জুবায়ের আহম্মেদ
মো. ঈশান আরেফিন হোসেন টিসাইড ইউনিভার্সিটি ইউকের স্কুল অব কম্পিউটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডিজিটাল টেকনোলজিতে বর্তমানে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ অর্জন করার গৌরব লাভ করেন। তাঁর বর্তমান গবেষণার বিষয়বস্তু আইওটি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সমন্বয়। এ বিষয়ে তাঁর একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
মো. ঈশান আরেফিন ২০১৮ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে হাইয়েস্ট ডিস্টিংশনপ্রাপ্ত হয়ে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি দুই বছর ঢাকার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যায়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন। তিনি মনে করেন, ইউকের এই উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তাঁকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মক্ষেত্রে শিক্ষার প্রসার ও গবেষণাকার্যে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
বৃত্তির পরিচিতি
ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ হলো ইউকেতে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের একটি এক্সটারনাল টিউশন ফি-ভিত্তিক স্কলারশিপ। সারা বিশ্বের ১৮টি দেশের শিক্ষার্থীরা ইউকেতে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক এই সম্মানজনক স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। এ বছর ইউকের স্বনামধন্য আটটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই স্কলারশিপ প্রদান করবে। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো, ইউনিভার্সিটি অব ডান্ডি, ইউনিভার্সিটি অব রিডিং, টিসাইড ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু একজন বাংলাদেশি এই স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হবেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় সব বিষয়ের ডিগ্রি এই স্কলারশিপের আওতাভুক্ত। এই স্কলারশিপ সম্পর্কে আরও জানতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভিজিট করতে পারেন https://study-uk.britishcouncil.org/scholarships/great-scholarships/bangladesh এই লিংকে।
আবেদনের তথ্য
ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ যেহেতু একটি এক্সটারনাল স্কলারশিপ এবং ইউকের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এটি প্রদান করে থাকে, তাই এই স্কলারশিপে আবেদনের প্রক্রিয়া একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একেক রকম হয়। এ কারণে স্কলারশিপ প্রার্থীদের ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো জেনে নিতে হবে এবং এরপর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য থেকে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের বিধি মোতাবেক আবেদন করতে হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, একই সঙ্গে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আবেদনের যোগ্যতা পরিপূর্ণভাবে না থাকলে এই স্কলারশিপের জন্যও বিবেচনা করা হবে না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে কাগজপত্রের চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। তবে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণে কয়েকটি রচনা (Essay), স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP), রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস সনদ, কারিকুলাম ভিটায় (CV) ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। পূর্বের ভালো একাডেমিক ফলাফল (হাই সিজিপিএ) এবং উচ্চ আইইএলটিএস স্কোর এর পাশাপাশি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র, বিষয়সম্পৃক্ত কাজের অভিজ্ঞতা এই স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুযোগ-সুবিধা
ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপের ক্ষেত্রে টিউশন ফি বাবদ আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া এই স্কলারশিপ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা বছরে দুটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই ইভেন্টগুলোতে বিশ্বের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের সরাসরি সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং এতে অংশগ্রহণের জন্য যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ সম্পূর্ণ খরচ ব্রিটিশ কাউন্সিল বহন করবে। এই স্কলারশিপের আওতায় থাকা শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত অবস্থায়ও বিভিন্ন ধরনের পার্টটাইম কাজে যোগদান করতে পারবেন।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
মো. ঈশান আরেফিন হোসেন টিসাইড ইউনিভার্সিটি ইউকের স্কুল অব কম্পিউটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডিজিটাল টেকনোলজিতে বর্তমানে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ অর্জন করার গৌরব লাভ করেন। তাঁর বর্তমান গবেষণার বিষয়বস্তু আইওটি এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সমন্বয়। এ বিষয়ে তাঁর একাধিক আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
মো. ঈশান আরেফিন ২০১৮ সালে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে হাইয়েস্ট ডিস্টিংশনপ্রাপ্ত হয়ে কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি দুই বছর ঢাকার সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যায়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন। তিনি মনে করেন, ইউকের এই উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তাঁকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মক্ষেত্রে শিক্ষার প্রসার ও গবেষণাকার্যে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।
বৃত্তির পরিচিতি
ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ হলো ইউকেতে ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের একটি এক্সটারনাল টিউশন ফি-ভিত্তিক স্কলারশিপ। সারা বিশ্বের ১৮টি দেশের শিক্ষার্থীরা ইউকেতে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক এই সম্মানজনক স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। এ বছর ইউকের স্বনামধন্য আটটি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এই স্কলারশিপ প্রদান করবে। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো, ইউনিভার্সিটি অব ডান্ডি, ইউনিভার্সিটি অব রিডিং, টিসাইড ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি। তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু একজন বাংলাদেশি এই স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিত হবেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রায় সব বিষয়ের ডিগ্রি এই স্কলারশিপের আওতাভুক্ত। এই স্কলারশিপ সম্পর্কে আরও জানতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভিজিট করতে পারেন https://study-uk.britishcouncil.org/scholarships/great-scholarships/bangladesh এই লিংকে।
আবেদনের তথ্য
ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপ যেহেতু একটি এক্সটারনাল স্কলারশিপ এবং ইউকের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এটি প্রদান করে থাকে, তাই এই স্কলারশিপে আবেদনের প্রক্রিয়া একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একেক রকম হয়। এ কারণে স্কলারশিপ প্রার্থীদের ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো জেনে নিতে হবে এবং এরপর এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য থেকে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের বিধি মোতাবেক আবেদন করতে হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, একই সঙ্গে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আবেদনের যোগ্যতা পরিপূর্ণভাবে না থাকলে এই স্কলারশিপের জন্যও বিবেচনা করা হবে না।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এই স্কলারশিপে আবেদনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে কাগজপত্রের চাহিদা ভিন্ন হতে পারে। তবে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণে কয়েকটি রচনা (Essay), স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP), রিকমেন্ডেশন লেটার, আইইএলটিএস সনদ, কারিকুলাম ভিটায় (CV) ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। পূর্বের ভালো একাডেমিক ফলাফল (হাই সিজিপিএ) এবং উচ্চ আইইএলটিএস স্কোর এর পাশাপাশি প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র, বিষয়সম্পৃক্ত কাজের অভিজ্ঞতা এই স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সুযোগ-সুবিধা
ব্রিটিশ কাউন্সিল গ্রেট স্কলারশিপের ক্ষেত্রে টিউশন ফি বাবদ আর্থিক সহায়তার পরিমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়া এই স্কলারশিপ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা বছরে দুটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কিং ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই ইভেন্টগুলোতে বিশ্বের স্বনামধন্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের সরাসরি সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং এতে অংশগ্রহণের জন্য যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ সম্পূর্ণ খরচ ব্রিটিশ কাউন্সিল বহন করবে। এই স্কলারশিপের আওতায় থাকা শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত অবস্থায়ও বিভিন্ন ধরনের পার্টটাইম কাজে যোগদান করতে পারবেন।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
১ ঘণ্টা আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১ ঘণ্টা আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১ ঘণ্টা আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে