সাইফুল মাসুম, ঢাকা
দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ নামে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আর সাত মাস। অথচ কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬৫ শতাংশ। এই অবস্থায় মেয়াদের শেষ বছরে এসে বড় আর্থিক কাটছাঁটের মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ দিকে থাকায় বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কায় কিছু কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্প থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্প দপ্তর জানিয়েছে, প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া অর্থ ৭২১ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে প্রায়োগিক গবেষণা ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দের ৭০ কোটি টাকা, সি ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়নকল্পে ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার তৈরিতে বরাদ্দের ৪০ কোটি টাকা, বাগদা চিংড়ির এসফিএফ ব্রুড ব্যবস্থাপনা সেন্টার স্থাপনে ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং চকরিয়া চিংড়িঘের উন্নয়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বড় অঙ্কের অর্থ বাদ দেওয়া হলেও প্রকল্পের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকা পাচ্ছি ডলারে। ডলারের দাম বাড়ায় প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে প্রকল্পের কার্যক্রমে তেমন প্রভাব পড়বে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রকল্প থেকে কিছু কাজ আমরা বাদ দিয়েছি জায়গার সমস্যার কারণে। আমাদের পরিকল্পনা আছে বাদ দেওয়া কাজগুলো পরবর্তী সময়ে প্রকল্প পেলে করব।’
প্রকল্পের বিস্তারিত: দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদ টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পটিতে ২৩৮ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। প্রকল্প এলাকা খুলনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ভোলাসহ দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলার ৭৫টি উপজেলা। প্রকল্পের কার্যক্রম মোট চারটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে মৎস্য খাতে টেকসই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমে রয়েছে—প্রকল্পের অর্থায়নে ২০টি জরিপকাজ পরিচালনা করা, মৎস্য নৌযানে ৮ হাজার ৫০০টি জিএসএম এবং বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযানে ৫টি এমটিইউ ডিভাইস লাগানো এবং মৎস্য নৌযানের রেজিস্ট্রেশন ও মৎস্যজীবীদের লাইসেন্সিংয়ের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করা।
অবকাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৩৫০টি চিংড়ির ক্লাস্টার গঠন এবং এর মধ্যে ৩০০টি ক্লাস্টারকে অনুদান প্রদান, ১৭টি পোস্ট হারভেস্ট সার্ভিস সেন্টার উন্নয়ন, খাল পুনঃখনন কার্যক্রম, ১০টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারস আধুনিকায়ন, তিনটি ফিশ হেলথ ডায়াগনস্টিক ল্যাব, তিনটি ফিশ কোয়ারেন্টিন ল্যাব এবং তিনটি পিসিআর ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে।
মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও জীবিকায়নে বিকল্প পেশার রূপান্তর কার্যক্রমে রয়েছে উপকূলীয় ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রামে সিবিও প্রতিষ্ঠা এবং ৪৫টি উপজেলায় মৎস্যজীবী ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করা, ১০০ মডেল জেলে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা এবং মৎস্যজীবী গ্রামের ১৮ হাজার যুবক-যুবতীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।
২০১৮ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সময় সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ।
প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘প্রকল্প শুরু করতেই দেরি হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকল্প অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। দুই বছর করোনার জন্য কাজ একেবারেই হয়নি। এসব কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রথম দিকে খুবই কম ছিল। তবে এখন সব কাজ অনেক দূর এগিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদে বাকি কাজ শেষ হবে।’
দেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ নামে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আর সাত মাস। অথচ কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬৫ শতাংশ। এই অবস্থায় মেয়াদের শেষ বছরে এসে বড় আর্থিক কাটছাঁটের মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ দিকে থাকায় বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কায় কিছু কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত এই প্রকল্প থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্প দপ্তর জানিয়েছে, প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া অর্থ ৭২১ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে প্রায়োগিক গবেষণা ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগের জন্য বরাদ্দের ৭০ কোটি টাকা, সি ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়নকল্পে ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার তৈরিতে বরাদ্দের ৪০ কোটি টাকা, বাগদা চিংড়ির এসফিএফ ব্রুড ব্যবস্থাপনা সেন্টার স্থাপনে ৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং চকরিয়া চিংড়িঘের উন্নয়ন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ১৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বড় অঙ্কের অর্থ বাদ দেওয়া হলেও প্রকল্পের কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকা পাচ্ছি ডলারে। ডলারের দাম বাড়ায় প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে প্রকল্পের কার্যক্রমে তেমন প্রভাব পড়বে না।’ তিনি বলেন, ‘প্রকল্প থেকে কিছু কাজ আমরা বাদ দিয়েছি জায়গার সমস্যার কারণে। আমাদের পরিকল্পনা আছে বাদ দেওয়া কাজগুলো পরবর্তী সময়ে প্রকল্প পেলে করব।’
প্রকল্পের বিস্তারিত: দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় মৎস্যসম্পদ টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। প্রকল্পটিতে ২৩৮ জনের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। প্রকল্প এলাকা খুলনা, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ভোলাসহ দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলার ৭৫টি উপজেলা। প্রকল্পের কার্যক্রম মোট চারটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে মৎস্য খাতে টেকসই বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমে রয়েছে—প্রকল্পের অর্থায়নে ২০টি জরিপকাজ পরিচালনা করা, মৎস্য নৌযানে ৮ হাজার ৫০০টি জিএসএম এবং বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযানে ৫টি এমটিইউ ডিভাইস লাগানো এবং মৎস্য নৌযানের রেজিস্ট্রেশন ও মৎস্যজীবীদের লাইসেন্সিংয়ের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করা।
অবকাঠামো ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় ৩৫০টি চিংড়ির ক্লাস্টার গঠন এবং এর মধ্যে ৩০০টি ক্লাস্টারকে অনুদান প্রদান, ১৭টি পোস্ট হারভেস্ট সার্ভিস সেন্টার উন্নয়ন, খাল পুনঃখনন কার্যক্রম, ১০টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারস আধুনিকায়ন, তিনটি ফিশ হেলথ ডায়াগনস্টিক ল্যাব, তিনটি ফিশ কোয়ারেন্টিন ল্যাব এবং তিনটি পিসিআর ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে।
মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন ও জীবিকায়নে বিকল্প পেশার রূপান্তর কার্যক্রমে রয়েছে উপকূলীয় ৪৫০টি মৎস্যজীবী গ্রামে সিবিও প্রতিষ্ঠা এবং ৪৫টি উপজেলায় মৎস্যজীবী ফেডারেশন প্রতিষ্ঠা করা, ১০০ মডেল জেলে গ্রাম প্রতিষ্ঠা করা এবং মৎস্যজীবী গ্রামের ১৮ হাজার যুবক-যুবতীকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আওতায় আনা।
২০১৮ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। সময় সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬৫ শতাংশ।
প্রকল্পের অগ্রগতি কম হওয়ার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘প্রকল্প শুরু করতেই দেরি হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রকল্প অনুমোদন হলেও কাজ শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। দুই বছর করোনার জন্য কাজ একেবারেই হয়নি। এসব কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রথম দিকে খুবই কম ছিল। তবে এখন সব কাজ অনেক দূর এগিয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদে বাকি কাজ শেষ হবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১৪ মিনিট আগেসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৫২১ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গত ১৪ নভেম্বর এই সভার আয়োজন করা হয়।
২০ মিনিট আগেএসিআই পাওয়ার সলিউশন ২৬ তম পাওয়ার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে অংশগ্রহণ করেছে। এটি ১৪-১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায়। এসিআই পাওয়ার সলিউশনের এক্সপোতে অংশগ্রহণের মূল লক্ষ্য সব নতুন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো। যার মধ্যে রেইকেম কেবল এক্সেসরিজ, স্নেইডার সার্কিট ব্র
৩৬ মিনিট আগেচলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তৃতীয়) প্রান্তিকে দেশের ১৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে একই সময়ে ২৩ কোম্পানির মুনাফা কমেছে। এ তথ্য ৪০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির ১ জুলাই থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১ ঘণ্টা আগে