সৌগত বসু, ঢাকা
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ১৩ বছরে এক-তৃতীয়াংশও শেষ হয়নি। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ধাপে ধাপে জমি বুঝে পেতে সময় লাগবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বাধা পাচ্ছে কাজের অগ্রগতি। ১৩ বছরে কাজের অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব জানা গেছে।
সূত্রমতে, রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগের উন্নতির লক্ষ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি হাতে নেয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালে। তবে মূল কাজ শুরুই হয় ২০১৯ সালে, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছর জুনে। কিন্তু আরও চার বছর বাড়িয়ে মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। শুরুতে যে পরিকল্পনা ছিল, তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা যায়, শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বাড়িয়ে ১ হাজার ১০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা করা হয়। গত জুনে আবার নতুন প্রস্তাবে ব্যয় বাড়িয়ে ৩ হাজার ৩৪২ কোটি ৫৫ টাকা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি, টঙ্গী সেতুর নকশা পরিবর্তন ও ভূমি অধিগ্রহণে খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাহিদা অনুযায়ী টঙ্গী ৪২ নম্বর সেতুর উচ্চতা বাড়াতে হচ্ছে। ফলেও ব্যয় বেড়েছে।
প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেললাইনের কিছু পরিবর্তনের জন্য প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। ভবিষ্যতে ট্রান্স-এশিয়ান রেললাইনে যুক্ত হবে—এমন সম্ভাবনা থাকায় রেলট্র্যাকের কিছু অংশে আগের ৪১ কেজি থেকে এখন ৬০ কেজি রেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় লুপলাইনসহ মোট ১৩৭ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার পথে ৬০ কেজি রেল বসানো হবে। তিনি জানান, তেজগাঁও, বনানী, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কমলাপুর স্টেশন থেকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন ছাড়া এবং স্টেশনে ট্রেন প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। বর্তমানে এ স্টেশনের ভেতর ও প্রবেশপথে একাধিক লাইন না থাকায় ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর স্টেশনে ট্রেন ঢোকাতে হয়।
এক্সপ্রেসওয়েতে বাধা
নাজনীন আরা কেয়া বলেন, রেললাইনের কাজের একটা বড় অংশে চলমান আছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। ফলে সেখান দিয়ে রেলের ট্র্যাক বসানোর মতো জায়গা নেই। এক্সপ্রেসওয়ের কাছ থেকে জমি বুঝে নিয়ে কাজ এগোতে হবে। এখন বনানী থেকে টঙ্গী অংশ পর্যন্ত কাজ চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের অনেক জায়গায় কাজ শেষ হলেও নিচে কাজের যন্ত্রপাতি থাকায় সেই অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া এসব জমি বুঝে পেতে আরও এক বছর লাগবে। আর এখানে যে সময় লাগছে, সেই সময়ে পুরো প্রকল্পের সব খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
একটি নথিতে দেখা যায়, জমি হস্তান্তর নিয়ে তিনবার সময় পরিবর্তন করেছে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ মহাখালী অংশে রেলের জমি বুঝে পেতে সময় নেওয়া হয়েছে জুলাই পর্যন্ত এবং কমলাপুর অংশে সময় নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নাজনীন আরা কেয়া আরও বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে বনানী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেল প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ শুরুই করা যায়নি। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা ছিল। গত তিন বছরে তা ঠিক করা হয়েছে।
তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, ২০২০ সালে রেলের কাছ থেকে জায়গা বুঝে নিয়েছেন তাঁরা। এরপর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ রেললাইনের পাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার করেছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বস্তি উচ্ছেদসহ জায়গা পুনর্দখল করায় রেলওয়েকে জমি উদ্ধারে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। কাওলা, কড়াইল, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁওয়ে জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারপরও আমাদের দোষ দেওয়া হয়, তারা কাজ করতে পারছে না।’ রেলওয়েকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত অংশ এরই মধ্যে রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তেজগাঁও পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার পথে। এ মাসের মধ্যেই এই অংশ রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ ১৩ বছরে এক-তৃতীয়াংশও শেষ হয়নি। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ধাপে ধাপে জমি বুঝে পেতে সময় লাগবে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বাধা পাচ্ছে কাজের অগ্রগতি। ১৩ বছরে কাজের অগ্রগতি ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব জানা গেছে।
সূত্রমতে, রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগের উন্নতির লক্ষ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি হাতে নেয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালে। তবে মূল কাজ শুরুই হয় ২০১৯ সালে, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছর জুনে। কিন্তু আরও চার বছর বাড়িয়ে মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত। শুরুতে যে পরিকল্পনা ছিল, তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা যায়, শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে প্রথম সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় বাড়িয়ে ১ হাজার ১০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা করা হয়। গত জুনে আবার নতুন প্রস্তাবে ব্যয় বাড়িয়ে ৩ হাজার ৩৪২ কোটি ৫৫ টাকা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি, টঙ্গী সেতুর নকশা পরিবর্তন ও ভূমি অধিগ্রহণে খরচ বেড়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাহিদা অনুযায়ী টঙ্গী ৪২ নম্বর সেতুর উচ্চতা বাড়াতে হচ্ছে। ফলেও ব্যয় বেড়েছে।
প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেললাইনের কিছু পরিবর্তনের জন্য প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। ভবিষ্যতে ট্রান্স-এশিয়ান রেললাইনে যুক্ত হবে—এমন সম্ভাবনা থাকায় রেলট্র্যাকের কিছু অংশে আগের ৪১ কেজি থেকে এখন ৬০ কেজি রেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় লুপলাইনসহ মোট ১৩৭ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার পথে ৬০ কেজি রেল বসানো হবে। তিনি জানান, তেজগাঁও, বনানী, টঙ্গী ও ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কমলাপুর স্টেশন থেকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন ছাড়া এবং স্টেশনে ট্রেন প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। বর্তমানে এ স্টেশনের ভেতর ও প্রবেশপথে একাধিক লাইন না থাকায় ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা পরপর স্টেশনে ট্রেন ঢোকাতে হয়।
এক্সপ্রেসওয়েতে বাধা
নাজনীন আরা কেয়া বলেন, রেললাইনের কাজের একটা বড় অংশে চলমান আছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। ফলে সেখান দিয়ে রেলের ট্র্যাক বসানোর মতো জায়গা নেই। এক্সপ্রেসওয়ের কাছ থেকে জমি বুঝে নিয়ে কাজ এগোতে হবে। এখন বনানী থেকে টঙ্গী অংশ পর্যন্ত কাজ চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের অনেক জায়গায় কাজ শেষ হলেও নিচে কাজের যন্ত্রপাতি থাকায় সেই অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া এসব জমি বুঝে পেতে আরও এক বছর লাগবে। আর এখানে যে সময় লাগছে, সেই সময়ে পুরো প্রকল্পের সব খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
একটি নথিতে দেখা যায়, জমি হস্তান্তর নিয়ে তিনবার সময় পরিবর্তন করেছে এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ মহাখালী অংশে রেলের জমি বুঝে পেতে সময় নেওয়া হয়েছে জুলাই পর্যন্ত এবং কমলাপুর অংশে সময় নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
নাজনীন আরা কেয়া আরও বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে বনানী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রেল প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজ শুরুই করা যায়নি। এ ছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা ছিল। গত তিন বছরে তা ঠিক করা হয়েছে।
তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, ২০২০ সালে রেলের কাছ থেকে জায়গা বুঝে নিয়েছেন তাঁরা। এরপর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ রেললাইনের পাশের জায়গাগুলো পরিষ্কার করেছে। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বস্তি উচ্ছেদসহ জায়গা পুনর্দখল করায় রেলওয়েকে জমি উদ্ধারে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। কাওলা, কড়াইল, কারওয়ান বাজার, তেজগাঁওয়ে জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারপরও আমাদের দোষ দেওয়া হয়, তারা কাজ করতে পারছে না।’ রেলওয়েকে জমি বুঝিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিমানবন্দর থেকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত অংশ এরই মধ্যে রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তেজগাঁও পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার পথে। এ মাসের মধ্যেই এই অংশ রেলওয়েকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে