ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি ফেসবুকে এক নারীর ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে কালো ত্বকের অধিকারী হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। পোস্টগুলোতে ওই নারীকে মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঘন কৃষ্ণবর্ণের এক নারী পত্রিকা হাতে বিছানায় বসে রয়েছেন। ছবির পাশে লেখা—‘এটি কালো পাথর বা গ্রানাইটের শিল্পকর্ম নয়। তিনি সুদানি মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ। বিরল কালো সৌন্দর্য। তিনি পৃথিবীতে দেখা সবচেয়ে অন্ধকার ত্বকের জন্য গিনেস বুক অব অয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করেছেন। তিনি অন্ধকারের রানী নামে পরিচিত।’
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় মডেল নায়াকিম গাতওয়েচের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি ছবিটি পোস্ট করেন।
গুগলে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে নায়াকিম গাতওয়েচ নামের একটি উইকিপিডিয়া পেজ খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পেজ থেকে জানা যায়, নায়াকিম গাতওয়েচ ইথিওপিয়ায় জন্ম নেওয়া আমেরিকাপ্রবাসী মডেল।
ত্বকের রং গাঢ় কালো হওয়ায় ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে ওই উইকিপিডিয়া পেজে নায়াকিমের গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গিনেস বুকে এ রকম কোনো ক্যাটাগরি নেই
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শরীরের ত্বক বা অঙ্গ কালো হওয়া-সংক্রান্ত কোনো বিভাগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শরীরের অঙ্গ বা ত্বক কালো হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো নাম নথিভুক্ত করা হয়নি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে।
২০২০ সাল থেকে নায়াকিমের নাম দিয়ে এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল এক সতর্কতামূলক টুইটে জানানো হয়, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্কিন টোনে বা ত্বকের রঙের জন্য কোনো রেকর্ড নিরীক্ষণ করে না।’
ওই টুইটের কমেন্ট সেকশনে এক ব্যবহারকারী একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানান, তিনি মডেল নায়াকিম গাতওয়েচের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
সিদ্ধান্ত
ফেসবুকে কৃষ্ণবর্ণের যে নারীর ছবি ব্যবহার করে তাঁকে ‘অন্ধকারের রানী’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তিনি একজন মার্কিন মডেল—এটি সত্য। তবে কৃষ্ণবর্ণের জন্য তিনি গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছেন—এই দাবি অসত্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
সম্প্রতি ফেসবুকে এক নারীর ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে কালো ত্বকের অধিকারী হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। পোস্টগুলোতে ওই নারীকে মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ নামে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ঘন কৃষ্ণবর্ণের এক নারী পত্রিকা হাতে বিছানায় বসে রয়েছেন। ছবির পাশে লেখা—‘এটি কালো পাথর বা গ্রানাইটের শিল্পকর্ম নয়। তিনি সুদানি মডেল নায়াকিম গাতওয়েচ। বিরল কালো সৌন্দর্য। তিনি পৃথিবীতে দেখা সবচেয়ে অন্ধকার ত্বকের জন্য গিনেস বুক অব অয়ার্ল্ড রেকর্ডে প্রবেশ করেছেন। তিনি অন্ধকারের রানী নামে পরিচিত।’
ফ্যাক্টচেক
রিভার্স ইমেজ সার্চে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায় মডেল নায়াকিম গাতওয়েচের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি ছবিটি পোস্ট করেন।
গুগলে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে নায়াকিম গাতওয়েচ নামের একটি উইকিপিডিয়া পেজ খুঁজে পাওয়া যায়। ওই পেজ থেকে জানা যায়, নায়াকিম গাতওয়েচ ইথিওপিয়ায় জন্ম নেওয়া আমেরিকাপ্রবাসী মডেল।
ত্বকের রং গাঢ় কালো হওয়ায় ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তাঁর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে ওই উইকিপিডিয়া পেজে নায়াকিমের গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
গিনেস বুকে এ রকম কোনো ক্যাটাগরি নেই
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শরীরের ত্বক বা অঙ্গ কালো হওয়া-সংক্রান্ত কোনো বিভাগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শরীরের অঙ্গ বা ত্বক কালো হওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো নাম নথিভুক্ত করা হয়নি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে।
২০২০ সাল থেকে নায়াকিমের নাম দিয়ে এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়ে আসছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০২০ সালের ২৮ এপ্রিল এক সতর্কতামূলক টুইটে জানানো হয়, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্কিন টোনে বা ত্বকের রঙের জন্য কোনো রেকর্ড নিরীক্ষণ করে না।’
ওই টুইটের কমেন্ট সেকশনে এক ব্যবহারকারী একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে জানান, তিনি মডেল নায়াকিম গাতওয়েচের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
সিদ্ধান্ত
ফেসবুকে কৃষ্ণবর্ণের যে নারীর ছবি ব্যবহার করে তাঁকে ‘অন্ধকারের রানী’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তিনি একজন মার্কিন মডেল—এটি সত্য। তবে কৃষ্ণবর্ণের জন্য তিনি গিনেস বুকে জায়গা করে নিয়েছেন—এই দাবি অসত্য।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে, তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা—[email protected]
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
২০ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
২ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে