ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে সরকারের। গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এরপরই উল্লাসে ফেটে পড়েন সবাই। এই উল্লাসের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা।
সরকারের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (৫ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরে হিন্দুদের মন্দিরে এবং যশোর, নোয়াখালী, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া রংপুরের তারাগঞ্জে আহমদিয়াদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুরে শ্রীবর্দী উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতির বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় রূপসা থানার হাইসগাতী গ্রামের শ্যামল কুমার দাস ও স্বজন কুমার দাসের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একই জেলার ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমান বিহারী অমিত, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অনিমেষ সরকার রিন্টুর বাড়ি, দাকোপের বানিসান্তার আমতলীতে ইউপি সদস্য জয়ন্ত গাইনের বাড়ি, কয়রার দাসপাড়ায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনা যেমন ঘটেছে, বিপরীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ঘটনার বিপরীতে ছড়িয়েছে ভুল তথ্য, গুজবও। এমন তিনটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
দাবি ১. জ্বলন্ত একটি স্থাপনার ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে এটি হিন্দু মন্দির
‘প্রভু ভক্ত’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ মঙ্গলবার জ্বলন্ত ভবনের লাইভ শেয়ার করে দাবি করা হয়, এটি সনাতনীদের ধর্মীয় স্থাপনা। এটি রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয় লাইভ ভিডিওটিতে। লাইভটি রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাড়ে নয় হাজার শেয়ার হয়েছে। দেখা হয়েছে ৬ লাখের বেশি। স্থাপনাটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘প্রিয় শহর বেনাপোল’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে স্থাপনাটির একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটি থেকে জানা যায়, এটি সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবস্থিত ‘রাজ প্রাসাদ’ নামের একটি কফি শপ ও রেস্টুরেন্ট।
একই পেজ থেকে পরে আরেকটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়, আগের ভিডিওটিতে দেখানো স্থাপনাটি কোনো মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নয়। আরও দাবি করা হয়, এটি একজন সনাতনীর প্রতিষ্ঠান, কিছু লোক নিজের লাভের জন্য অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে আজকের পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেম বলেন, রাজ প্রাসাদ কফি শপ ও রেস্টুরেন্টটি কলারোয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদার।
দাবি ২. ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে
দেশ জুড়ে অস্থিরতার মধ্যে দেশি ও ভারতীয় বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আগুনে জ্বলন্ত একটি বাড়ির ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি। তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল বাড়ির ছবিটি নড়াইল–২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ির ছবি। ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে হামলা বা ভাঙচুরের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজকের পত্রিকার দিনাজপুর প্রতিনিধি আনিসুল হকও নিশ্চিত করেছেন লিটন দাসের বাড়িতে হামলার দাবিটি সঠিক নয়, গুজব।
দাবি ৩. দেবী দুর্গার ভাঙা প্রতিমা
‘বিজয় উল্লাসটা মন্দির, প্রতিমা ভেঙেই শুরু করলেন? এটাই তাহলে বিজয়?’ এমন ক্যাপশনে দেবী দুর্গার মস্তকহীন একটি ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ দর্পণ’ নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ছবিটি ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত ‘দুর্গাপূজাকালীন সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের’—এমন শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পতন ঘটেছে সরকারের। গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। এরপরই উল্লাসে ফেটে পড়েন সবাই। এই উল্লাসের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাসহ মন্দির–বসতবাড়ি ভাঙচুরসহ লুটপাটের ঘটনা।
সরকারের পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (৫ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নাটোর, ঢাকার ধামরাই, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, শরীয়তপুর ও ফরিদপুরে হিন্দুদের মন্দিরে এবং যশোর, নোয়াখালী, মেহেরপুর, চাঁদপুর ও খুলনায় বাড়িঘরে হামলা করা হয়েছে। দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া রংপুরের তারাগঞ্জে আহমদিয়াদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, শেরপুরে শ্রীবর্দী উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতির বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। খুলনায় রূপসা থানার হাইসগাতী গ্রামের শ্যামল কুমার দাস ও স্বজন কুমার দাসের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। একই জেলার ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিমান বিহারী অমিত, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অনিমেষ সরকার রিন্টুর বাড়ি, দাকোপের বানিসান্তার আমতলীতে ইউপি সদস্য জয়ন্ত গাইনের বাড়ি, কয়রার দাসপাড়ায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনা যেমন ঘটেছে, বিপরীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ঘটনার বিপরীতে ছড়িয়েছে ভুল তথ্য, গুজবও। এমন তিনটি ঘটনা তুলে ধরা হলো—
দাবি ১. জ্বলন্ত একটি স্থাপনার ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে এটি হিন্দু মন্দির
‘প্রভু ভক্ত’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে আজ মঙ্গলবার জ্বলন্ত ভবনের লাইভ শেয়ার করে দাবি করা হয়, এটি সনাতনীদের ধর্মীয় স্থাপনা। এটি রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বানও জানানো হয় লাইভ ভিডিওটিতে। লাইভটি রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাড়ে নয় হাজার শেয়ার হয়েছে। দেখা হয়েছে ৬ লাখের বেশি। স্থাপনাটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে ‘প্রিয় শহর বেনাপোল’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে স্থাপনাটির একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটি থেকে জানা যায়, এটি সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবস্থিত ‘রাজ প্রাসাদ’ নামের একটি কফি শপ ও রেস্টুরেন্ট।
একই পেজ থেকে পরে আরেকটি পোস্ট দিয়ে বলা হয়, আগের ভিডিওটিতে দেখানো স্থাপনাটি কোনো মন্দির বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নয়। আরও দাবি করা হয়, এটি একজন সনাতনীর প্রতিষ্ঠান, কিছু লোক নিজের লাভের জন্য অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তবে আজকের পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেম বলেন, রাজ প্রাসাদ কফি শপ ও রেস্টুরেন্টটি কলারোয়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামান শাহজাদার।
দাবি ২. ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে
দেশ জুড়ে অস্থিরতার মধ্যে দেশি ও ভারতীয় বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আগুনে জ্বলন্ত একটি বাড়ির ছবি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়ি। তবে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল বাড়ির ছবিটি নড়াইল–২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ির ছবি। ক্রিকেটার লিটন দাসের বাড়িতে হামলা বা ভাঙচুরের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আজকের পত্রিকার দিনাজপুর প্রতিনিধি আনিসুল হকও নিশ্চিত করেছেন লিটন দাসের বাড়িতে হামলার দাবিটি সঠিক নয়, গুজব।
দাবি ৩. দেবী দুর্গার ভাঙা প্রতিমা
‘বিজয় উল্লাসটা মন্দির, প্রতিমা ভেঙেই শুরু করলেন? এটাই তাহলে বিজয়?’ এমন ক্যাপশনে দেবী দুর্গার মস্তকহীন একটি ছবি ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ‘বাংলাদেশ দর্পণ’ নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। ছবিটি ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারিতে প্রকাশিত ‘দুর্গাপূজাকালীন সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত স্থগিতের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের’—এমন শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে