ফারুক মেহেদী, ঢাকা
ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থাকছে আশাজাগানিয়া সব লক্ষ্যমাত্রা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ধারকর্জ আর করের দিকে মূল নজর দেওয়া হয়েছে এতে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে নতুন বাজেট পেশ করবেন।
সরকারের টাকার সংকট মেটাতে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব আয়ে নানা ঝুঁকি এবং অর্থায়নের টানাটানির মধ্যেও তিনি উন্নয়ন ব্যয় ধরেছেন ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে বড় এডিপি ঘোষণা থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল হয়ে লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রের দামে যখন আগুন, তখনো ১০ শতাংশ ছুঁয়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা দেখাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশীয় শিল্পের প্রসারসহ অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশাজাগানিয়া লক্ষ্য ঠিক করলেও সুযোগ বুঝে ঠিকই স্থানীয় শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি নিচ্ছেন নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী কর-শুল্ক-ভ্যাট নীতি এমনভাবে সাজিয়েছেন যে এবার ধনী-গরিব কমবেশি সবার ওপরই চাপবে করের বোঝা।
যেখানে অর্থনীতির সংকটগুলো কাটিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকা সচল করার কথা, সেখানে বড় বাজেটের বেশি খরচের চাপে আবারও মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া, বড় রাজস্বের বোঝায় মানুষের করের চাপ বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, ঘাটতি বাজেটের অর্থসংস্থানে বড় ঋণের লক্ষ্য সরকারের সুদ ও দায়ের চাপও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্যের
আমদানিতে ট্যারিফ বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। তখন এটা খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি হবে। সেখানে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। একে তো বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৩৬ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়া মানে ওই পরিমাণ কর দেওয়া। খুব বেশি সম্প্রসারিত বাজেট হবে না, তা আশা করা যায়। হয়তো খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে পুরো বিষয়টা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে। আমার মনে হয়, সার্বিক চেষ্টা ও কৌশল হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি কমানো।
জীবনযাপনে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখনো বড় রাজস্ব আয়ের চ্যালেঞ্জই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য বেশির ভাগ পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের চাপে করছাড় তুলে দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সাশ্রয় করতে চান অর্থমন্ত্রী। এত দিন শিল্পের কাঁচামালে যে শূন্য শুল্ক ছিল, সেটিও তুলে দিয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও অনেক শিল্প ও সেবায় খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিকর দিতে হবে। এতে অনেকেই সর্বোচ্চ করদাতার কাতারে শামিল হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে ব্যক্তি করদাতাকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও সে পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। বরং কর আদায়ে মরিয়া হয়ে এবার অবাধে সব খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম, মিষ্টি পানীয়, কোমল পানীয়, মোবাইলের সিম কার্ড, লটারির টিকিট থেকে শুরু করে গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অসংখ্য পণ্যে বাড়তি কর বসছে আসছে বাজেটে। এভাবে করের জাল বিস্তার করে শুধু এনবিআরের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অনেক কঠিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বাজেট হতে যাচ্ছে। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার ও ডলার-সংকট। তবে আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপটা এবার একটু বেশিই। যেকোনো পণ্যেই শুল্ককর দিতে হবে। একটি পণ্য যতবার বিক্রি হবে, ততবার কর দিতে হবে কেন?’
এদিকে, বড় রাজস্ব লক্ষ্য ধরলেও তাতেই বাজেটের অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই এবারও রীতি মেনে বড় অঙ্কের ধারকর্জ করার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটে তাই ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ টাকার জন্য সরকারকে দ্বারস্থ হতে হবে বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্রের ওপর। মোটাদাগে সরকারকে নতুন অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিটা আসবে অন্য উৎস থেকে। শুধু যে পুরো টাকা সরকার উন্নয়নে খরচ করবে তা নয়; একই সঙ্গে ঋণের সুদেও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে নতুন অর্থবছরে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই খরচ হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকার চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেকের কম। আর বাকি দুই মাসে বাকি অর্ধেক বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নে এমন অদক্ষতার মধ্যেও আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি দেওয়া হচ্ছে। এর ভেতরে গতানুগতিকভাবে কম দরকারি অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব খাতে বেশি খরচের লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থাকছে আশাজাগানিয়া সব লক্ষ্যমাত্রা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ধারকর্জ আর করের দিকে মূল নজর দেওয়া হয়েছে এতে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে নতুন বাজেট পেশ করবেন।
সরকারের টাকার সংকট মেটাতে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব আয়ে নানা ঝুঁকি এবং অর্থায়নের টানাটানির মধ্যেও তিনি উন্নয়ন ব্যয় ধরেছেন ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে বড় এডিপি ঘোষণা থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল হয়ে লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রের দামে যখন আগুন, তখনো ১০ শতাংশ ছুঁয়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা দেখাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশীয় শিল্পের প্রসারসহ অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশাজাগানিয়া লক্ষ্য ঠিক করলেও সুযোগ বুঝে ঠিকই স্থানীয় শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি নিচ্ছেন নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী কর-শুল্ক-ভ্যাট নীতি এমনভাবে সাজিয়েছেন যে এবার ধনী-গরিব কমবেশি সবার ওপরই চাপবে করের বোঝা।
যেখানে অর্থনীতির সংকটগুলো কাটিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকা সচল করার কথা, সেখানে বড় বাজেটের বেশি খরচের চাপে আবারও মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া, বড় রাজস্বের বোঝায় মানুষের করের চাপ বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, ঘাটতি বাজেটের অর্থসংস্থানে বড় ঋণের লক্ষ্য সরকারের সুদ ও দায়ের চাপও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্যের
আমদানিতে ট্যারিফ বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। তখন এটা খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি হবে। সেখানে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। একে তো বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৩৬ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়া মানে ওই পরিমাণ কর দেওয়া। খুব বেশি সম্প্রসারিত বাজেট হবে না, তা আশা করা যায়। হয়তো খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে পুরো বিষয়টা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে। আমার মনে হয়, সার্বিক চেষ্টা ও কৌশল হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি কমানো।
জীবনযাপনে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখনো বড় রাজস্ব আয়ের চ্যালেঞ্জই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য বেশির ভাগ পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের চাপে করছাড় তুলে দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সাশ্রয় করতে চান অর্থমন্ত্রী। এত দিন শিল্পের কাঁচামালে যে শূন্য শুল্ক ছিল, সেটিও তুলে দিয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও অনেক শিল্প ও সেবায় খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিকর দিতে হবে। এতে অনেকেই সর্বোচ্চ করদাতার কাতারে শামিল হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে ব্যক্তি করদাতাকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও সে পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। বরং কর আদায়ে মরিয়া হয়ে এবার অবাধে সব খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম, মিষ্টি পানীয়, কোমল পানীয়, মোবাইলের সিম কার্ড, লটারির টিকিট থেকে শুরু করে গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অসংখ্য পণ্যে বাড়তি কর বসছে আসছে বাজেটে। এভাবে করের জাল বিস্তার করে শুধু এনবিআরের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অনেক কঠিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বাজেট হতে যাচ্ছে। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার ও ডলার-সংকট। তবে আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপটা এবার একটু বেশিই। যেকোনো পণ্যেই শুল্ককর দিতে হবে। একটি পণ্য যতবার বিক্রি হবে, ততবার কর দিতে হবে কেন?’
এদিকে, বড় রাজস্ব লক্ষ্য ধরলেও তাতেই বাজেটের অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই এবারও রীতি মেনে বড় অঙ্কের ধারকর্জ করার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটে তাই ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ টাকার জন্য সরকারকে দ্বারস্থ হতে হবে বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্রের ওপর। মোটাদাগে সরকারকে নতুন অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিটা আসবে অন্য উৎস থেকে। শুধু যে পুরো টাকা সরকার উন্নয়নে খরচ করবে তা নয়; একই সঙ্গে ঋণের সুদেও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে নতুন অর্থবছরে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই খরচ হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকার চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেকের কম। আর বাকি দুই মাসে বাকি অর্ধেক বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নে এমন অদক্ষতার মধ্যেও আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি দেওয়া হচ্ছে। এর ভেতরে গতানুগতিকভাবে কম দরকারি অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব খাতে বেশি খরচের লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ইভেন্ট দারাজ ১১.১১। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে দারাজে। সারা দেশের মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে, যেখানে পছন্দের পণ্যে মেলে দারুণ সব অফার, আর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে চলেছে সবাই।
১১ মিনিট আগেবাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক টিভি রিয়্যালিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ-ষষ্ঠ বর্ষ’-এর চট্টগ্রাম বিভাগের বাছাইপর্ব আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম শহরের ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইস
১৮ মিনিট আগেআগামী রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে ট্যারিফ ভ্যালু যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। কমিশন বলছে, খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ১০ থেকে ৩ শতাংশ করা হোক।
৪০ মিনিট আগেদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ নামে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আর সাত মাস। অথচ কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬৫ শতাংশ। এই অবস্থায় মেয়াদের শেষ বছরে এসে বড় আ
১ ঘণ্টা আগে