কাজল পারভীন
সে তো দারুণ আনন্দের সময় ছিল। আমাদের ঈদের এই উৎসবটা অনেক বেশি জাঁকজমকভাবে হতো। রোজা আসছে এই ভেবে আমরা আনন্দিত হতাম। আব্বা অনেক ইফতারি নিয়ে আসতেন আমাদের জন্য। চকবাজার অনেক আনন্দের জায়গা ছিল সে সময়। আব্বা চকবাজার যাবেন, মজার মজার ইফতারি আনবেন—এটা ছিল ছোটবেলায় আমাদের রোজা আর ঈদের একটা বড় স্মৃতি। বাড়িতে আম্মাও বানাতেন অনেক ইফতারি। এ বাড়ি-সে বাড়িতে পাঠানো হতো সেগুলো কখনো কখনো।
সবচেয়ে বড় আনন্দ হতো কাপড়চোপড় কেনার সময়। আমরা অনেক কাপড় কিনতাম। আমাদের ছোটবেলায় ঈদের সময় কাপড় কেনাটা ছিল একটা খুবই বড় ব্যাপার। এখন অনেক কাপড় কিনে যে রকম আনন্দ হয়, তখন একটা বা দুটো কাপড় কিনে আমাদের সে আনন্দটা হতো। একটা-দুটো জামা পেলেই আমরা ভীষণ খুশি হতাম। ঈদে আম্মার সঙ্গে বাজারে যাওয়া, সেটাও ছিল আনন্দের ব্যাপার। বাজারে যাব, কাপড়চোপড় কিনব, এটা ছিল ঈদের আগে সে সময়ে একটা দারুণ বিষয়। মানে বাজারে যেতেই হবে কাপড় কেনার জন্য। ঈদের আগে যখন জামা কেনা হতো, তখন আমরা বারবার নেড়েচেড়ে দেখতাম। কবে ঈদ আসবে, কবে পরব, সেটা নিয়ে একটা চাপা আনন্দ আর উত্তেজনা থাকত মনের ভেতর। ঈদের দিন নতুন জামা পরে সারা দিন ঘুরতাম, বারবার দেখতাম নতুন জামা। সে আনন্দটা ছিল অন্যরকম।
আরেকটা আনন্দ ছিল মেহেদি লাগানো। চাঁদরাত মানেই মেহেদি। হাতে-পায়ে মেহেদি পরা হবে। অনেক মেহেদি লাগাতে হবে হাতে-পায়ে। মেহেদি গাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে তারপর সেই মেহেদি বেটে সেটা লাগানো হতো হাতে-পায়ে, একদম ভরে ভরে। আমরা বুয়াদের পেছন পেছন ঘুরতাম। বারবার বলতাম, বুয়া তাড়াতাড়ি মেহেদি বাটো, তাড়াতাড়ি মেহেদি বাটো, হাতে লাগাব। আমরা ঈদের সময় অনেক ঘুরতাম, রিকশা দিয়ে এখানে-সেখানে যেতাম। আমার আব্বার তখন গাড়ি ছিল। সেই গাড়ি দিয়ে আমরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। সে সময় কিন্তু মেয়েদের ঘোরাফেরায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি—এখন যেমন হয়।
ঈদে আনন্দ মিছিল হতো সে সময়। আমার আম্মা আমাদের যেতে দিতেন না বাইরে। কিন্তু আমরা বারান্দা থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। চকবাজারে সে সময় ঈদের মেলা হতো। এটা বেশ পুরোনো মেলা। সে মেলায় যাওয়ার জন্য আমরা অনেক কান্নাকাটি করতাম। কারণ, আব্বা আমাদের খুব বেশি বাইরে বের হতে দিতেন না। কিন্তু আমরা সেখানে যাব, হাড়িপাতিল, খেলনা কিনব। সে জন্য কান্নাকাটি করতাম। মন মানত না যেতে না দিলে। এখন ঈদের আনন্দ আর সে রকম নেই। স্বাভাবিক দিনের মতোই ঈদের দিনটিকে মনে হয়। বয়স বেড়েছে বলেই এমন মনে হয় হয়তো।
সে তো দারুণ আনন্দের সময় ছিল। আমাদের ঈদের এই উৎসবটা অনেক বেশি জাঁকজমকভাবে হতো। রোজা আসছে এই ভেবে আমরা আনন্দিত হতাম। আব্বা অনেক ইফতারি নিয়ে আসতেন আমাদের জন্য। চকবাজার অনেক আনন্দের জায়গা ছিল সে সময়। আব্বা চকবাজার যাবেন, মজার মজার ইফতারি আনবেন—এটা ছিল ছোটবেলায় আমাদের রোজা আর ঈদের একটা বড় স্মৃতি। বাড়িতে আম্মাও বানাতেন অনেক ইফতারি। এ বাড়ি-সে বাড়িতে পাঠানো হতো সেগুলো কখনো কখনো।
সবচেয়ে বড় আনন্দ হতো কাপড়চোপড় কেনার সময়। আমরা অনেক কাপড় কিনতাম। আমাদের ছোটবেলায় ঈদের সময় কাপড় কেনাটা ছিল একটা খুবই বড় ব্যাপার। এখন অনেক কাপড় কিনে যে রকম আনন্দ হয়, তখন একটা বা দুটো কাপড় কিনে আমাদের সে আনন্দটা হতো। একটা-দুটো জামা পেলেই আমরা ভীষণ খুশি হতাম। ঈদে আম্মার সঙ্গে বাজারে যাওয়া, সেটাও ছিল আনন্দের ব্যাপার। বাজারে যাব, কাপড়চোপড় কিনব, এটা ছিল ঈদের আগে সে সময়ে একটা দারুণ বিষয়। মানে বাজারে যেতেই হবে কাপড় কেনার জন্য। ঈদের আগে যখন জামা কেনা হতো, তখন আমরা বারবার নেড়েচেড়ে দেখতাম। কবে ঈদ আসবে, কবে পরব, সেটা নিয়ে একটা চাপা আনন্দ আর উত্তেজনা থাকত মনের ভেতর। ঈদের দিন নতুন জামা পরে সারা দিন ঘুরতাম, বারবার দেখতাম নতুন জামা। সে আনন্দটা ছিল অন্যরকম।
আরেকটা আনন্দ ছিল মেহেদি লাগানো। চাঁদরাত মানেই মেহেদি। হাতে-পায়ে মেহেদি পরা হবে। অনেক মেহেদি লাগাতে হবে হাতে-পায়ে। মেহেদি গাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে তারপর সেই মেহেদি বেটে সেটা লাগানো হতো হাতে-পায়ে, একদম ভরে ভরে। আমরা বুয়াদের পেছন পেছন ঘুরতাম। বারবার বলতাম, বুয়া তাড়াতাড়ি মেহেদি বাটো, তাড়াতাড়ি মেহেদি বাটো, হাতে লাগাব। আমরা ঈদের সময় অনেক ঘুরতাম, রিকশা দিয়ে এখানে-সেখানে যেতাম। আমার আব্বার তখন গাড়ি ছিল। সেই গাড়ি দিয়ে আমরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম। সে সময় কিন্তু মেয়েদের ঘোরাফেরায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি—এখন যেমন হয়।
ঈদে আনন্দ মিছিল হতো সে সময়। আমার আম্মা আমাদের যেতে দিতেন না বাইরে। কিন্তু আমরা বারান্দা থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম। চকবাজারে সে সময় ঈদের মেলা হতো। এটা বেশ পুরোনো মেলা। সে মেলায় যাওয়ার জন্য আমরা অনেক কান্নাকাটি করতাম। কারণ, আব্বা আমাদের খুব বেশি বাইরে বের হতে দিতেন না। কিন্তু আমরা সেখানে যাব, হাড়িপাতিল, খেলনা কিনব। সে জন্য কান্নাকাটি করতাম। মন মানত না যেতে না দিলে। এখন ঈদের আনন্দ আর সে রকম নেই। স্বাভাবিক দিনের মতোই ঈদের দিনটিকে মনে হয়। বয়স বেড়েছে বলেই এমন মনে হয় হয়তো।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪