আইইএলটিএস পরীক্ষায় মূলত চারটি বিষয়ের ওপর দক্ষতা যাচাই করা হয়। বিষয় চারটি হচ্ছে লিসেনিং, স্পিকিং, রিডিং ও রাইটিং। গত সংখ্যায় লিসেনিং ও স্পিকিং নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের পর্বে থাকছে রিডিং ও রাইটিং নিয়ে। পরামর্শ দিয়েছেন হলি ফ্যামিলি পাবলিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম সোহাগ।
রিডিং
সাধারণ শিক্ষার্থীরা রিডিং বলতে দেখে দেখে পড়াকে বুঝে থাকে। আসলে তা নয়। আইইএলটিএস রিডিং হলো ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে বুঝে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার যোগ্যতাকে বোঝায়। আইইএলটিএস রিডিংয়ে বড় বড় ৩টি প্যাসেজ থাকে। প্রতিটি প্যাসেজে প্রায় ৭-৮টি প্যারাগ্রাফ। সময় ১ ঘণ্টা; অর্থাৎ প্রতিটি প্যাসেজ সমাধান করার জন্য সর্বোচ্চ ২০ মিনিট সময় পাওয়া যায়। প্রতিটি প্যাসেজে সংশ্লিষ্ট ১৩-১৪টি প্রশ্ন থাকে। মোট প্রশ্নসংখ্যা ৪০টি। প্রায় ১৩ থেকে ১৫ ধরনের প্রশ্নের ধরন পাওয়া যায় এই ৩টি প্যাসেজ সমাধান করতে গিয়ে।
যেমন MCQ, Fill in the blanks, Heading matching, True/False/Not given, Yes/No/Not given, flow chart, summary completion (with & without clues) ইত্যাদি।
রিডিং সেকশনে ভালো করার জন্য কিছু দক্ষতা থাকা দরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্যাসেজ পড়ার পদ্ধতি। যেমন A. Scanning B. Skimming
- কোনো Information বা Word খুঁজে বের করার জন্য Scanning পদ্ধতিতে দ্রুত প্যাসেজ পড়তে হয়। কোনো Paragraph-এর মূল বিষয়বস্তু বোঝার জন্য Skimming পদ্ধতিতে প্যাসেজ পড়তে হয়।
- বেশির ভাগ আইইএলটিএস প্রশিক্ষক প্রশ্নের উত্তর করার আগেই পুরো প্যাসেজ পড়া সমর্থন করেন না। কারণ, এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটি প্যাসেজের টাইটেল ও সাবটাইটেল (যদি থাকে), Intro paragraph-এর ১-২ লাইন পড়ে নিলে কিছুটা আগাম ধারণা পাওয়া যায়।
- রিডিংয়ে দক্ষ হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীকে পর্যাপ্ত Vocabulary & Sentence Structure সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। একই সঙ্গে Basic Grammar Skills (Tense Systems, Voice, Interchange of Parts of Speech)-এ ভালো হতে হবে।
- বেশি ভোকাবুলারি জেনেও অনেকে বাক্যের তথা Passage-এর সঠিক অর্থ অনুধাবন করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস করা জরুরি।
- Cambridge IELTS Book (10-16) ভালোভাবে করে চর্চা করলে ভালো স্কোর করা সম্ভব।
রাইটিং
ফ্রিহ্যান্ড রাইটিংয়ের কথা স্কুল ও কলেজে সবাই শুনেছি। এটাই হলো লেখার মূল ভিত্তি। রাইটিং সেকশনে ২টি টাস্ক থাকে; অর্থাৎ ২টি লেখা লিখতে হয়। এই সেকশনে ও ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়।
A. Task I (২০ মিনিট) এবং B. Task II (৪০ মিনিট)
Task-I
- Task-I মূলত Graph/Chart/Map/Diagram Writing থাকে। এ ধরনের লেখা সম্পর্কে অবশ্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি প্রথম পত্রে ধারণা পাওয়া যায়। যদিও এখানে লেখার ধরন বেশ আলাদা। টাস্ক ১-এ একজনকে ন্যূনতম ১৫০ শব্দ লিখতে হয়।
- সাধারণ ২ বা ৩ প্যারার মধ্যে মূল তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে হয়। নিজস্ব মতামত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেকটা জ্যামিতির সম্পাদ্য লেখার মতো।
- প্রার্থীকে ডেটা অ্যানালাইসিস করে সবচেয়ে Highest & Lowest পয়েন্ট উল্লেখ করতে হয়। ইংরেজি বাক্যগুলো সাবলীল Simple/Complex কিংবা Compound হতে পারে। তবে ভালো Sentence Structure & Grammatical Range, Lexical resources অবশ্যই ভালো ব্যান্ড স্কোর পেতে সাহায্য করে।
Task II
Task II-তে সাধারণত Essay Writing থাকে। এ ধরনের লেখা সম্পর্কে অবশ্য উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ধারণা পাওয়া যায়।
এ লেখাটি ন্যূনতম ২৫০ Words লিখতে বলা হয়। তবে সময় থাকলে এর চেয়ে বেশি লিখলে কোনো সমস্যা নেই। প্রায় ৪-৫ ধরনের কোশ্চেন টাইপ এখানে পাওয়া যায়।
যেমন a. Argumentative b. Non argumentative c. Cause & Effects d. Advantages & Disadvantages ইত্যাদি।
- যেকোনো লেখার সাধারণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে ৩টি জিনিস অবশ্যই থাকবে। যথা: Introduction (ভূমিকা), Body/Supporting Details (মূল বক্তব্য) এবং Conclusion (উপসংহার)।
- রাইটিংয়ে ভালো স্কোর পাওয়ার জন্য ৪টি Marking Criteria অনুসরণ করেন Cambridge Certified IELTS Examiner রা।
সেগুলো হলো:
4 Marking Criteria for IELTS Writing Task 2
A. Task Response
(Task I এটাকে Task Achievement বলে)
B. Coherence and Cohesion.
C. Lexical Resource (Vocabulary)
D. Grammatical Range & Accuracy.
উল্লেখ্য, এ লেখায় শুধু Academic IELTS Reading ও Writing নিয়ে বলা হয়েছে। General Training (GT) IELTS-এর ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে।