রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে ৪৪৫ হেক্টর কৃষি জমি। এ ছাড়া পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে অর্ধশত পরিবার।
কৃষকেরা জানান, উপজেলার চাক্তাবাড়ি এলাকায় চার বছর আগে চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজীবপুর বেড়িবাঁধের ১৭ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এরপর তা আর মেরামত না করায় পানি ঢুকে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ৭২০ কৃষক। তাঁরা দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, চাক্তাবাড়ি সুইট মোড় থেকে কর্তিমারী মাস্টারপাড়া এলাকায় জমিতে পানি থই থই করছে। এতে চলাচল করছে নৌকা। বন্যার সময় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখানে পানি ঢুকে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে আছে।
পাশের ধনারচর নতুনগ্রামে একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে কর্তিমারী বাজার এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। এতে করে তলিয়ে যাওয়া জমির পানি বের হতে পারছে না।
চাক্তাবাড়ির জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিবছর বন্যার পানি বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে আর বের হয় না। পানি জমে থাকায় তাঁর তিন বিঘা জমিতে আবাদ করতে পারছেন না। এ অবস্থা চললে সরিষা, আমনসহ কোনো আবাদই করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তাঁর।
একই গ্রামের কৃষক তারা মিয়া বলেন, বাড়ির চারপাশে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে তাঁর পরিবারটিকে।
স্থানীয় কৃষক মজিবর রহমান, আজিবর রহমান, আলী আকবরসহ অনেকে অভিযোগ করেন, চার বছর আগে বন্যার পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও তা আজও মেরামত করা হয়নি। এতে প্রতিবছর বন্যার সময় পানি ঢুকছে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম জানান, চার বছরে ধরে এ অবস্থা চললেও বেড়িবাঁধের দেখভালের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা এটি মেরামতের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে বছরের বেশির ভাগ সময় জমিতে পানি জমে থাকে।
রৌমারীর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসার আলী বলেন, ওই এলাকার ৭২৫ কৃষকের ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ১১০ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাটসহ সবজি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান, কৃষকদের পুনর্বাসনে কোনো প্রণোদনা বরাদ্দ না আসায় ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো তলিয়ে আছে ৪৪৫ হেক্টর কৃষি জমি। এ ছাড়া পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে অর্ধশত পরিবার।
কৃষকেরা জানান, উপজেলার চাক্তাবাড়ি এলাকায় চার বছর আগে চাক্তাবাড়ি-ধনারচর-রাজীবপুর বেড়িবাঁধের ১৭ মিটার অংশ ভেঙে যায়। এরপর তা আর মেরামত না করায় পানি ঢুকে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ৭২০ কৃষক। তাঁরা দ্রুত বেড়িবাঁধ সংস্কারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, চাক্তাবাড়ি সুইট মোড় থেকে কর্তিমারী মাস্টারপাড়া এলাকায় জমিতে পানি থই থই করছে। এতে চলাচল করছে নৌকা। বন্যার সময় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখানে পানি ঢুকে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়ে আছে।
পাশের ধনারচর নতুনগ্রামে একটি সেতুর মুখ বন্ধ করে বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে কর্তিমারী বাজার এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে স্থাপনা। এতে করে তলিয়ে যাওয়া জমির পানি বের হতে পারছে না।
চাক্তাবাড়ির জাহিদ হোসেন জানান, প্রতিবছর বন্যার পানি বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে ঢুকে আর বের হয় না। পানি জমে থাকায় তাঁর তিন বিঘা জমিতে আবাদ করতে পারছেন না। এ অবস্থা চললে সরিষা, আমনসহ কোনো আবাদই করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা তাঁর।
একই গ্রামের কৃষক তারা মিয়া বলেন, বাড়ির চারপাশে পানি জমে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে খুব চিন্তায় আছেন। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে তাঁর পরিবারটিকে।
স্থানীয় কৃষক মজিবর রহমান, আজিবর রহমান, আলী আকবরসহ অনেকে অভিযোগ করেন, চার বছর আগে বন্যার পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও তা আজও মেরামত করা হয়নি। এতে প্রতিবছর বন্যার সময় পানি ঢুকছে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল কালাম জানান, চার বছরে ধরে এ অবস্থা চললেও বেড়িবাঁধের দেখভালের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা এটি মেরামতের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। ফলে বছরের বেশির ভাগ সময় জমিতে পানি জমে থাকে।
রৌমারীর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আফসার আলী বলেন, ওই এলাকার ৭২৫ কৃষকের ৪৪৫ হেক্টর আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ১১০ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাটসহ সবজি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী জানান, কৃষকদের পুনর্বাসনে কোনো প্রণোদনা বরাদ্দ না আসায় ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে