জাহীদ রেজা নূর
চিত্রনায়িকা কবরীর মৃত্যু আমাদের বিষণ্ন করে তোলে। তাঁকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন কতটা সাধারণ ছিলেন তিনি। নায়িকারা তারকা, অর্থাৎ নক্ষত্র। দূর দেশেই থাকেন তাঁরা। তাঁদের কাছাকাছি হওয়া কঠিন।
কিন্তু কবরীকে দেখে সে ধারণা ভেঙে গেল। কথা বলছিলেন যখন, মনে হচ্ছিল কাছের মানুষ। যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় যেভাবে মানুষ কথা বলে, সেভাবেই কথা বলেছিলেন তিনি। এবং আমরা অবাক হয়েছিলাম, বহুদূরের এই তারকা হঠাৎ করে একেবারে কাছের মানুষ হয়ে গেলেন আমাদের। জীবনের দুটো গল্প বলেছিলেন আমাকে। ছাপা হয়েছে তা পত্রিকায়। আজ আবার সেই গল্প দুটো বলব। মানুষের মন কখন কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তার একটা মিষ্টি উদাহরণ হিসেবে থাকবে গল্প দুটো।
একটি গল্পের শুরু ২০০৭ সালে। ছেলে শাকেরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন জার্মানির হামবুর্গে। ক্লান্ত হয়ে শাকের ঘুমিয়ে গিয়েছিল হোটেল রুমে। কবরী এসে বসে ছিলেন লবিতে। এ সময় ২৭–২৮ বছর বয়সী এক ছেলেকে দেখলেন তিনি। বারবার কবরীর দিকে তাকাচ্ছিল সে। তারপর একসময় কবরীর কাছে এসে বলল, ‘আমি এই হোটেলের মালিকের ছেলে। তুমি কি টাকা চেঞ্জ করতে চাও? একটু ঘুরতে চাও?’
কবরীর বেশ ভালো লাগল ভদ্র ছেলেটিকে। ডলার ভাঙালেন তিনি, খানিক ঘুরলেন। হোটেলে ফেরার পর শাকের জিজ্ঞেস করল, ‘মা, তুমি কোথায় গিয়েছিলে?’
কবরী ছেলেকে বললেন সব কথা। কবরী বুঝতে পারছিলেন, জার্মান ছেলেটিকে ভালো লাগছে তাঁর। ছেলেটি পরদিন এসে বলল, ‘তোমাকে নিয়ে ডিনারে যেতে চাই।’
কবরী রাজি হলেন এক শর্তে। ছেলেকেও নিয়ে যেতে হবে। ছেলের কথা শুনে জার্মান ছেলেটা একটু দমে গেল। কিন্তু রাজি হলো। কিন্তু ডিনারের সময় বয়ে যায়, ছেলেটা আর আসে না। সেজেগুজে বসে ছিলেন কবরী। এর মধ্যে শাকেরও কোথাও বেরিয়ে গেল। মেজাজ খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়লেন কবরী।
পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শাকের মুচকি মুচকি হাসছে। এরপর বোঝা গেল আগের দিন কী ঘটেছে। জার্মান ছেলেটা সময়মতোই এসেছিল, কিন্তু শাকেরই ওকে বলেছে, ‘মা ঘুমাচ্ছে, চলো আমরা দুজন যাই।’
অসম বয়সী এই প্রেমের কথা মনে রেখেছিলেন কবরী। নানা বয়সের প্রেমের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু গলা পর্যন্ত নেমেছি, তারা হাঁটুজলেও নামেনি। ভালোবাসার তো কত রূপ। তবে এটা বলি তোমাকে, ট্রাডিশনাল প্রেম বলতে যা বোঝায়, তেমন কিছু আমার জীবনে ঘটেনি।’
আরেকটি অবাক করা প্রেমের গল্প বলেছিলেন। ২০১১ বা ১২ সালে একবার চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন কবরী। সেখানে এক তরুণ এসে কবরীকে অনুরোধ করল তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য। সবিনয় অনুরোধ। আহ্বানে আন্তরিকতা ছিল, এড়াতে পারলেন না কবরী। সেই বাড়ির সবাই কবরীর ভক্ত। ছেলেটির বাবা বললেন, তিনি শিশু–কবরীর প্রেমে পড়েছিলেন।
কিছুটা সময় কাটালেন কবরী সে বাড়িতে। ভদ্রলোকের পুত্রবধূ বললেন, ‘শ্বশুর মশাই তো সব সময় শুধু আপনার কথাই বলেন!’
ভদ্রলোক কবরীর ফোন নম্বর রেখে দিলেন। গাড়িতে ওঠার পরই তাঁর কাছ থেকে ফোন পেলেন কবরী। খুবই মেজাজ খারাপ হলো। ধরলেন না। এর তিন দিন পর আবার ফোন। কী মুশকিল। এরপর বারবার ফোন। মেজাজ খারাপ হলো আবার। দিন সাতেক পর আবার ফোন। এবার মেজাজ খারাপ করেই ফোন ধরলেন কবরী।
‘হ্যালো, বলুন।’
‘আন্টি, এটা আমি। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার তিন দিন পরই বাবা মারা গেছেন। আপনাকে ফোন করেছিলাম সেদিন।’
খবরটি শুনে পাথরের মতো স্থবির হয়ে গিয়েছিলেন কবরী।
চিত্রনায়িকা কবরীর মৃত্যু আমাদের বিষণ্ন করে তোলে। তাঁকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন কতটা সাধারণ ছিলেন তিনি। নায়িকারা তারকা, অর্থাৎ নক্ষত্র। দূর দেশেই থাকেন তাঁরা। তাঁদের কাছাকাছি হওয়া কঠিন।
কিন্তু কবরীকে দেখে সে ধারণা ভেঙে গেল। কথা বলছিলেন যখন, মনে হচ্ছিল কাছের মানুষ। যেকোনো স্বাভাবিক অবস্থায় যেভাবে মানুষ কথা বলে, সেভাবেই কথা বলেছিলেন তিনি। এবং আমরা অবাক হয়েছিলাম, বহুদূরের এই তারকা হঠাৎ করে একেবারে কাছের মানুষ হয়ে গেলেন আমাদের। জীবনের দুটো গল্প বলেছিলেন আমাকে। ছাপা হয়েছে তা পত্রিকায়। আজ আবার সেই গল্প দুটো বলব। মানুষের মন কখন কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তার একটা মিষ্টি উদাহরণ হিসেবে থাকবে গল্প দুটো।
একটি গল্পের শুরু ২০০৭ সালে। ছেলে শাকেরকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন জার্মানির হামবুর্গে। ক্লান্ত হয়ে শাকের ঘুমিয়ে গিয়েছিল হোটেল রুমে। কবরী এসে বসে ছিলেন লবিতে। এ সময় ২৭–২৮ বছর বয়সী এক ছেলেকে দেখলেন তিনি। বারবার কবরীর দিকে তাকাচ্ছিল সে। তারপর একসময় কবরীর কাছে এসে বলল, ‘আমি এই হোটেলের মালিকের ছেলে। তুমি কি টাকা চেঞ্জ করতে চাও? একটু ঘুরতে চাও?’
কবরীর বেশ ভালো লাগল ভদ্র ছেলেটিকে। ডলার ভাঙালেন তিনি, খানিক ঘুরলেন। হোটেলে ফেরার পর শাকের জিজ্ঞেস করল, ‘মা, তুমি কোথায় গিয়েছিলে?’
কবরী ছেলেকে বললেন সব কথা। কবরী বুঝতে পারছিলেন, জার্মান ছেলেটিকে ভালো লাগছে তাঁর। ছেলেটি পরদিন এসে বলল, ‘তোমাকে নিয়ে ডিনারে যেতে চাই।’
কবরী রাজি হলেন এক শর্তে। ছেলেকেও নিয়ে যেতে হবে। ছেলের কথা শুনে জার্মান ছেলেটা একটু দমে গেল। কিন্তু রাজি হলো। কিন্তু ডিনারের সময় বয়ে যায়, ছেলেটা আর আসে না। সেজেগুজে বসে ছিলেন কবরী। এর মধ্যে শাকেরও কোথাও বেরিয়ে গেল। মেজাজ খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়লেন কবরী।
পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন, শাকের মুচকি মুচকি হাসছে। এরপর বোঝা গেল আগের দিন কী ঘটেছে। জার্মান ছেলেটা সময়মতোই এসেছিল, কিন্তু শাকেরই ওকে বলেছে, ‘মা ঘুমাচ্ছে, চলো আমরা দুজন যাই।’
অসম বয়সী এই প্রেমের কথা মনে রেখেছিলেন কবরী। নানা বয়সের প্রেমের ব্যাপারে বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু গলা পর্যন্ত নেমেছি, তারা হাঁটুজলেও নামেনি। ভালোবাসার তো কত রূপ। তবে এটা বলি তোমাকে, ট্রাডিশনাল প্রেম বলতে যা বোঝায়, তেমন কিছু আমার জীবনে ঘটেনি।’
আরেকটি অবাক করা প্রেমের গল্প বলেছিলেন। ২০১১ বা ১২ সালে একবার চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন কবরী। সেখানে এক তরুণ এসে কবরীকে অনুরোধ করল তাঁদের বাড়ি যাওয়ার জন্য। সবিনয় অনুরোধ। আহ্বানে আন্তরিকতা ছিল, এড়াতে পারলেন না কবরী। সেই বাড়ির সবাই কবরীর ভক্ত। ছেলেটির বাবা বললেন, তিনি শিশু–কবরীর প্রেমে পড়েছিলেন।
কিছুটা সময় কাটালেন কবরী সে বাড়িতে। ভদ্রলোকের পুত্রবধূ বললেন, ‘শ্বশুর মশাই তো সব সময় শুধু আপনার কথাই বলেন!’
ভদ্রলোক কবরীর ফোন নম্বর রেখে দিলেন। গাড়িতে ওঠার পরই তাঁর কাছ থেকে ফোন পেলেন কবরী। খুবই মেজাজ খারাপ হলো। ধরলেন না। এর তিন দিন পর আবার ফোন। কী মুশকিল। এরপর বারবার ফোন। মেজাজ খারাপ হলো আবার। দিন সাতেক পর আবার ফোন। এবার মেজাজ খারাপ করেই ফোন ধরলেন কবরী।
‘হ্যালো, বলুন।’
‘আন্টি, এটা আমি। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার তিন দিন পরই বাবা মারা গেছেন। আপনাকে ফোন করেছিলাম সেদিন।’
খবরটি শুনে পাথরের মতো স্থবির হয়ে গিয়েছিলেন কবরী।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
২ ঘণ্টা আগেপুরোনো ভিডিও এডিট করে মিথ্যা ক্যাপশন জুড়ে দেওয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘জুয়েলারি শোরুমের ভিডিওটি জোড়াতালি দিয়ে অনেকেই লিখছেন, আমি মবের শিকার হয়েছি। আমাকে উদ্বোধনে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে তেমন কোনো কিছু আমার সঙ্গে ঘটেনি।’
২ ঘণ্টা আগেবিদেশে তুমুল অভ্যর্থনা পেলেও নিজের দেশ ভারতেই কনসার্ট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দিলজিৎ। তেলেঙ্গানা সরকার নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে, মাদকদ্রব্যের প্রচার করা হয়, এমন কোনো গান তিনি যেন কনসার্টে না করেন।
৩ ঘণ্টা আগেচার দশকের ক্যারিয়ার আমির খানের। বলিউডের মাসালা সিনেমার ভিড়ে খানিকটা অন্য ধরনের কাজের কথা উঠলেই আসে তাঁর নাম। নিজের কাজ নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে থাকেন যে আমিরের আরেক নাম হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে তাঁর এই সাফল্যের পালে বেশ বড়সড় ধাক্কা লাগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র সময়।
৫ ঘণ্টা আগে