ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত মোট ৩১০ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হামলা ও গুলি করে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং নিরীহ লোকজনকে হত্যার অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
গত ৬ অক্টোবর দৈনিক দেশ রূপান্তরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব মামলার বেশির ভাগ আসামিই আত্মগোপনে আছেন। ইতিমধ্যে সাবেক দুই আইজিপিসহ অন্তত ১০–১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাবেক ও বর্তমান অন্তত ৯০ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের তালিকায় আছেন। আজকের পত্রিকায় ২৬ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশের সংখ্যা ১৮৭। এমন প্রেক্ষাপটে ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটিতে বাংলাদেশ পুলিশের কয়েকজন সদস্যের ছবি রয়েছে।
এহসান আয়ান নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত বুধবার (৬ নভেম্বর) ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে রিঅ্যাকশন পড়েছে ১ হাজার, শেয়ার হয়েছে শতের কাছাকাছি এবং মন্তব্য পড়েছে শতাধিক। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই ঘটনাটি বাংলাদেশের মনে করে কমেন্ট করেছেন।
অনেকেই লিখেছেন, এই পুলিশ সদস্যদের আরও আগেই চাকরিচ্যুত করা উচিত ছিল। কারও মন্তব্যে উঠে এসেছে, এই পুলিশ সদস্যরা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত, দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য। পোস্টটিতে দাবির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
এই ফটোকার্ডযুক্ত সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি পাওয়া যায় নিউজ টুডে নামের আরেকটি ফেসবুক পেজে। গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পেজটিতে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের ছবি ব্যবহার করে তৈরি ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে রিঅ্যাকশন পড়েছে ৬০ হাজারের বেশি, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫ হাজার এবং মন্তব্য করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার।
এসব মন্তব্যে চাকরিচ্যুতির পক্ষে–বিপক্ষে মন্তব্য পাওয়া যায়। চাকরিচ্যুতির বিরোধিতা করে হারুনুর রশিদ আজাদ নামে একজন লিখেছেন, ‘জঙ্গি নিয়োগ শুরু হয়েছে বুঝি!’ আকরাম হোসাইন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আল্লাহ আল্লাহ করেন। অবশ্যই আল্লাহ রিজিকদাতা। যেভাবে পুলিশের ৬০০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে বিদায় করল, ইনশা আল্লাহ আবারও তারা চাকরি ফিরে পাবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
আবার চাকরিচ্যুতির পক্ষে লুৎফর রহমান নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘শুধু চাকরিচ্যুত করলেই হবে না—এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
এসব মন্তব্যের মধ্যেই পোস্টটির কমেন্টবক্সে একটি প্রতিবেদনের লিংক পাওয়া যায়। লিংকটি থেকে জানা যায়, ৬০০ পুলিশ সদস্যের চাকরিচ্যুতির এই ঘটনা যুক্তরাজ্যের।
পরে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের ওপর জনসাধারণের আস্থা ফেরানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের রেকর্ডসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এই দুই রাজ্যে প্রায় ৬০০ পুলিশকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ব্রিটিশ পুলিশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুলিশ কলেজের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ৫৯৩ জন পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের পুনরায় কাজে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৪৩টি পুলিশ বাহিনীর এই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় বরখাস্তের হার ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এদের মধ্যে ৭৪ জনকে যৌন অপরাধ ও অসদাচরণের জন্য এবং ১৮ জনকে শিশু নির্যাতন-সংক্রান্ত অপরাধের জেরে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পেছনে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ অসততা ও বৈষম্যমূলক আচরণের।
অর্থাৎ, ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ভাইরাল ঘটনাটি মূলত যুক্তরাজ্যের। এমন ঘটনার সংবাদের ফটোকার্ডে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের ছবি ব্যবহার করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, দৈনিক কালের কণ্ঠে গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের বরাত দিয়ে বলা হয়, যে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য ঘোষণা দেওয়ার পরও পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেননি, তাঁদের বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই বিভাগীয় মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের তালিকা হচ্ছে। গত ৩ নভেম্বর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, প্রাণঘাতী অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণকারী পুলিশের অন্তত ৭৪৭ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তা গত ১৮ থেকে ২১ জুলাই গুলি করেছেন। তালিকাটি যাচাই–বাছাই করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতি বলপ্রয়োগকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অনেকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত করছে।
সম্প্রতি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটে সারদা পুলিশ একাডেমিতে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত মোট ৩১০ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হামলা ও গুলি করে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং নিরীহ লোকজনকে হত্যার অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
গত ৬ অক্টোবর দৈনিক দেশ রূপান্তরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব মামলার বেশির ভাগ আসামিই আত্মগোপনে আছেন। ইতিমধ্যে সাবেক দুই আইজিপিসহ অন্তত ১০–১২ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাবেক ও বর্তমান অন্তত ৯০ জন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের তালিকায় আছেন। আজকের পত্রিকায় ২৬ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পুলিশের সংখ্যা ১৮৭। এমন প্রেক্ষাপটে ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটিতে বাংলাদেশ পুলিশের কয়েকজন সদস্যের ছবি রয়েছে।
এহসান আয়ান নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত বুধবার (৬ নভেম্বর) ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে রিঅ্যাকশন পড়েছে ১ হাজার, শেয়ার হয়েছে শতের কাছাকাছি এবং মন্তব্য পড়েছে শতাধিক। এসব মন্তব্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই ঘটনাটি বাংলাদেশের মনে করে কমেন্ট করেছেন।
অনেকেই লিখেছেন, এই পুলিশ সদস্যদের আরও আগেই চাকরিচ্যুত করা উচিত ছিল। কারও মন্তব্যে উঠে এসেছে, এই পুলিশ সদস্যরা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত, দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য। পোস্টটিতে দাবির পক্ষে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
এই ফটোকার্ডযুক্ত সবচেয়ে ভাইরাল পোস্টটি পাওয়া যায় নিউজ টুডে নামের আরেকটি ফেসবুক পেজে। গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পেজটিতে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের ছবি ব্যবহার করে তৈরি ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়। এই পোস্টে রিঅ্যাকশন পড়েছে ৬০ হাজারের বেশি, শেয়ার হয়েছে প্রায় ৫ হাজার এবং মন্তব্য করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার।
এসব মন্তব্যে চাকরিচ্যুতির পক্ষে–বিপক্ষে মন্তব্য পাওয়া যায়। চাকরিচ্যুতির বিরোধিতা করে হারুনুর রশিদ আজাদ নামে একজন লিখেছেন, ‘জঙ্গি নিয়োগ শুরু হয়েছে বুঝি!’ আকরাম হোসাইন নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আল্লাহ আল্লাহ করেন। অবশ্যই আল্লাহ রিজিকদাতা। যেভাবে পুলিশের ৬০০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে বিদায় করল, ইনশা আল্লাহ আবারও তারা চাকরি ফিরে পাবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
আবার চাকরিচ্যুতির পক্ষে লুৎফর রহমান নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘শুধু চাকরিচ্যুত করলেই হবে না—এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
এসব মন্তব্যের মধ্যেই পোস্টটির কমেন্টবক্সে একটি প্রতিবেদনের লিংক পাওয়া যায়। লিংকটি থেকে জানা যায়, ৬০০ পুলিশ সদস্যের চাকরিচ্যুতির এই ঘটনা যুক্তরাজ্যের।
পরে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের ওপর জনসাধারণের আস্থা ফেরানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের রেকর্ডসংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এই দুই রাজ্যে প্রায় ৬০০ পুলিশকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ব্রিটিশ পুলিশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুলিশ কলেজের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ৫৯৩ জন পুলিশ সদস্যকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের পুনরায় কাজে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ৪৩টি পুলিশ বাহিনীর এই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগের বছরের তুলনায় বরখাস্তের হার ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এদের মধ্যে ৭৪ জনকে যৌন অপরাধ ও অসদাচরণের জন্য এবং ১৮ জনকে শিশু নির্যাতন-সংক্রান্ত অপরাধের জেরে চাকরিচ্যুত করা হয়। এর পেছনে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ অসততা ও বৈষম্যমূলক আচরণের।
অর্থাৎ, ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ভাইরাল ঘটনাটি মূলত যুক্তরাজ্যের। এমন ঘটনার সংবাদের ফটোকার্ডে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের ছবি ব্যবহার করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, দৈনিক কালের কণ্ঠে গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগরের বরাত দিয়ে বলা হয়, যে ১৮৭ জন পুলিশ সদস্য ঘোষণা দেওয়ার পরও পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেননি, তাঁদের বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই বিভাগীয় মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যদের তালিকা হচ্ছে। গত ৩ নভেম্বর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, প্রাণঘাতী অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণকারী পুলিশের অন্তত ৭৪৭ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কনস্টেবল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তা গত ১৮ থেকে ২১ জুলাই গুলি করেছেন। তালিকাটি যাচাই–বাছাই করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতি বলপ্রয়োগকারী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অনেকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত করছে।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১৩ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
২ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে