অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর ধনী ব্যক্তিরা শুধু বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যই কোটি কোটি ডলার খরচ করেন এমন নয়; তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পেছনেও যে পরিমাণ খরচ হয় তা অবিশ্বাস্য! এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ ও ওয়ারেন বাফেটের মতো বিলিয়নিয়ারেরা।
ফরচুন ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ওয়ারেন বাফেট ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পেছনে খরচ কিছুটা কমিয়েছেন।
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান এবং সিইও বাফেট ব্যক্তিগত এবং বাড়ির নিরাপত্তা ব্যয় ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮১ ডলার থেকে ১৯ শতাংশ কমিয়ে ২০২৩ সালে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৫ ডলার করেছেন। সম্প্রতি কোম্পানির পক্ষ থেকে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আইএসএস করপোরেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষতিপূরণ বিভাগের প্রধান জুন ফ্রাঙ্ক বলেন, সিইওদের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অনুষঙ্গের মধ্যে সাধারণত বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বাসভবনে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপত্তারক্ষী, একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং প্রতিরক্ষামূলক চালক, সাইবার নিরাপত্তা বিমা এবং প্রতিরক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিইও–এর সুযোগ–সুবিধার বিষয়ে পরামর্শক সংস্থা আইএসএস করপোরেটের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ কোম্পানির সিইওদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা ব্যয় ২০২০ সালে মোট নিরাপত্তা ব্যয়ের ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সময়কালে এই সুবিধা কমেনি। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে যেগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেনি তা হলো করপোরেট জেট ভ্রমণ।
দেখা গেছে, মাঝারি মানের নিরাপত্তা সুবিধার ব্যয় ২০২০ সালের ৩৪ হাজার ৩০০ ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৪০ হাজার ৭০০ ডলার হয়েছে।
ওয়ারেন বাফেটের ক্ষেত্রে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নিরাপত্তা সুবিধার খরচ বেশ ওঠানামা করেছে, এরপরও গড় ব্যয় প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার ডলার।
জুন ফ্র্যাঙ্কের মতে, খরচের পরিবর্তনগুলো সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ, অবকাশ এবং অ্যালার্ম ইনস্টলেশন এবং পরিষেবা কমবেশি হওয়ার কারণে হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুবিধার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের অন্তর্নিহিত প্রধান চালিকাশক্তির মধ্যে একটি হলো মূল্যস্ফীতি।
এদিকে মেটা প্ল্যাটফর্ম গত বছর প্রকাশ করেছে, সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জাকারবার্গের নিরাপত্তা ব্যয় ১ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার হয়েছে। বৃহৎ কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই খাতে এটিই সর্বোচ্চ ব্যয়।
কোম্পানির সিইও, পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এবং বড় অংশের শেয়ারের মালিক হওয়ার কারণে জাকারবার্গের নিরাপত্তা নিয়ে মেটা কোম্পানি উদ্বিগ্ন থাকে। এ কারণেই তাঁর নিরাপত্তার পেছনে এত বরাদ্দ থাকে।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই গত বছর সবচেয়ে বেশি বেতনের সিইও ছিলেন—২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পেছনে ব্যয় ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪ ডলার।
এ ছাড়া মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলার নিরাপত্তা ব্যয় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯৫ ডলার।
আইএসএস করপোরেটের সমীক্ষা অনুসারে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ তালিকার আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিইওদের জন্য হোম সিকিউরিটি সুবিধায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। এরপরেই রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান।
মার্কিন আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়েলস ফার্গো ২০২৩ সালে কোম্পানির সিইও চার্লস স্কার্ফের আবাসিক, শারীরিক এবং সাইবার নিরাপত্তা বাবদ খরচ করেছে ৮১ হাজার ২৬৪ ডলার। এর মধ্যে ৬৬ হাজার ৪৬৫ ডলার ব্যয় ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত এককালীন খরচ।
আমেরিকান এক্সপ্রেসের সিইও স্টিফেন স্কোয়ারির ব্যক্তিগত ভ্রমণের সময় বাড়ির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য খরচ হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩২ ডলার।
পৃথিবীর ধনী ব্যক্তিরা শুধু বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যই কোটি কোটি ডলার খরচ করেন এমন নয়; তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পেছনেও যে পরিমাণ খরচ হয় তা অবিশ্বাস্য! এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ ও ওয়ারেন বাফেটের মতো বিলিয়নিয়ারেরা।
ফরচুন ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে ওয়ারেন বাফেট ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পেছনে খরচ কিছুটা কমিয়েছেন।
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের চেয়ারম্যান এবং সিইও বাফেট ব্যক্তিগত এবং বাড়ির নিরাপত্তা ব্যয় ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮১ ডলার থেকে ১৯ শতাংশ কমিয়ে ২০২৩ সালে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৫ ডলার করেছেন। সম্প্রতি কোম্পানির পক্ষ থেকে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আইএসএস করপোরেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষতিপূরণ বিভাগের প্রধান জুন ফ্রাঙ্ক বলেন, সিইওদের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অনুষঙ্গের মধ্যে সাধারণত বাসভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বাসভবনে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য নিরাপত্তারক্ষী, একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং প্রতিরক্ষামূলক চালক, সাইবার নিরাপত্তা বিমা এবং প্রতিরক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিইও–এর সুযোগ–সুবিধার বিষয়ে পরামর্শক সংস্থা আইএসএস করপোরেটের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ কোম্পানির সিইওদের জন্য বাড়ির নিরাপত্তা ব্যয় ২০২০ সালে মোট নিরাপত্তা ব্যয়ের ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সময়কালে এই সুবিধা কমেনি। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে যেগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেনি তা হলো করপোরেট জেট ভ্রমণ।
দেখা গেছে, মাঝারি মানের নিরাপত্তা সুবিধার ব্যয় ২০২০ সালের ৩৪ হাজার ৩০০ ডলার থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৪০ হাজার ৭০০ ডলার হয়েছে।
ওয়ারেন বাফেটের ক্ষেত্রে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নিরাপত্তা সুবিধার খরচ বেশ ওঠানামা করেছে, এরপরও গড় ব্যয় প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার ডলার।
জুন ফ্র্যাঙ্কের মতে, খরচের পরিবর্তনগুলো সাধারণত বিদেশ ভ্রমণ, অবকাশ এবং অ্যালার্ম ইনস্টলেশন এবং পরিষেবা কমবেশি হওয়ার কারণে হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সুবিধার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের অন্তর্নিহিত প্রধান চালিকাশক্তির মধ্যে একটি হলো মূল্যস্ফীতি।
এদিকে মেটা প্ল্যাটফর্ম গত বছর প্রকাশ করেছে, সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জাকারবার্গের নিরাপত্তা ব্যয় ১ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার হয়েছে। বৃহৎ কোম্পানিগুলোর মধ্যে এই খাতে এটিই সর্বোচ্চ ব্যয়।
কোম্পানির সিইও, পরিচালনা পর্ষদের প্রধান এবং বড় অংশের শেয়ারের মালিক হওয়ার কারণে জাকারবার্গের নিরাপত্তা নিয়ে মেটা কোম্পানি উদ্বিগ্ন থাকে। এ কারণেই তাঁর নিরাপত্তার পেছনে এত বরাদ্দ থাকে।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই গত বছর সবচেয়ে বেশি বেতনের সিইও ছিলেন—২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পেছনে ব্যয় ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৮৪ ডলার।
এ ছাড়া মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলার নিরাপত্তা ব্যয় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯৫ ডলার।
আইএসএস করপোরেটের সমীক্ষা অনুসারে, এসঅ্যান্ডপি ৫০০ তালিকার আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিইওদের জন্য হোম সিকিউরিটি সুবিধায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। এরপরেই রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান।
মার্কিন আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়েলস ফার্গো ২০২৩ সালে কোম্পানির সিইও চার্লস স্কার্ফের আবাসিক, শারীরিক এবং সাইবার নিরাপত্তা বাবদ খরচ করেছে ৮১ হাজার ২৬৪ ডলার। এর মধ্যে ৬৬ হাজার ৪৬৫ ডলার ব্যয় ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত এককালীন খরচ।
আমেরিকান এক্সপ্রেসের সিইও স্টিফেন স্কোয়ারির ব্যক্তিগত ভ্রমণের সময় বাড়ির নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য খরচ হয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩২ ডলার।
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ইভেন্ট দারাজ ১১.১১। প্রথম দিনেই ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে দারাজে। সারা দেশের মানুষ মেতে উঠেছে উৎসবের আমেজে, যেখানে পছন্দের পণ্যে মেলে দারুণ সব অফার, আর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে চলেছে সবাই।
১ মিনিট আগেবাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক টিভি রিয়্যালিটি শো ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ-ষষ্ঠ বর্ষ’-এর চট্টগ্রাম বিভাগের বাছাইপর্ব আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম শহরের ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ, পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ইস
৮ মিনিট আগেআগামী রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে ট্যারিফ ভ্যালু যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। কমিশন বলছে, খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ১০ থেকে ৩ শতাংশ করা হোক।
৩০ মিনিট আগেদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প’ নামে নিজেদের সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি শুরু করে মৎস্য অধিদপ্তর। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ বাকি আর সাত মাস। অথচ কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬৫ শতাংশ। এই অবস্থায় মেয়াদের শেষ বছরে এসে বড় আ
১ ঘণ্টা আগে