বিশ্বজুড়ে উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা ব্যয়বহুল। সেখানে এশিয়ায় তাইওয়ান স্বল্পমূল্যে একই শিক্ষা প্রদানে প্রতিনিধিত্ব করছে। তাইওয়ান আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়নে বৃত্তি দিচ্ছে। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা তাইওয়ানের একাডেমিয়া সিনিকায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি অর্জনের সুযোগ পাবেন। আগ্রহী শিক্ষার
শিক্ষার গুণগত মান এবং নানা সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আদর্শ গন্তব্য হয়ে উঠছে কানাডা। শিক্ষা, গবেষণা এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ থাকায় দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আগ্রহ বাড়ছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় ভেনিয়ার কানাডা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ।
দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ চলমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘চারদিকে ভিক্ষার আওয়াজ। রাস্তায় এত ভিক্ষুক আমরা কখনো দেখিনি।’
‘গন্ডগোলের সময় স্বামীকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে গুলি কইরা মাইরা ফেলছে মিলিটারি বাহিনী। সে কথা মনে উঠলে এখনো গায়ের পশম দাঁড় হয়ে যায় বাপু। তহন আমার চার সন্তান। ক্ষুধা আর অভাব, তাই মেয়ে দুটোকে ভারতে কাজে দত্তক দিছুনু। তারা সেখানেই থাকে এখনো। দুই ছেলে বাড়িতে। একজন আবার প্রতিবন্ধী। জমিজমা কিচ্ছু না, তাতে দুঃখ নে
নেদারল্যান্ডসের অন্যতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাস্ট্রিক্ট ইউনিভার্সিটি। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৬ সালে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চ মেধাবী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এক ও দুই বছরমেয়াদি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দেবে। বৃত্তিটি অর্থায়ন করবে ‘ম্যাস্ট্রিক্ট ইউনিভার্সিটি এ
ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তি ঘৃণিত ও লজ্জাজনক পেশা। ইসলাম কখনো ভিক্ষা করতে উৎসাহিত করে না। হাদিসে এসেছে, ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) একদিন মিম্বরের ওপর দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ওপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ (বুখারি: ১৪২৯) অর্থাৎ ভিক্ষা করার চেয়ে দান করা উত্তম।
ইসলাম মানুষকে আত্মসম্মান নিয়ে জীবনযাপনে উৎসাহিত করে। আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায়। অপ্রয়োজনে মানুষের কাছে হাত পাতা ইসলাম অপছন্দ করে। এ কারণে রাসুল (সা.) ভিক্ষা করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। যারা অপ্রয়োজনে ভিক্ষা করে, তাদের শাস্তি ও পরিণতির কথা বর্ণনা করেছেন। যারা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে,
৪০ জন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে রাস্তা থেকে এনে চাকরি দিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সংস্থাটির পরিচ্ছন্নতা বিভাগে তাঁদের চাকরি হয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই চাকরি দেওয়া হয়। ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে তাঁরা চাকরি চালিয়ে যান ১০ বছর। কিন্তু হঠাৎ ২০২১ সালে চলে যায় তাঁদের চাকরি। আবার শুরু হ
বর্তমানে ভরত জৈনের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি। মুম্বাইয়ে দেড় কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। থানে এলাকায় রয়েছে দুটি দোকান। এ দুটি দোকান থেকে মাসে ৩০ হাজার রুপি ভাড়া পান তিনি।
চট্টগ্রামে নিজের মেয়ের পা আগুনে পুড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ উঠছে হোসনে আরা বেগম (৩৮) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। ওই নারীর মেয়েকে অপহরণের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির ঘটনা উঠে আসে বলে জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত বছর এই দিনেও আব্দুর রহিম ছিলেন সুস্থ–সবল এক দিনমজুর। রাস্তায় কিছু খেতে ইচ্ছে করলে যেন খেয়ে নেয়, সে জন্য স্কুলপড়ুয়া নাতনিটার হাতে গুঁজে দিয়েছিলেন ৬০ টাকা। আর একটা বছর ঘুরে আজকের বিজয় দিবসে তিনি নিজেই হাত পাতছেন রাস্তায়–রাস্তায়...
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার সাভিয়ানগর গ্রামের সেই কমলা বেগম সরকারি ভাতা ও ঘর না পেলেও প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা করে পাবেন। এরই মধ্যে অমর্ত্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের টাকা পাঠিয়েছেন এক অস্ট্রেলিয়া
ফাতেমা বেগমের বয়স ৭০ বছর। ১৫ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গেছেন। তাঁর কোনো সন্তান নেই। ভিক্ষাবৃত্তি না করে প্রতিবেশীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাম্পাসে বিক্রি করেন শিঙাড়া, চপ, পিঁয়াজু। তবে এতে দিন ভালো চলে না। এ ছাড়া ছয় মাস ধরে বয়স্কভাতা পান না তিনি।
ইসলামে ভিক্ষাবৃত্তি একটি ঘৃণিত ও অসম্মানজনক কাজ। ভিক্ষুকেরা সমাজে অত্যন্ত তুচ্ছ ও অবহেলিত জীবন যাপন করে। ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে কখনো প্রশ্রয় দেয়নি; মানুষের কাছে হাত পাততে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।
দিনমজুর সাইফুল ইসলাম ও গৃহিণী জরিনা বেগম দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে ছোট মাহমুদুন নবী। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে এই ছেলে সংসারের অভাব গোছাবেন—এমনই স্বপ্ন ছিল মা-বাবার। কিন্তু এখন সেই ছেলেকেই বাঁচাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে তাঁদের।
‘ভিক্ষা করলে জীবন বাঁচে, না করলে না খ্যায়া থাকি, বান্দোত থেক্যা আশ্রায় কোনা (টুকু) ভাংগ্যা দিলে হামি কুটি যামু, কার কাছে যামু ভাই, হামার মাথার ওপর তো কোনো মানুষ নাই।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন পবনতাইড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বসবাস করা তাহেরা বেগম। তাঁর মতো এ আকুতি এখন বাঁধে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাওয়া
দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন রাইফেল-গ্রেনেড হাতে। সেই হাত এখন অন্যের অনুকম্পা চায়। আসলে চাইতে বাধ্য হচ্ছেন মস্তফা ভূঁইয়া (৭১)। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান ও সরকারি সহায়তা পেলে হয়তো এভাবে পথে নামতে হতো না তাঁকে।