তাসনিম মহসিন, ঢাকা
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে জড়িত আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে ফেরত আনতে তৎপর আওয়ামী লীগ। এক যুগের ওপর ক্ষমতায় থাকা দলটি এখন পর্যন্ত একজনকে ফেরত এনে শাস্তির সম্মুখীন করতে পেরেছে। অধরাই থেকে যাচ্ছে বাকি পলাতক খুনিরা। ফলে দেশভেদে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো পালিয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী কানাডায় এবং এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এই দুজনের নিশ্চিত তথ্য বাংলাদেশের কাছে রয়েছে। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়ে মারা যান।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর ২০২০ সালের ৫ মে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ও ব্যাঙ্ককের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৮ সালে বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরত আনা হয়। বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকলেও ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে নিজ থেকে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
দেশভেদে কৌশলী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, যে দুজনের তথ্য বাংলাদেশের কাছে আছে তাঁদের ফেরত আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এ জন্য দেশভেদে ভিন্ন কৌশলও নেওয়া হয়েছে। কোথাও আইনজীবী নিয়োগ করে, আবার কোথাও বাংলাদেশি ডায়াসপোরাকে সেই দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কাজ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা কি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দর-কষাকষির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, না, তারা দর-কষাকষির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কানাডা থেকে নুর চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ। যতবারই দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে ততবারই বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। তবে দেশটির কাছ থেকে এ নিয়ে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়’ নিয়ে একটি চুক্তি করতে চেয়েছিল অটোয়ার সঙ্গে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সেই চুক্তি করতে রাজি নয় কানাডা। নুর চৌধুরী দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত৷ এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কোনো আসামিকে হস্তান্তর করা কানাডার আইন অনুযায়ী বৈধ নয়। তারপরও সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ডায়াসপোরাকে জাস্টিন ট্রুডো সরকারকে চাপ দিতে সংযুক্ত করেছে বাংলাদেশ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ এম রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ। কারণ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ১৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে খুনি রাশেদ চৌধুরীর নথি তলব করেছেন দেশটির আদালত। রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিক্রিয়া জমা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো জানিয়েছে, রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়দানের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির আইন বিভাগ। এই প্রক্রিয়ার শুরুর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় হারাতে পারেন বঙ্গবন্ধুর এই খুনি। আর এমন ঘটলে, তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দীর্ঘ প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট। এ ব্যাপারে রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী বলেন, ২০০৫ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন মঞ্জুরের সময় বিল বার তাঁর অসন্তুষ্টির কথা না জানিয়ে এখন আবার এই মামলা পুনরায় শুরু করতে চাইছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকেরা বলছেন, ১৫ বছর পর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষে গেছে। কারণ ২০০৫ সালে যখন রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, তখন তাঁকে মার্কিন আশ্রয় প্রার্থনা নথিতে বেশ কিছু বিষয়ের উত্তর দিতে হয়েছিল। যেমন তিনি কোনো অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না বা খুনের মামলার আসামি কি না। এই উত্তরগুলোয় মিথ্যাচার করেছেন রাশেদ চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়টি হয়েছে মিথ্যার ওপর। ফলে এখন মামলায় জয়ী হলে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত নিয়ে আসা সময়ের বিষয় মাত্র।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দেশে না থাকায় রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচার বন্ধ করা হয়। আত্মস্বীকৃত এই খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একই বছরের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করার পথ সুগম করে। ওই বছরই ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন। নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি শেষ হয় ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর। তাতে হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সঙ্গে জড়িত আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে ফেরত আনতে তৎপর আওয়ামী লীগ। এক যুগের ওপর ক্ষমতায় থাকা দলটি এখন পর্যন্ত একজনকে ফেরত এনে শাস্তির সম্মুখীন করতে পেরেছে। অধরাই থেকে যাচ্ছে বাকি পলাতক খুনিরা। ফলে দেশভেদে ভিন্ন কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনো পালিয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে এস এইচ এম বি নুর চৌধুরী কানাডায় এবং এ এম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এই দুজনের নিশ্চিত তথ্য বাংলাদেশের কাছে রয়েছে। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়ে মারা যান।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আর ২০২০ সালের ৫ মে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ও ব্যাঙ্ককের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৯৮ সালে বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরত আনা হয়। বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকলেও ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদকে নিজ থেকে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
দেশভেদে কৌশলী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, যে দুজনের তথ্য বাংলাদেশের কাছে আছে তাঁদের ফেরত আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এ জন্য দেশভেদে ভিন্ন কৌশলও নেওয়া হয়েছে। কোথাও আইনজীবী নিয়োগ করে, আবার কোথাও বাংলাদেশি ডায়াসপোরাকে সেই দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে কাজ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডা কি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দর-কষাকষির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, না, তারা দর-কষাকষির মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কানাডা থেকে নুর চৌধুরীকে ফেরত আনার জন্য দেশটির সরকারের সঙ্গে দেনদরবার চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ। যতবারই দেশটির সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে ততবারই বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। তবে দেশটির কাছ থেকে এ নিয়ে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিনিময়’ নিয়ে একটি চুক্তি করতে চেয়েছিল অটোয়ার সঙ্গে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে সেই চুক্তি করতে রাজি নয় কানাডা। নুর চৌধুরী দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত৷ এ ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কোনো আসামিকে হস্তান্তর করা কানাডার আইন অনুযায়ী বৈধ নয়। তারপরও সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ডায়াসপোরাকে জাস্টিন ট্রুডো সরকারকে চাপ দিতে সংযুক্ত করেছে বাংলাদেশ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ এম রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনার ক্ষেত্রে বড় সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ। কারণ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ১৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে খুনি রাশেদ চৌধুরীর নথি তলব করেছেন দেশটির আদালত। রাশেদ চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিক্রিয়া জমা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো জানিয়েছে, রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়দানের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির আইন বিভাগ। এই প্রক্রিয়ার শুরুর মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় হারাতে পারেন বঙ্গবন্ধুর এই খুনি। আর এমন ঘটলে, তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার দীর্ঘ প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট। এ ব্যাপারে রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী বলেন, ২০০৫ সালে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন মঞ্জুরের সময় বিল বার তাঁর অসন্তুষ্টির কথা না জানিয়ে এখন আবার এই মামলা পুনরায় শুরু করতে চাইছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কূটনীতিকেরা বলছেন, ১৫ বছর পর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষে গেছে। কারণ ২০০৫ সালে যখন রাশেদ চৌধুরীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, তখন তাঁকে মার্কিন আশ্রয় প্রার্থনা নথিতে বেশ কিছু বিষয়ের উত্তর দিতে হয়েছিল। যেমন তিনি কোনো অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না বা খুনের মামলার আসামি কি না। এই উত্তরগুলোয় মিথ্যাচার করেছেন রাশেদ চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়টি হয়েছে মিথ্যার ওপর। ফলে এখন মামলায় জয়ী হলে রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত নিয়ে আসা সময়ের বিষয় মাত্র।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দেশে না থাকায় রক্ষা পান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিচার বন্ধ করা হয়। আত্মস্বীকৃত এই খুনিদের বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একই বছরের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করার পথ সুগম করে। ওই বছরই ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন। নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের শুনানি শেষ হয় ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর। তাতে হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে তিনজনকে খালাস দেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪