জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
‘ভিক্ষা করলে জীবন বাঁচে, না করলে না খ্যায়া থাকি, বান্দোত থেক্যা আশ্রায় কোনা (টুকু) ভাংগ্যা দিলে হামি কুটি যামু, কার কাছে যামু ভাই, হামার মাথার ওপর তো কোনো মানুষ নাই।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন পবনতাইড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বসবাস করা তাহেরা বেগম। তাঁর মতো এ আকুতি এখন বাঁধে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া বহু মানুষের। এদের মধ্যে বেশির ভাগ পরিবার নদীভাঙনে বাস্তুভিটা হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
তারা জানায়, ‘দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর বাঁধে আশ্রয় নিয়ে পরিবার-পরিজনসহ কোনো রকমে জীবন নির্বাহ করে আসছি। বাঁধে থাকার ইচ্ছা নেই, বাস্তুভিটা না থাকায় বাধ্য হয়ে আছি। এখন বাঁধ থেকে সরে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব এই চিন্তায় ঘুম ও খানা হারাম হয়ে গেছে।’
জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর ডান তীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বন্যার হাত থেকে উপজেলাকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৬৫ সালে বাঁধটি নির্মাণ করে। ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটি নির্মাণ করায় এলাকার হাজার হাজার একর জমির ফসল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। ধীরে ধীরে বাঁধে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ বাড়িঘর ও স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও বসতি ও স্থাপনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধটি পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে প্রকল্পের টেন্ডার সম্পন্ন করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বাঁধ থেকে বাড়িঘরসহ সব স্থাপনা জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাস্তুভিটাহীন ছিন্নমূল মানুষ।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, তদন্ত করে বাঁধে বসবাস করা বাস্তুহারা মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
‘ভিক্ষা করলে জীবন বাঁচে, না করলে না খ্যায়া থাকি, বান্দোত থেক্যা আশ্রায় কোনা (টুকু) ভাংগ্যা দিলে হামি কুটি যামু, কার কাছে যামু ভাই, হামার মাথার ওপর তো কোনো মানুষ নাই।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন পবনতাইড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বসবাস করা তাহেরা বেগম। তাঁর মতো এ আকুতি এখন বাঁধে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া বহু মানুষের। এদের মধ্যে বেশির ভাগ পরিবার নদীভাঙনে বাস্তুভিটা হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
তারা জানায়, ‘দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর বাঁধে আশ্রয় নিয়ে পরিবার-পরিজনসহ কোনো রকমে জীবন নির্বাহ করে আসছি। বাঁধে থাকার ইচ্ছা নেই, বাস্তুভিটা না থাকায় বাধ্য হয়ে আছি। এখন বাঁধ থেকে সরে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব এই চিন্তায় ঘুম ও খানা হারাম হয়ে গেছে।’
জানা গেছে, সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর ডান তীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বন্যার হাত থেকে উপজেলাকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯৬৫ সালে বাঁধটি নির্মাণ করে। ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটি নির্মাণ করায় এলাকার হাজার হাজার একর জমির ফসল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। ধীরে ধীরে বাঁধে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ বাড়িঘর ও স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও বসতি ও স্থাপনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধটি পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে প্রকল্পের টেন্ডার সম্পন্ন করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বাঁধ থেকে বাড়িঘরসহ সব স্থাপনা জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বাস্তুভিটাহীন ছিন্নমূল মানুষ।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, তদন্ত করে বাঁধে বসবাস করা বাস্তুহারা মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে