ফরিদপুর ও গাংনী প্রতিনিধি
গরু ও খাসির মাংস ফের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পোলট্রি মুরগিসহ শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম। গতকাল রোববার ফরিদপুর ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এদিকে এখনই মাছ, মাংস ও সবজির মূল্য বাড়লে রমজান মাসে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা ক্রেতাদের।
ফরিদপুর: শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ এবং খাসির প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন ক্রেতারা। নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাসির মাংস নিতে এসেছিলেন। তিনি বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে শুনেছি খাসি ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; কিন্তু আজ এসে দেখি ১ হাজার টাকা কেজি। এত দাম হলে কীভাবে কিনব, তবুও নিতে হচ্ছে।’
এ ছাড়া মুরগিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাজারে পোলট্রি মুরগি প্রতি কেজি ২০০, সোনালি মুরগি ৩০০ এবং ককজাতীয় মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন মাংসের দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই অভিযানের পর ডিসেম্বরে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন; কিন্তু হঠাৎ দাম বাড়িয়ে সেই পুরোনো দামে বিক্রি শুরু করেছেন তাঁরা।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও অন্য সব পণ্যের দামই বেড়েছে। শহরের থানা রোড ও ময়রাপট্টিসংলগ্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুড়িকাটা (নতুন পেঁয়াজ) প্রতি কেজি ৮০, কাঁচা মরিচ ৭০-৮০, বেগুন ৮০, আলু ৫০, টমেটো ৬০, ফুলকপি ৬০, আদা ২০০ এবং রসুন ২৫০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া চালের বাজারেও অস্বস্তি দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাসমতী প্রতি কেজি ৮০, মিনিকেট ৬৫, আটাশ ৫৫ ও কাজললতা ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩-৫ টাকা বেড়েছে।
বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন লায়েকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘বেশি দামে বাজার করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এ নিয়ে আর কি মন্তব্য করব। বাজার না করলে তো বাঁইচ্যা থাকা যায় না। চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য মাছ-মুরগি ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ কাঁচাবাজার করেছি প্রায় ২২০০ টাকার। এবার হিসাব করে দেখেন মানুষ বাঁচবে কী করে?’
ফরিদপুর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে কিছুদিন বাজারগুলোতে অভিযান বন্ধ ছিল। এজন্য হয়তো মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামীকাল (আজ) থেকে আমাদের অভিযান শুরু হবে। বাজার তদারকি বাড়ানো হবে।’
গাংনী (মেহেরপুর): উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭০০ ও মহিষের ৭৫০, খাসির ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ২০০, সোনালি ৩৪০-৩৫০, লেয়ার ৩৫০ ও দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে সব সবজির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি গাজর ৪০, শিম ৫০, টমেটো ৪০, বেগুন ৫০, আলু ৬০, রসুন ২৫০, পেঁয়াজ ৮০, ফুলকপি ৫০, কুমড়া ৪০ ও কাঁচকলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, মাছ-মাংস ও সবজির মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বাজার করাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর আগে কখনো শীতের মধ্যে সবজির মূল্য এত বাড়তে দেখিনি। ক্রেতা ইনতাজুল ইসলাম বলেন, ‘সব ধরনের সবজির মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে সামান্য কম ছিল, আজ আবার বেড়েছে। এখন যদি দাম না কমে, তাহলে রমজানে কমার আর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’ মাংস ব্যবসায়ী মো. বকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বেশি দামে গরু-মহিষ ক্রয় করতে হচ্ছে, তাই মাংসের দামও বেশি।’
গরু ও খাসির মাংস ফের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পোলট্রি মুরগিসহ শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম। গতকাল রোববার ফরিদপুর ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এদিকে এখনই মাছ, মাংস ও সবজির মূল্য বাড়লে রমজান মাসে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা ক্রেতাদের।
ফরিদপুর: শহরের হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ এবং খাসির প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন ক্রেতারা। নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি খাসির মাংস নিতে এসেছিলেন। তিনি বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে শুনেছি খাসি ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে; কিন্তু আজ এসে দেখি ১ হাজার টাকা কেজি। এত দাম হলে কীভাবে কিনব, তবুও নিতে হচ্ছে।’
এ ছাড়া মুরগিও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাজারে পোলট্রি মুরগি প্রতি কেজি ২০০, সোনালি মুরগি ৩০০ এবং ককজাতীয় মুরগি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন মাংসের দোকানে অভিযান চালায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই অভিযানের পর ডিসেম্বরে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি করেন; কিন্তু হঠাৎ দাম বাড়িয়ে সেই পুরোনো দামে বিক্রি শুরু করেছেন তাঁরা।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দামে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও অন্য সব পণ্যের দামই বেড়েছে। শহরের থানা রোড ও ময়রাপট্টিসংলগ্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুড়িকাটা (নতুন পেঁয়াজ) প্রতি কেজি ৮০, কাঁচা মরিচ ৭০-৮০, বেগুন ৮০, আলু ৫০, টমেটো ৬০, ফুলকপি ৬০, আদা ২০০ এবং রসুন ২৫০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া চালের বাজারেও অস্বস্তি দেখা গেছে। শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাসমতী প্রতি কেজি ৮০, মিনিকেট ৬৫, আটাশ ৫৫ ও কাজললতা ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩-৫ টাকা বেড়েছে।
বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন লায়েকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘বেশি দামে বাজার করতে করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এ নিয়ে আর কি মন্তব্য করব। বাজার না করলে তো বাঁইচ্যা থাকা যায় না। চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য মাছ-মুরগি ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ কাঁচাবাজার করেছি প্রায় ২২০০ টাকার। এবার হিসাব করে দেখেন মানুষ বাঁচবে কী করে?’
ফরিদপুর ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে কিছুদিন বাজারগুলোতে অভিযান বন্ধ ছিল। এজন্য হয়তো মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগামীকাল (আজ) থেকে আমাদের অভিযান শুরু হবে। বাজার তদারকি বাড়ানো হবে।’
গাংনী (মেহেরপুর): উপজেলার বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস ৭০০ ও মহিষের ৭৫০, খাসির ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ২০০, সোনালি ৩৪০-৩৫০, লেয়ার ৩৫০ ও দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে সব সবজির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি গাজর ৪০, শিম ৫০, টমেটো ৪০, বেগুন ৫০, আলু ৬০, রসুন ২৫০, পেঁয়াজ ৮০, ফুলকপি ৫০, কুমড়া ৪০ ও কাঁচকলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, মাছ-মাংস ও সবজির মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে বাজার করাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এর আগে কখনো শীতের মধ্যে সবজির মূল্য এত বাড়তে দেখিনি। ক্রেতা ইনতাজুল ইসলাম বলেন, ‘সব ধরনের সবজির মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে সামান্য কম ছিল, আজ আবার বেড়েছে। এখন যদি দাম না কমে, তাহলে রমজানে কমার আর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’ মাংস ব্যবসায়ী মো. বকুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বেশি দামে গরু-মহিষ ক্রয় করতে হচ্ছে, তাই মাংসের দামও বেশি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে