ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
গত ৫০ বছরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিশেষ করে কৃষি ও অকৃষি খাত ঢের সম্প্রসারিত হয়েছে। সেটি একটা ভিত রচনা করেছে আমাদের অর্থনীতিতে।
সে জন্য করোনাকালেও আমাদের খুব একটা সমস্যা হয়নি, বিশেষ করে খাদ্যনিরাপত্তার ব্যাপারে। কৃষি থেকে সেটা পাওয়া গেছে। একটা ভবন বানাতে হলে ভিত শক্ত করতে হয়। তাহলেই ওপরের অংশটা বড় করে বানানো যায়। সে হিসাবে কৃষিতে এখনো আমাদের কর্মসংস্থান ৩৬-৩৭ শতাংশ। দারিদ্র্য নিরসনেও সেখানে একটা বড় ভূমিকা আছে। এ জন্য কৃষির ওপর জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া অন্যান্য খাত, যেমন রপ্তানি ও শিল্প খাতও সম্প্রসারিত হয়েছে।
আরেকটা দিক হচ্ছে ডিজিটাল সম্প্রসারণ, যেটা একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। করোনাকালে সেটাও আমাদের সহায়তা করেছে। এর আরেকটা বড় দিক হচ্ছে, এটা যত বেশি ব্যবহার করা যাবে, দুর্নীতি তত কমিয়ে আনা যাবে। ইতিমধ্যে এটা দুর্নীতি কমিয়ে আনতে সহযোগিতা করছে।
দেশকে এগিয়ে নিতে মানুষের সক্ষমতা দরকার হয়। মানুষের সক্ষম হওয়ার পেছনে তিনটি বিষয় কাজ করে। এগুলো হলো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের শিক্ষার সম্প্রসারণ হয়েছে। শিক্ষার হার ৭৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে, কিন্তু মান নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এখন মানের দিকে নজর না দিলে আগামী দিনে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে গেলে যে দক্ষ লোকজন প্রয়োজন হবে, সেখানে সমস্যা দেখা দেবে। এটি সরকারের নীতি ও কর্মসূচিতেও আছে। ২০১১ সালে দক্ষতা উন্নয়ন নীতি করা আছে। কিন্তু যাঁরা বাস্তবায়ন করেন, তাঁরা সঠিকভাবে তা করেন না। ফলে সেখানে যতটুকু অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেটা হয়নি।
স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ ছিল দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেগুলো সব জায়গায় সঠিকভাবে কাজ করে না। সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কেন্দ্র করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া খুব জরুরি। এর জন্য একটি পরিপূর্ণ ব্যবস্থা শুরু করা যেতে পারে। এ জন্য সময় লাগবে, কিন্তু শুরু করতে হবে। এর ভিত আমাদের আছে। শুরু করলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা আমরা হয়তো ৫-১০ বছর পরে নিশ্চিত করতে পারব।
অন্যান্য সামাজিক সূচকেও দারিদ্র্য কমে এসেছে। করোনার আগে সাড়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছিল। করোনায় বেড়েছে নিশ্চয়ই। এ ক্ষেত্রে সরকারের একটা নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া উচিত যে, আসলে দারিদ্র্য কত বেড়েছে বা বাড়েনি।
সামাজিক সূচকগুলোর মধ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। অনেকগুলোতে আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বাগ্রে আছি। কিছু সামাজিক সূচকে পৃথিবীতে অগ্রগামী দেশগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ। নারীর ক্ষমতায়নেও আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি। যদিও পথ এখনো অনেক বাকি। তবে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, এতে সংশয় নেই।
কাজেই অর্জন অনেক আছে। এখন কাজ হলো করোনা মোকাবিলা করা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের যে অভিঘাত পড়বে, সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়। সব সময় নজর রাখতে হবে, কোন সমস্যাটা সামনে আসছে। সেটাকে সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। যেমন এখন আমাদের একটি বড় সমস্যা হতে পারে মূল্যস্ফীতি। গত মে মাসে হয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। অতিদরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষ বা নির্ধারিত আয়ের মানুষের ওপর এর অভিঘাত পড়বে। এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সরকারও সজাগ আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। বাস্তবতার আলোকে সেই চেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।
করোনার অভিঘাত থেকে উদ্ধার হয়ে এগিয়ে যেতে হবে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য। বাস্তবতা অনুযায়ী গৃহীত নীতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন অথবা পরিমার্জন আনতে হবে।
করোনাকালেও আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ এই অর্জন করতে পেরেছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। সুতরাং আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশকে এখনো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। কিন্তু আগের জায়গায় যেতে সময় লাগবে; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এর মধ্যে ঝামেলা বাধাতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই। এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
বাংলাদেশে বৈষম্য যতটা বাড়তে পারত, আমার বিবেচনায় ততটা বাড়েনি কয়েকটি কারণে। এগুলোর মধ্যে আছে গ্রামীণ অর্থনীতিকে জোর দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী সম্প্রসারণ করা, দরিদ্রদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা ইত্যাদি। এ কারণে বৈষম্য অতটা বাড়েনি। তারপরও যেটা আছে, সেটা কম নয়। সেদিকে অবশ্যই নজর রাখা প্রয়োজন।
গত ৫০ বছরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিশেষ করে কৃষি ও অকৃষি খাত ঢের সম্প্রসারিত হয়েছে। সেটি একটা ভিত রচনা করেছে আমাদের অর্থনীতিতে।
সে জন্য করোনাকালেও আমাদের খুব একটা সমস্যা হয়নি, বিশেষ করে খাদ্যনিরাপত্তার ব্যাপারে। কৃষি থেকে সেটা পাওয়া গেছে। একটা ভবন বানাতে হলে ভিত শক্ত করতে হয়। তাহলেই ওপরের অংশটা বড় করে বানানো যায়। সে হিসাবে কৃষিতে এখনো আমাদের কর্মসংস্থান ৩৬-৩৭ শতাংশ। দারিদ্র্য নিরসনেও সেখানে একটা বড় ভূমিকা আছে। এ জন্য কৃষির ওপর জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া অন্যান্য খাত, যেমন রপ্তানি ও শিল্প খাতও সম্প্রসারিত হয়েছে।
আরেকটা দিক হচ্ছে ডিজিটাল সম্প্রসারণ, যেটা একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। করোনাকালে সেটাও আমাদের সহায়তা করেছে। এর আরেকটা বড় দিক হচ্ছে, এটা যত বেশি ব্যবহার করা যাবে, দুর্নীতি তত কমিয়ে আনা যাবে। ইতিমধ্যে এটা দুর্নীতি কমিয়ে আনতে সহযোগিতা করছে।
দেশকে এগিয়ে নিতে মানুষের সক্ষমতা দরকার হয়। মানুষের সক্ষম হওয়ার পেছনে তিনটি বিষয় কাজ করে। এগুলো হলো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের শিক্ষার সম্প্রসারণ হয়েছে। শিক্ষার হার ৭৬ শতাংশে পৌঁছে গেছে, কিন্তু মান নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এখন মানের দিকে নজর না দিলে আগামী দিনে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে গেলে যে দক্ষ লোকজন প্রয়োজন হবে, সেখানে সমস্যা দেখা দেবে। এটি সরকারের নীতি ও কর্মসূচিতেও আছে। ২০১১ সালে দক্ষতা উন্নয়ন নীতি করা আছে। কিন্তু যাঁরা বাস্তবায়ন করেন, তাঁরা সঠিকভাবে তা করেন না। ফলে সেখানে যতটুকু অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেটা হয়নি।
স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ ছিল দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেগুলো সব জায়গায় সঠিকভাবে কাজ করে না। সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে কেন্দ্র করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া খুব জরুরি। এর জন্য একটি পরিপূর্ণ ব্যবস্থা শুরু করা যেতে পারে। এ জন্য সময় লাগবে, কিন্তু শুরু করতে হবে। এর ভিত আমাদের আছে। শুরু করলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা আমরা হয়তো ৫-১০ বছর পরে নিশ্চিত করতে পারব।
অন্যান্য সামাজিক সূচকেও দারিদ্র্য কমে এসেছে। করোনার আগে সাড়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছিল। করোনায় বেড়েছে নিশ্চয়ই। এ ক্ষেত্রে সরকারের একটা নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া উচিত যে, আসলে দারিদ্র্য কত বেড়েছে বা বাড়েনি।
সামাজিক সূচকগুলোর মধ্যে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। অনেকগুলোতে আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বাগ্রে আছি। কিছু সামাজিক সূচকে পৃথিবীতে অগ্রগামী দেশগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ। নারীর ক্ষমতায়নেও আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি। যদিও পথ এখনো অনেক বাকি। তবে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, এতে সংশয় নেই।
কাজেই অর্জন অনেক আছে। এখন কাজ হলো করোনা মোকাবিলা করা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের যে অভিঘাত পড়বে, সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়। সব সময় নজর রাখতে হবে, কোন সমস্যাটা সামনে আসছে। সেটাকে সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। যেমন এখন আমাদের একটি বড় সমস্যা হতে পারে মূল্যস্ফীতি। গত মে মাসে হয়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। অতিদরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষ বা নির্ধারিত আয়ের মানুষের ওপর এর অভিঘাত পড়বে। এ ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। সরকারও সজাগ আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। বাস্তবতার আলোকে সেই চেষ্টা আরও জোরদার করতে হবে।
করোনার অভিঘাত থেকে উদ্ধার হয়ে এগিয়ে যেতে হবে টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য। বাস্তবতা অনুযায়ী গৃহীত নীতিতে প্রয়োজনে পরিবর্তন অথবা পরিমার্জন আনতে হবে।
করোনাকালেও আমাদের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ এই অর্জন করতে পেরেছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। সুতরাং আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে দেশকে এখনো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। কিন্তু আগের জায়গায় যেতে সময় লাগবে; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এর মধ্যে ঝামেলা বাধাতে পারে। কিন্তু এরই মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে, সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই। এটি একটি বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
বাংলাদেশে বৈষম্য যতটা বাড়তে পারত, আমার বিবেচনায় ততটা বাড়েনি কয়েকটি কারণে। এগুলোর মধ্যে আছে গ্রামীণ অর্থনীতিকে জোর দেওয়া, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী সম্প্রসারণ করা, দরিদ্রদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা ইত্যাদি। এ কারণে বৈষম্য অতটা বাড়েনি। তারপরও যেটা আছে, সেটা কম নয়। সেদিকে অবশ্যই নজর রাখা প্রয়োজন।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪