বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটি নায়ক মান্নার ক্যারিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আর শবনম হয়ে ওঠেন সারাদেশের আম্মাজান। তবে প্রথমে এই দুই চরিত্রে তাঁদের অভিনয়ের কথাই ছিল না। আম্মাজান প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল মান্নার কাছ থেকে। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা। আর আম্মাজান চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন শাবানা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। অন্যদিকে, দুজন প্রযোজক এ গল্পে লগ্নি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ডিপজলের প্রযোজনায় সিনেমাটি করা ছাড়া উপায়ও ছিল না কাজী হায়াতের।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ডিপজল আমায় বলল, রুবেলকে নিয়ে শুরু করেন। আমার গল্পের যে চরিত্রটি ছিল, সেটি রুবেল টানতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল। ডিপজল বলল, তাহলে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শুরু করেন। ফরীদিকে গল্প শোনানোর পর দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করল। ওদিকে মান্না আমার কাছে এসে বলল, আপনি নাকি ফরীদিকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। আমি তাকে বলি, ডিপজলের সঙ্গে তোর কী হয়েছে আমি জানি না। কালকের মধ্যে মিটমাট করবি। যেন ডিপজল আমায় ফোন করে বলে এই সিনেমায় তোকে নিতে। নাহলে তোর জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সিনেমা মাইনাস হয়ে যাবে।’
পরদিন সকালে কাজী হায়াতকে ফোন করে ডিপজল তাঁর অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে কাজী হায়াৎ দেখেন, মান্না বসে আছেন। ডিপজল-মান্নার যে মনোমালিন্য ছিল, সেটা মিটে যায় ওইদিন। মান্নাকে নিয়েই শুরু হয় আম্মাজানের শুটিং।
অন্যদিকে, আম্মাজান চরিত্রে শবনম নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল শাবানা। গল্প শুনে শাবানা সম্মতিও জানিয়েছিলেন। তবে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হবে না, শাবানাকে এমন পরামর্শ দিয়েছিল অনেকে। ফলে বেঁকে বসেন অভিনেত্রী।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘গল্প শোনার পর শাবানা কেঁদে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে জানাল, যেদিন থেকে শিডিউল লাগবে সেদিন থেকেই রাজি। দুইদিন পর এফডিসিতে শাবানাকে সাইনিং মানি দিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর শাবানা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিক করে রাখে। আমাকে এড়িয়ে চলছে। মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁকে বলি, ম্যাডাম আমার সঙ্গে কথা বলবেন না? সে আমাকে বলল, ভাই আমি দুঃখিত, সিনেমাটি করতে পারছি না। কেন করবেন না? জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম আমাকে মান্নার মা হতে হবে, তোমরা কী বলো? সবাই নিষেধ করেছে।’
শাবানা ‘না’ করে দেওয়ায় বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ভেবে উঠতে পারছিলেন না, কে হয়ে উঠতে পারবেন আম্মাজান। সে সময় ত্রাতা হয়ে এলেন শবনম। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। আম্মাজানের জনপ্রিয়তার কল্যাণে এ নামেই পরিচিতি পেয়ে যান শবনম।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘শাবানা না করার পর বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। তিনি আমাকে শবনম ম্যাডামের কথা জানালেন। গল্প শোনার পর শবনম ম্যাডাম আমাকে বলেন, কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারেন। আমার সমস্ত শিডিউল এই সিনেমার জন্য।’
শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, আম্মাজানের প্রযোজক খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয়েছে কাজী হায়াতকে। গল্প শোনার পর একাধিক প্রযোজক তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন, এই ধরনের গল্প দর্শক দেখবে না। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমার গল্পটি আমি দুইজন প্রযোজককে শুনিয়েছিলাম। যমুনা ফিল্মস থেকে বলা হয়, এই সিনেমা চলবে না। আম্মাজান সন্তানের সামনে ধর্ষিত হয়েছে—এমন গল্পের সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ঘটনাও একই রকম। একই কারণ দেখিয়ে আরও এক প্রযোজক ফিরিয়ে দেন কাজী হায়াৎকে। এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডিপজলের প্রযোজনায় তৈরি হয় আম্মাজান। কত ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি? এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজল জানান, এক কোটি চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল এ সিনেমা তৈরি করতে। মুক্তির আগেই হল থেকে পেয়েছিলেন ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আম্মাজান মোট আয় করেছিল ১৯-২০ কোটি টাকা।
ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটি নায়ক মান্নার ক্যারিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আর শবনম হয়ে ওঠেন সারাদেশের আম্মাজান। তবে প্রথমে এই দুই চরিত্রে তাঁদের অভিনয়ের কথাই ছিল না। আম্মাজান প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল মান্নার কাছ থেকে। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা। আর আম্মাজান চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন শাবানা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। অন্যদিকে, দুজন প্রযোজক এ গল্পে লগ্নি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ডিপজলের প্রযোজনায় সিনেমাটি করা ছাড়া উপায়ও ছিল না কাজী হায়াতের।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ডিপজল আমায় বলল, রুবেলকে নিয়ে শুরু করেন। আমার গল্পের যে চরিত্রটি ছিল, সেটি রুবেল টানতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল। ডিপজল বলল, তাহলে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শুরু করেন। ফরীদিকে গল্প শোনানোর পর দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করল। ওদিকে মান্না আমার কাছে এসে বলল, আপনি নাকি ফরীদিকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। আমি তাকে বলি, ডিপজলের সঙ্গে তোর কী হয়েছে আমি জানি না। কালকের মধ্যে মিটমাট করবি। যেন ডিপজল আমায় ফোন করে বলে এই সিনেমায় তোকে নিতে। নাহলে তোর জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সিনেমা মাইনাস হয়ে যাবে।’
পরদিন সকালে কাজী হায়াতকে ফোন করে ডিপজল তাঁর অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে কাজী হায়াৎ দেখেন, মান্না বসে আছেন। ডিপজল-মান্নার যে মনোমালিন্য ছিল, সেটা মিটে যায় ওইদিন। মান্নাকে নিয়েই শুরু হয় আম্মাজানের শুটিং।
অন্যদিকে, আম্মাজান চরিত্রে শবনম নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল শাবানা। গল্প শুনে শাবানা সম্মতিও জানিয়েছিলেন। তবে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হবে না, শাবানাকে এমন পরামর্শ দিয়েছিল অনেকে। ফলে বেঁকে বসেন অভিনেত্রী।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘গল্প শোনার পর শাবানা কেঁদে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে জানাল, যেদিন থেকে শিডিউল লাগবে সেদিন থেকেই রাজি। দুইদিন পর এফডিসিতে শাবানাকে সাইনিং মানি দিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর শাবানা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিক করে রাখে। আমাকে এড়িয়ে চলছে। মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁকে বলি, ম্যাডাম আমার সঙ্গে কথা বলবেন না? সে আমাকে বলল, ভাই আমি দুঃখিত, সিনেমাটি করতে পারছি না। কেন করবেন না? জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম আমাকে মান্নার মা হতে হবে, তোমরা কী বলো? সবাই নিষেধ করেছে।’
শাবানা ‘না’ করে দেওয়ায় বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ভেবে উঠতে পারছিলেন না, কে হয়ে উঠতে পারবেন আম্মাজান। সে সময় ত্রাতা হয়ে এলেন শবনম। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। আম্মাজানের জনপ্রিয়তার কল্যাণে এ নামেই পরিচিতি পেয়ে যান শবনম।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘শাবানা না করার পর বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। তিনি আমাকে শবনম ম্যাডামের কথা জানালেন। গল্প শোনার পর শবনম ম্যাডাম আমাকে বলেন, কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারেন। আমার সমস্ত শিডিউল এই সিনেমার জন্য।’
শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, আম্মাজানের প্রযোজক খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয়েছে কাজী হায়াতকে। গল্প শোনার পর একাধিক প্রযোজক তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন, এই ধরনের গল্প দর্শক দেখবে না। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমার গল্পটি আমি দুইজন প্রযোজককে শুনিয়েছিলাম। যমুনা ফিল্মস থেকে বলা হয়, এই সিনেমা চলবে না। আম্মাজান সন্তানের সামনে ধর্ষিত হয়েছে—এমন গল্পের সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ঘটনাও একই রকম। একই কারণ দেখিয়ে আরও এক প্রযোজক ফিরিয়ে দেন কাজী হায়াৎকে। এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডিপজলের প্রযোজনায় তৈরি হয় আম্মাজান। কত ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি? এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজল জানান, এক কোটি চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল এ সিনেমা তৈরি করতে। মুক্তির আগেই হল থেকে পেয়েছিলেন ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আম্মাজান মোট আয় করেছিল ১৯-২০ কোটি টাকা।
পুরোনো ভিডিও এডিট করে মিথ্যা ক্যাপশন জুড়ে দেওয়ায় বিব্রত অভিনেত্রী। মিম বলেন, ‘জুয়েলারি শোরুমের ভিডিওটি জোড়াতালি দিয়ে অনেকেই লিখছেন, আমি মবের শিকার হয়েছি। আমাকে উদ্বোধনে বাধা দেওয়া হয়েছে। আসলে তেমন কোনো কিছু আমার সঙ্গে ঘটেনি।’
২ ঘণ্টা আগেবিদেশে তুমুল অভ্যর্থনা পেলেও নিজের দেশ ভারতেই কনসার্ট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন দিলজিৎ। তেলেঙ্গানা সরকার নোটিশ পাঠিয়ে তাঁকে সতর্ক করেছে, মাদকদ্রব্যের প্রচার করা হয়, এমন কোনো গান তিনি যেন কনসার্টে না করেন।
৪ ঘণ্টা আগেচার দশকের ক্যারিয়ার আমির খানের। বলিউডের মাসালা সিনেমার ভিড়ে খানিকটা অন্য ধরনের কাজের কথা উঠলেই আসে তাঁর নাম। নিজের কাজ নিয়ে এতটাই খুঁতখুঁতে থাকেন যে আমিরের আরেক নাম হয়ে গেছে মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে তাঁর এই সাফল্যের পালে বেশ বড়সড় ধাক্কা লাগে ‘লাল সিং চাড্ডা’র সময়।
৫ ঘণ্টা আগেবহুদিন ধরে বলিউড পাড়ায় গুঞ্জন চলছিল ভাঙতে বসেছে মাইলাকা অরোরা ও অর্জুন কাপুরের প্রেম। অবশেষে গুঞ্জনে সিলমোহর দেন অর্জুন, জানান তিনি সিঙ্গেল। এর কিছুদিন পর ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে মালাইকার একটি ভিডিও। সেই ভিডিও নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ভক্ত-অনুরাগীদের। ভিডিওতে কি বলেছিলেন এই ফিটনেস কুইন?
৯ ঘণ্টা আগে