ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
গত সপ্তাহের রোববার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর গ্যালারিতে হঠাৎ লাঠি হাতে প্রবেশ করেন এক যুবক। তাঁর পরনে ছিল হাফহাতা সাদা গেঞ্জি ও কালো ট্রাউজার। মাথায় ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা। এসেই তিনি গান গেয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং লাঠি হাতে জোরে জোরে মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় গ্যালারিতে থাকা ছাত্র–ছাত্রীরা ভয়ে বেরিয়ে যান। এই সময়ের ধারণকৃত একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে একাধিক ফেসবুক পেজ এবং ব্যক্তিগত আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা মেডিকেল কলেজে ঢুকে হুমকি প্রদান করছে। যদিও মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা বলেছেন, এ ভিডিওর সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। স্বার্থান্বেষী মহল ভিডিওটি ঘিরে জলঘোলা করার অপচেষ্টা করছে। তারা এ অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক আছেন।
সম্প্রতি এ ভিডিও পুনরায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ভিডিওটি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। আল জাজিরার লোগোযুক্ত ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে পুরুষ কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুত তাহরীরের এক সদস্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। ৫ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত ধরে ক্ষমতায় আসেন এরপর তিনি কারাগার থেকে দেশের সব জঙ্গিদের মুক্তি দিয়ে দেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশ কঠিন একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ...
আল জাজিরা কি এমন কোনো প্রতিবেদন করেছে? দাবিটির সত্যতা যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে আল–জাজিরার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো খুঁজে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ঘটনা নিয়ে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ নিয়ে সবশেষ প্রতিবেদন পাওয়া যায় গত ৩১ অক্টোবর। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে লেখা একটি মতামত কলাম। এটিসহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ঘটনার দিন থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমটি বাংলাদেশ নিয়ে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাকি দুটি প্রতিবেদনের একটি বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ম্যাচ নিয়ে, আরেকটি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে।
বাংলাদেশের কোনো সংবাদমাধ্যমেও আল জাজিরার বরাত দিয়ে এমন কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
এসব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এটি নিশ্চিত, আল–জাজিরা এমন কোনো খবর প্রকাশ করেনি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ভাইরাল ভিডিওটির ওপর আল–জাজিরার লোগো, ইংরেজি ভয়েস ও সাবটাইটেল যুক্ত করে আল জাজিরার নামে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
ভাইরাল এ যুবকের পরিচয় নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ যুবক সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে জানান, ওই যুবকের নাম জুবায়ের এলাহী। পরিবার দাবি, তিনি মানসিক রোগী। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ঘটনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুবায়ের এলাহীর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মানসিক রোগী। ২০১৫ সাল থেকে তাঁকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলছে। তবে প্রত্যাশিত ফল আসেনি। গত রোববার রাজধানীর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হঠাৎ করেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগেও ৮–১০ বার পাগলামির কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে হঠাৎ পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন। পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বলা হয়, জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ জুবায়েরের চিকিৎসা চলছে, কিন্তু তিনি সুস্থ হননি।
গত সপ্তাহের রোববার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ১ নম্বর গ্যালারিতে হঠাৎ লাঠি হাতে প্রবেশ করেন এক যুবক। তাঁর পরনে ছিল হাফহাতা সাদা গেঞ্জি ও কালো ট্রাউজার। মাথায় ছিল কালো কাপড়ে বাঁধা। এসেই তিনি গান গেয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং লাঠি হাতে জোরে জোরে মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় গ্যালারিতে থাকা ছাত্র–ছাত্রীরা ভয়ে বেরিয়ে যান। এই সময়ের ধারণকৃত একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে একাধিক ফেসবুক পেজ এবং ব্যক্তিগত আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা মেডিকেল কলেজে ঢুকে হুমকি প্রদান করছে। যদিও মেডিকেল কলেজটির শিক্ষার্থীরা বলেছেন, এ ভিডিওর সঙ্গে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। স্বার্থান্বেষী মহল ভিডিওটি ঘিরে জলঘোলা করার অপচেষ্টা করছে। তারা এ অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক আছেন।
সম্প্রতি এ ভিডিও পুনরায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ভিডিওটি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাত ধরে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। আল জাজিরার লোগোযুক্ত ৩৪ সেকেন্ডের ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে পুরুষ কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, বাংলাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুত তাহরীরের এক সদস্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। ৫ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত ধরে ক্ষমতায় আসেন এরপর তিনি কারাগার থেকে দেশের সব জঙ্গিদের মুক্তি দিয়ে দেন। এরপর থেকেই বাংলাদেশ কঠিন একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ...
আল জাজিরা কি এমন কোনো প্রতিবেদন করেছে? দাবিটির সত্যতা যাচাই করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে আল–জাজিরার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো খুঁজে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ঘটনা নিয়ে কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ নিয়ে সবশেষ প্রতিবেদন পাওয়া যায় গত ৩১ অক্টোবর। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে লেখা একটি মতামত কলাম। এটিসহ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ঘটনার দিন থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমটি বাংলাদেশ নিয়ে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বাকি দুটি প্রতিবেদনের একটি বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ম্যাচ নিয়ে, আরেকটি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিয়ে।
বাংলাদেশের কোনো সংবাদমাধ্যমেও আল জাজিরার বরাত দিয়ে এমন কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
এসব অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এটি নিশ্চিত, আল–জাজিরা এমন কোনো খবর প্রকাশ করেনি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ভাইরাল ভিডিওটির ওপর আল–জাজিরার লোগো, ইংরেজি ভয়েস ও সাবটাইটেল যুক্ত করে আল জাজিরার নামে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
ভাইরাল এ যুবকের পরিচয় নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজকের পত্রিকা। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ যুবক সম্পর্কে আজকের পত্রিকাকে জানান, ওই যুবকের নাম জুবায়ের এলাহী। পরিবার দাবি, তিনি মানসিক রোগী। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ঘটনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুবায়ের এলাহীর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল পাক্কার মাথা এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মানসিক রোগী। ২০১৫ সাল থেকে তাঁকে সুস্থ করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলছে। তবে প্রত্যাশিত ফল আসেনি। গত রোববার রাজধানীর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে হঠাৎ করেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটান।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগেও ৮–১০ বার পাগলামির কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ১৩ বছর বয়সে হঠাৎ পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা শুরু করেন। পরে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বলা হয়, জুবায়ের একজন মানসিক রোগী। দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ জুবায়েরের চিকিৎসা চলছে, কিন্তু তিনি সুস্থ হননি।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১৩ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৭ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
২ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে