সাতক্ষীরায় অতিবৃষ্টি ও নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে হাজারো ঘের প্লাবিত হয়েছে। মৎস্যঘের ভেসে যাওয়ায় মাথায় হাত উঠেছে চাষিদের। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে মাছ চাষ হয়েছে, যার মধ্যে ভেসে গেছে ৫ হাজার হেক্টর ঘেরের মাছ। ক্ষতির পরিমাণ ৬৩ কোটি টাকা।
পটুয়াখালীর সদর উপজেলার পায়রা নদীরতীর ঘেঁষে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ। উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিচান্না ও ধনখালী গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে এক যুগ আগে বেড়িবাঁধের ওপর প্রায় ৯ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
আফ্রিকার দেশ সুদানের পূর্বাঞ্চলে বাঁধ ভেঙে গিয়ে বন্যার তোড়ে অন্তত ২০টি গ্রাম ভেসে গেছে। ফলে অন্তত ৫৮ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩২ জন। লন্ডন থেকে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য
‘স্বামী নাই, ছেলে নাই, তিনটি মেয়ে নিয়ে বেঁচে আছি। এখন দুটি মেয়ে আছে সঙ্গে। এভাবে বৃষ্টি হবে কে জানত? হঠাৎ পানি আসবে এটাই বা কে জানত? মধ্যরাতে কেউ একজন এসে বলল—পড়ছে রে পড়ছে, ভাঙা পড়ছে। এমন শব্দ শুনে মেয়েদের নিয়ে বাঁধের ওপরে এসে কোনো রকম জীবন বাঁচাইছি। শুধু শরীরটা নিয়ে এসেছি। কিছুই বের করতে পারিনি। মু
‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বেড়ি বাঁধে তীব্র আকারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলবাসী। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উঠান মাঝির ঘাট ও বাইগ্যের ঘাটের বেড়িবাঁধ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের ভুলুয়া নদীসংলগ্ন বেড়িবাঁধ কেটে দেওয়ার আশঙ্কায় শত শত মানুষ রাত জেগে পাহারা দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এলাকা স্থানীয় লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারা দেয়।
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঘেঁষে অবৈধভাবে ১০-১৫ ফুট গভীর করে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মাটি কাটার যন্ত্রের (এক্সকাভেটর) যন্ত্রাংশ জব্দ এবং জড়িত ব্যক্তিকে ৫০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। গতকাল সোমবার রাত ১১টার পর মুহুরি ও কুহুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী এবং কুহুয়া নদীর তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে পরশুরামের দক্ষিণ শালধর গ্রামের পাশে, ফুলগাজীর দৌলতপুরে এবং পরশুরাম-ফুলগাজী সীমান্তের কিসমত ঘনিয়ামোড়া এলাকায় বেড়িবা
ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বুড়িতিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার মধ্যম সুন্দর খাতা এলাকায় বুড়িতিস্তা নদীর মূল বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে গেলে এসব গ্রাম প্লাবিত হয়। তাতে শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে, অনেক কৃষকের জমির ফসল ও আমন
বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারে পাথরঘাটায় এসে স্পিড বোটে করে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে খুলনার দাকোপ উপজেলায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বেড়ি বাঁধ ভেঙে দুইটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। তবে আজ সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) কোথাও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনার পাইকগাছায় রিমালের প্রভাবে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০টি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘার চিংড়ির ঘের ভেসে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাছচাষিরা। পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও ফসলি।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার উপকূলীয় এলাকা কয়রা ও দাকোপ উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার অসংখ্য মাছের ঘের ভেসে গেছে। এ ছাড়া ভেঙে গেছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি।
মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ালেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগরসহ উপকূলীয় এলাকায় বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। নদীতে ভাটার সময় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানায় আশঙ্কা অনুযায়ী ক্ষতি হয়নি এলাকাটির।