নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ৯টি ব্যবসায়িক গ্রুপের সম্পত্তি দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে আছে সামিট, এস আলম, বেক্সিমকো, ওরিয়ন, নাসা ও নাবিল গ্রুপ।
ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে রাখা জামানত, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং গোপন করা অর্থ খুঁজে বের করার সুবিধার্থে সেখানে এসব গ্রুপে রিসিভার নিয়োগের সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউর ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর গতকাল সোমবার রিসিভার নিয়োগের অনুমোদন দেন। গভর্নরের অনুমোদন পাওয়ায় যেকোনো সময় গ্রুপগুলোতে রিসিভার বসানো হতে পারে।
আলোচিত এই ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে তারা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছে। আর এসব অর্থের বড় অংশই বিদেশে পাচার করেছে তারা।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিহাসের বৃহত্তম ‘ব্যাংক ডাকাতি’ করেছে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটির বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা (১৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আত্মসাতের
অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট আরেক শীর্ষ ব্যবসায়ী সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান সিঙ্গাপুরে বসেই একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগপ্রযুক্তিসহ নানা খাতে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের হিসাবে, আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী। তাঁর সম্পদ ১১২ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অথচ দেশে আজিজের সম্পদ সামান্যই। দেশে তাঁর পরিবারের সাত সদস্যের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। কয়েক দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে কয়েক শ বিলাসবহুল বাড়ি।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ক্ষমতাসীনদের ব্যবসায়িক অংশীদার বানিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ওরিয়ন গ্রুপের বিরুদ্ধে। এই শিল্প গ্রুপটি সাতটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের নামে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ আছে। আবার সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আত্মসাৎ করেছে আরও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ঋণ নিয়ে পরিশোধ করা হয়নি—এমন অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল, জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির মতো অপরাধে জড়িয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁর মালিকানাধীন নাসা গ্রুপ। বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য রয়েছে। আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসার পর ইসলামী ব্যাংকের ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা রাজশাহীভিত্তিক শিল্প গ্রুপ নাবিলের ঋণ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার নিয়োগে আদালতের আদেশ ছিল। বেক্সিমকো গ্রুপ এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে , বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে সাতটি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। গ্রুপটি শুধু জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্পত্তি মূল্যায়ন এবং পাচারের অর্থ উদ্ধারে রিসিভার নিয়োগে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিসিভার নিয়োগের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। যেকোনো সময় নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় ৯টি ব্যবসায়িক গ্রুপের সম্পত্তি দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলোর মধ্যে আছে সামিট, এস আলম, বেক্সিমকো, ওরিয়ন, নাসা ও নাবিল গ্রুপ।
ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে রাখা জামানত, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এবং গোপন করা অর্থ খুঁজে বের করার সুবিধার্থে সেখানে এসব গ্রুপে রিসিভার নিয়োগের সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউর ওই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর গতকাল সোমবার রিসিভার নিয়োগের অনুমোদন দেন। গভর্নরের অনুমোদন পাওয়ায় যেকোনো সময় গ্রুপগুলোতে রিসিভার বসানো হতে পারে।
আলোচিত এই ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে তারা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নিয়েছে। আর এসব অর্থের বড় অংশই বিদেশে পাচার করেছে তারা।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিহাসের বৃহত্তম ‘ব্যাংক ডাকাতি’ করেছে চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটির বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা (১৬.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আত্মসাতের
অভিযোগ রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট আরেক শীর্ষ ব্যবসায়ী সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান সিঙ্গাপুরে বসেই একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি, যোগাযোগপ্রযুক্তিসহ নানা খাতে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের হিসাবে, আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী। তাঁর সম্পদ ১১২ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অথচ দেশে আজিজের সম্পদ সামান্যই। দেশে তাঁর পরিবারের সাত সদস্যের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ। কয়েক দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে কয়েক শ বিলাসবহুল বাড়ি।
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ক্ষমতাসীনদের ব্যবসায়িক অংশীদার বানিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ওরিয়ন গ্রুপের বিরুদ্ধে। এই শিল্প গ্রুপটি সাতটি পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের নামে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগ আছে। আবার সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে আত্মসাৎ করেছে আরও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া ঋণ নিয়ে পরিশোধ করা হয়নি—এমন অভিযোগ রয়েছে।
চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল, জালিয়াতি, অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির মতো অপরাধে জড়িয়েছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাঁর মালিকানাধীন নাসা গ্রুপ। বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যানের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য রয়েছে। আলোচিত ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে আসার পর ইসলামী ব্যাংকের ঋণ ‘অনিয়মে’ নাম আসা রাজশাহীভিত্তিক শিল্প গ্রুপ নাবিলের ঋণ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার নিয়োগে আদালতের আদেশ ছিল। বেক্সিমকো গ্রুপ এবং এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে , বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে সাতটি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে। গ্রুপটি শুধু জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্পত্তি মূল্যায়ন এবং পাচারের অর্থ উদ্ধারে রিসিভার নিয়োগে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিসিভার নিয়োগের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। যেকোনো সময় নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল সাতটি ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দিয়েছে সবল ৯টি ব্যাংক। তবে এসব দুর্বল ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আ
৭ ঘণ্টা আগেদেশে চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভেজাল, নকল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী। বাংলাদেশ যেন বিদেশি এসব পণ্যের ডাম্পিং স্টেশন। প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এসব পণ্যে সয়লাব হচ্ছে বাজার। বিদেশ থেকে চোরাই পথে বিপুল পরিমাণে নিম্নমানের ভেজাল প্রসাধনী ঢুকছে দেশে।
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামকেন্দ্রিক দেশের সবচেয়ে বড় ছয়টি পৃথক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত
১২ ঘণ্টা আগেব্রোকারেজ হাউস সাবভ্যালি সিকিউরিটিজের সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। মূলধন ঋণাত্মক ও বিনিয়োগের বিপরীতে দেওয়া ঋণের অনুপাত অনেক বেশি হওয়ায় এই নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।
১২ ঘণ্টা আগে