নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকৃত ইতিহাস চর্চা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত থেকে বিরত থাকা এবং শিশুদের নৈতিকতা সুরক্ষায় নতুন শিক্ষানীতি তৈরির আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।
তাঁরা বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় চমৎকার ও সুদীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও অত্যন্ত সুকৌশলে এটি ধ্বংস করতে দীর্ঘদিন ধরে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবারের পাঠ্যক্রমে। ইসলামবিদ্বেষ, মুসলিম ইতিহাসের বিকৃতায়ন এবং বিকৃত যৌনাচার—এই তিন উদ্দেশ্য সামনে রেখে এবারের শিক্ষাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর বাইরেও ভুলে ভরা বইগুলোতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংবিধান নিয়ে বানোয়াট, মনগড়া ও বিকৃত সব ইতিহাসের ছড়াছড়ি। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারেও ভুলভাল তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘ভুলে ভরা পাঠ্যবইয়ে বিকৃত ইতিহাস: শিশু-শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার বলেন, ‘শিশুদের হাতে যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগে ফিরিয়ে নিতে হবে। এটা দিয়ে কোনো জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। যাঁরা বইগুলো লিখেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে শিশুদের হত্যা করেছেন। একটি দেশ কীভাবে গড়ে উঠবে, তা নির্ভর করে শিক্ষার ওপর।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা থাকা দরকার। এটাই এখন প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু। এখানে শুধু হিন্দু-মুসলমান ব্যাপার নয়, পুরো ইতিহাসই এখানে বিকৃত করা হয়েছে। এতে করে আমাদের রাজনৈতিক সত্ত্বার যে ক্ষতি হবে, সেটা অনেক ভয়াবহ। আমাদের চিন্তা-চেতনায়, মনমানসিকতায় নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরির উদ্দেশ্যে এটি বহু বছর ধরে করে এসেছে তারা। এর থেকে উত্তোরণে এখন থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করতে হবে। এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘ভারতে যে হিন্দুত্ববাদ ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটিই এখন আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে, সেটাই এখন ভাববার বিষয়। যাঁরা এই বিকৃত পুস্তক লিখেছেন, তাঁদের প্রতি আগে ইতিবাচক ধারণা থাকলেও এর মাধ্যমে তার পরিবর্তন হয়েছে। এখানে মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ভুলে নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে।’
অধ্যাপক দিলার চৌধুরী বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হিন্দু-মুসলমান সম্মিলিতভাবে হলেও এখানে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মোদির সুরে যখন আপনি মুসলমানদের দখলদার হিসেবে উপস্থাপন করবেন, তখন আপনার প্রতি চরম ঘৃণা ছাড়া কিছু নেই। এটা দেশদ্রোহিতার শামিল। তাই এখন থেকেই ভবিষ্যতের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
দিলারা চৌধুরী আরও বলেন, ‘সমকামিতা সম্পর্কে জানারও একটা বয়স আছে। কোমলমতি শিশুদের মস্তিস্কে এটি এখন থেকে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে! তাই বাংলাদেশ আগামীতে কোন পথে হাঁটবে, এখন থেকেই তা নির্ধারণ করতে হবে।’
এ সময় কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘শিক্ষা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা কতিপয় বুদ্ধিজীবীর মাথায় রাখলে হয় না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সেটাই হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা দরকার। কিন্তু সরকারের গোয়ালের প্রাণীদের ধরতে যদি কষ্ট হয়, তাহলে গণ-আদালত গড়ে তাদের বিচার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে অপরাধ হয়েছে তা ১০০ ধর্ষণ ও ১০০টা খুন করার শামিল। মোদির বিজিপির দেওয়া চিন্তা বাস্তবায়ন ও হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর জন্যই এমন শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এ জে এম মোরশেদ আল মামুন বলেন, ‘যে শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে ডাক্তার, আইনজীবী কোনো কিছুই পাওয়া যাবে না। ড. জাফর ইকবাল যে কপি করেছেন, তাতে জাতি কীভাবে এগোবে? এত অথর্ব সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না। মুসলমানরা যদি এগিয়ে না আসে, কম্প্রোমাইজ করে, তাহলে হবে না। তাদের জেগে উঠতে হবে।’
দুষ্টচক্রের হাতে শিক্ষাব্যবস্থা চলে গেছে মন্তব্য করে এ সময় গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শিক্ষাব্যবস্থায় ভুলের ইতিহাস নতুন কিছু নয়, এর আগেও করেছে তারা। শুধু শিক্ষা নয়, কোনো কিছু তাদের হাতে নিরাপদ নয়। সিন্ডিকেটের ওপরেই দেশটা চলছে।’ এ জন্য সর্বজন গ্রহণযোগ্য লোকদের নিয়ে একটি কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন আনার আহ্বানও জানান তিনি।
প্রকৃত ইতিহাস চর্চা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত থেকে বিরত থাকা এবং শিশুদের নৈতিকতা সুরক্ষায় নতুন শিক্ষানীতি তৈরির আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।
তাঁরা বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় চমৎকার ও সুদীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও অত্যন্ত সুকৌশলে এটি ধ্বংস করতে দীর্ঘদিন ধরে যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবারের পাঠ্যক্রমে। ইসলামবিদ্বেষ, মুসলিম ইতিহাসের বিকৃতায়ন এবং বিকৃত যৌনাচার—এই তিন উদ্দেশ্য সামনে রেখে এবারের শিক্ষাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর বাইরেও ভুলে ভরা বইগুলোতে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সংবিধান নিয়ে বানোয়াট, মনগড়া ও বিকৃত সব ইতিহাসের ছড়াছড়ি। এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারেও ভুলভাল তথ্য দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘ভুলে ভরা পাঠ্যবইয়ে বিকৃত ইতিহাস: শিশু-শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনেরা এসব কথা বলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে কবি ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার বলেন, ‘শিশুদের হাতে যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে সেগুলো আগে ফিরিয়ে নিতে হবে। এটা দিয়ে কোনো জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। যাঁরা বইগুলো লিখেছেন এবং সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা এর মাধ্যমে শিশুদের হত্যা করেছেন। একটি দেশ কীভাবে গড়ে উঠবে, তা নির্ভর করে শিক্ষার ওপর।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা থাকা দরকার। এটাই এখন প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু। এখানে শুধু হিন্দু-মুসলমান ব্যাপার নয়, পুরো ইতিহাসই এখানে বিকৃত করা হয়েছে। এতে করে আমাদের রাজনৈতিক সত্ত্বার যে ক্ষতি হবে, সেটা অনেক ভয়াবহ। আমাদের চিন্তা-চেতনায়, মনমানসিকতায় নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরির উদ্দেশ্যে এটি বহু বছর ধরে করে এসেছে তারা। এর থেকে উত্তোরণে এখন থেকে জাতীয় শিক্ষানীতি তৈরি করতে হবে। এর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘ভারতে যে হিন্দুত্ববাদ ভয়ংকর হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটিই এখন আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে, সেটাই এখন ভাববার বিষয়। যাঁরা এই বিকৃত পুস্তক লিখেছেন, তাঁদের প্রতি আগে ইতিবাচক ধারণা থাকলেও এর মাধ্যমে তার পরিবর্তন হয়েছে। এখানে মুসলমানদের বহিরাগত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি ভুলে নয়, ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে।’
অধ্যাপক দিলার চৌধুরী বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হিন্দু-মুসলমান সম্মিলিতভাবে হলেও এখানে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মোদির সুরে যখন আপনি মুসলমানদের দখলদার হিসেবে উপস্থাপন করবেন, তখন আপনার প্রতি চরম ঘৃণা ছাড়া কিছু নেই। এটা দেশদ্রোহিতার শামিল। তাই এখন থেকেই ভবিষ্যতের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
দিলারা চৌধুরী আরও বলেন, ‘সমকামিতা সম্পর্কে জানারও একটা বয়স আছে। কোমলমতি শিশুদের মস্তিস্কে এটি এখন থেকে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে! তাই বাংলাদেশ আগামীতে কোন পথে হাঁটবে, এখন থেকেই তা নির্ধারণ করতে হবে।’
এ সময় কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘শিক্ষা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা কতিপয় বুদ্ধিজীবীর মাথায় রাখলে হয় না। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে সেটাই হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা দরকার। কিন্তু সরকারের গোয়ালের প্রাণীদের ধরতে যদি কষ্ট হয়, তাহলে গণ-আদালত গড়ে তাদের বিচার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যে অপরাধ হয়েছে তা ১০০ ধর্ষণ ও ১০০টা খুন করার শামিল। মোদির বিজিপির দেওয়া চিন্তা বাস্তবায়ন ও হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধানোর জন্যই এমন শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এ জে এম মোরশেদ আল মামুন বলেন, ‘যে শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে ভবিষ্যতে ডাক্তার, আইনজীবী কোনো কিছুই পাওয়া যাবে না। ড. জাফর ইকবাল যে কপি করেছেন, তাতে জাতি কীভাবে এগোবে? এত অথর্ব সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে ছিল না। মুসলমানরা যদি এগিয়ে না আসে, কম্প্রোমাইজ করে, তাহলে হবে না। তাদের জেগে উঠতে হবে।’
দুষ্টচক্রের হাতে শিক্ষাব্যবস্থা চলে গেছে মন্তব্য করে এ সময় গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শিক্ষাব্যবস্থায় ভুলের ইতিহাস নতুন কিছু নয়, এর আগেও করেছে তারা। শুধু শিক্ষা নয়, কোনো কিছু তাদের হাতে নিরাপদ নয়। সিন্ডিকেটের ওপরেই দেশটা চলছে।’ এ জন্য সর্বজন গ্রহণযোগ্য লোকদের নিয়ে একটি কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন আনার আহ্বানও জানান তিনি।
বিগত কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অফুরন্ত সম্ভাবনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে হাঙ্গেরি। দেশটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যারিয়ার গঠনেরও সুযোগ পাচ্ছেন।
৯ মিনিট আগেসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হলো বিতর্ক। ক্রমেই এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। সব প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় রয়েছে। বিতর্কও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন উঁচুমানের বিতার্কিকও পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
১০ মিনিট আগেআমেরিকান ব্যবসায়ী এবং লেখক রবার্ট তোরু কিয়োসাকির লেখা ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’ বইটি ১৯৯৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নতির বইয়ের ক্যাটাগরিতে বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রীত হিসেবে স্বীকৃত।
১০ মিনিট আগেরাশেদ হোসেন রনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বদলে একসময় বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বোনা শুরু করেন তিনি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রনি সফলও হয়েছেন।
১৩ মিনিট আগে