এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন গঠনে কোনো অগ্রগতি নেই। এই কমিশন গঠন প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুলের জবাব সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পক্ষই তা দেয়নি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও এখনো পলাতক পাঁচ খুনি। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থানের বিষয়ে সরকারের কাছে তথ্য থাকলেও বাকি তিনজনের নেই। পলাতক খুনিদের সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে সরকার পুরস্কার দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বিপথগামী একদল সেনাসদস্য। ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের কারণে দীর্ঘদিন এই বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচারের পথ রুদ্ধ ছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। মামলা করা হয় ধানমন্ডি থানায়।
১৩ বছরের বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজ পাশা। আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাতে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট কুশীলবদের খুঁজতে স্বাধীন কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কমিশন গঠনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, চার সপ্তাহের রুল ছিল। এখনো কোনো পক্ষ জবাব দেয়নি। কমিশন গঠনে দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখা যাচ্ছে না। রুলটি সময়মতো শুনানি করার কথা জানান তিনি।
১ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হবে। আইনের খসড়া ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলে তা জাতীয় সংসদে তোলা হবে। কমিশনের কাজ প্রতিহিংসামূলক হবে না।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আইনের খসড়া করে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। আইন মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাঁর আশা, আইনটি অচিরেই আসবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে সরকার তাকে পুরস্কার দেবে। তবে কী পুরস্কার, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ওই আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুনিদের ফেরত চেয়ে সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারকে অনেক চিঠি লিখেছে। খুনিদের আশ্রয় দেওয়া তাদের উচিত নয়।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, পলাতক পাঁচজনের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় এবং এম এ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন গঠনে কোনো অগ্রগতি নেই। এই কমিশন গঠন প্রশ্নে হাইকোর্টের জারি করা রুলের জবাব সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো পক্ষই তা দেয়নি।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলেও এখনো পলাতক পাঁচ খুনি। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থানের বিষয়ে সরকারের কাছে তথ্য থাকলেও বাকি তিনজনের নেই। পলাতক খুনিদের সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে সরকার পুরস্কার দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বিপথগামী একদল সেনাসদস্য। ওই সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের কারণে দীর্ঘদিন এই বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচারের পথ রুদ্ধ ছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। মামলা করা হয় ধানমন্ডি থানায়।
১৩ বছরের বিচারপ্রক্রিয়া শেষে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজিজ পাশা। আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয় ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল দিবাগত রাতে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট কুশীলবদের খুঁজতে স্বাধীন কমিশন গঠনে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং কমিশন গঠনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
রিটকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, চার সপ্তাহের রুল ছিল। এখনো কোনো পক্ষ জবাব দেয়নি। কমিশন গঠনে দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখা যাচ্ছে না। রুলটি সময়মতো শুনানি করার কথা জানান তিনি।
১ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠন করা হবে। আইনের খসড়া ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলে তা জাতীয় সংসদে তোলা হবে। কমিশনের কাজ প্রতিহিংসামূলক হবে না।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আইনের খসড়া করে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়নি। আইন মন্ত্রণালয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাঁর আশা, আইনটি অচিরেই আসবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের সম্পর্কে কেউ তথ্য দিলে সরকার তাকে পুরস্কার দেবে। তবে কী পুরস্কার, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ওই আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খুনিদের ফেরত চেয়ে সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকারকে অনেক চিঠি লিখেছে। খুনিদের আশ্রয় দেওয়া তাদের উচিত নয়।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, পলাতক পাঁচজনের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় এবং এম এ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন খানের বিষয়ে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪