় এবং বিজ্ঞানভিত্তিকও নয়। আমাদের এগুলো বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
২০ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
২ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে