সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের
ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে
ভিডিওটি লাইভ করা হয়। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘
ভারত থেকে...Live’। ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। ভিডিওটিতে মাঝেমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও দেখা যায়। শেখ হাসিনা ভারত থেকে লাইভে বক্তব্য দিচ্ছেন দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি আজ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। দেখা হয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার। রিয়েকশন পড়েছে ১৪ হাজার।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে ইংরেজি দৈনিক
ডেইলি স্টারের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৬ জুলাই পোস্ট করা একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ক্যাপশনে লেখা, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী’। ভিডিওটির ২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের সময়ের শেখ হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটিতে তাঁর কথার মিল রয়েছে। ভিডিওতে শেখ হাসিনা কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিচ্ছিলেন।
ওই ভিডিওতে সম্পাদনার মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও জুড়ে দিয়ে ভাইরাল ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার ২০২৩ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও সম্পাদনা করে নরেন্দ্র মোদির চলতি বছরের একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও জুড়ে দিয়ে এর আগেও একই ধরনের দাবি ফেসবুকে প্রচার করা হয়। যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে গত ১৩ আগস্ট প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য প্রকাশ করেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। যেখানে তিনি ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে ১২ আগস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীরের ফোনালাপের কিছু অংশের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝেমধ্যেই কথা বলছেন, যা সমস্যাজনক। তিনি যদি চুপ থাকতেন, সেখানে নিজের দুনিয়ায় ডুবে থাকতেন, তবে আমরা হয়তো ভুলে যেতাম, মানুষও হয়তো এটা ভুলে যেত। কিন্তু ভারতে বসে তিনি কথা বলছেন—এটা কেউ পছন্দ করছে না।’