ড. মো. গোলাম রহমান
আজকের পত্রিকার এক বছর পূর্তিতে পাঠকসহ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। করোনার মতো এমন ভয়াবহ সংকটকালে এই পত্রিকার জন্মলাভ ও বিপণন হয়েছে, যখন সারা দেশ তথা বিশ্বে অনেক সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা প্রচারসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। প্রতিটি পাঠক হচ্ছে সংবাদপত্রের জন্য পরশপাথরের মতো। তাঁরাই একটি পত্রিকাকে বাঁচিয়ে রাখেন। বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীরা এই প্রয়াসের অন্যতম চালিকাশক্তি। সবার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা। আমরা যখন খবরের কথা বলি, কাছের মানুষের ভালো-মন্দ জানতে চাই। জানতে চাই পাড়া-প্রতিবেশীর কথা কিংবা দূর দেশের কথা। জানার প্রবল আগ্রহ মানুষকে নিয়ে যায় অপরিমেয় অনুসন্ধানে। কত দ্রুত সর্বশেষ খবর জানা যায়, তার প্রকৃত ব্যবস্থাপনা আজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় নতুনতর বিশ্বব্যবস্থায় সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
তথ্য ও খবরের কথা যখন বলি তখন আমাদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলতে হয়। তখন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোনো অনেক কিছুকে ছাপিয়ে শুধুই নতুনের সঙ্গে খেলে বেড়ায়। এই নতুনত্ব হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়া। যার সঙ্গে তাল ও গতি মিলিয়ে চলতে পারার আরেক নামই হচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। আলোচনার স্বার্থে এই অভিধার সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয়কে একই সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে, আর সেগুলো হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ন্যানো টেকনোলজি, ব্লক-চেইন টেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইত্যাদি। এই বিষয়গুলোর কথা খবর কিংবা তথ্যের ব্যাপকতার সঙ্গে আজকাল চলে আসছে। আমরা আধুনিক জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, প্রযুক্তি ও তথ্যের ব্যবহারেও একই রকম এগিয়ে যাচ্ছি। যারা পুরোনো ও প্রথাসিদ্ধ জীবনব্যবস্থায় অতিনির্ভরশীল, তাদের জন্য জীবনব্যবস্থাটা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের বহুল ব্যবহার সাম্প্রতিক জীবন ও জীবিকায় এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছে, যে ধারার সঙ্গে সবাইকে কম-বেশি তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। যাঁরা তাল মেলাতে পারছেন, তাঁরাই এগিয়ে যাচ্ছেন তরতর করে। আজকের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমব্যবস্থা আধুনিক এসব প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে বিকশিত হচ্ছে।
যে কারণে আমরা দেখি, একটি সংবাদপত্র শুধু একটি মুদ্রিত পত্রিকা হিসেবে আগের মতো পাঠকের কাছে প্রতিভাত হয় না। একটি সংবাদপত্র সামগ্রিক তথ্য সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে পাঠক-দর্শকের কাছে হাজির হচ্ছে। একজন পাঠকের কাছে তরতাজা সংবাদ যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি তাঁর কাছে বাড়তি আরও কিছু প্রত্যাশা থাকাটাই সংগত। খবরের ভারে ক্লান্ত পাঠক বিনোদনও আশা করেন স্বাভাবিক কারণে। আজকের পত্রিকার অনলাইনও রয়েছে। সাধারণত টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন—এসব ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উপস্থাপন করছে কিংবা ঘটমান বর্তমানকেই তুলে ধরছে। তাহলে প্রতিদিনের সংবাদপত্র ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার প্রকাশিত হয়েও পাঠকের কাছে শুভাগত অতিথির মতো প্রতিদিন সকালে সাদরে হাজির হচ্ছে। রহস্যটা কী?
পাঠক সামাজিক মাধ্যম তথা জীবনের নানা টানাপোড়েনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, সেই সঙ্গে অভ্যাসের দাস হয়ে পত্রিকা হাতে নিয়ে ডুবে যাচ্ছেন পাতায় পাতায়। যাঁরা পড়ছেন, মন দিয়েই পড়ছেন। টাটকা খবরের পাশাপাশি পাচ্ছেন আলোচনা, বিশ্লেষণ, তাঁর নিজের পছন্দের নানা প্রয়োজনের সমাহার। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া বিষয়ের অনুপুঙ্খ আলোচনা, বাণিজ্য, অর্থনীতি, খেলাধুলা, রম্য, বিনোদন, স্বাস্থ্য, ফ্যাশন, জীবনের টুকিটাকি–সব পাচ্ছেন পাতার পর পাতায়। চাকরির খবরাখবর, বিভিন্ন পণ্য কিংবা সেবার বিজ্ঞাপন। আর থাকছে ছবি, শুধু ঘটে যাওয়া ঘটনা-দুর্ঘটনার ছবি না, বিচিত্র বিষয়াবলির দৃষ্টিনন্দন ছবি। সুন্দর ছবি, তা প্রকৃতিরই হোক কিংবা মানবিক আবেদনসম্পন্ন কোনো বিষয়ের হোক—সেগুলো হৃদয়গ্রাহী। পাঠকের এই মনোগত চাহিদা এবং প্রত্যাশার কথা স্মরণ রেখে আজকের পত্রিকা তার প্রথম বর্ষ পেরিয়ে পাঠকের মুগ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্রগামী মানুষকে এগিয়ে নিচ্ছে তার গন্তব্যে। একটি রুচিশীল পারিবারিক পত্রিকা হিসেবে দেশের স্থানীয় সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরছে আজকের পত্রিকা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিন সকালে ১০টি সংস্করণ বের হচ্ছে। আলোকিত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করে সত্য উপস্থাপনে ইতিমধ্যে আজকের পত্রিকা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে বলে আমরা গর্বিত। সত্য যত কঠিন কিংবা নির্মম হোক, পাঠকের দৃষ্টি তার প্রথম অগ্রাধিকার। তাই সত্যের অনুসন্ধানে আজকের পত্রিকার সুসংগঠিত সাংবাদিকেরা টিম হিসেবে নিবেদিত।
দেশের আপামর জনসাধারণ নিজেদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে দেশের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। এ জাতি দেশ নিয়ে গর্ব করে, গর্ব করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। দেশের নেতৃত্বকে কল্যাণমুখী দেশ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত বলে বিশ্বাস করে। শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অনন্য একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই তথ্যসমৃদ্ধ সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে আজকের দিনে আমরা দেশের মাটি, মানুষ এবং মানবতার উন্নয়নের জন্য কাজ করি। আজকের পত্রিকা এই প্রগতির সঙ্গে গতিময় পথচলায় আপনাকে সহযাত্রী হিসেবে প্রত্যাশা করে।
লেখক: সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকার এক বছর পূর্তিতে পাঠকসহ সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। করোনার মতো এমন ভয়াবহ সংকটকালে এই পত্রিকার জন্মলাভ ও বিপণন হয়েছে, যখন সারা দেশ তথা বিশ্বে অনেক সংবাদপত্র বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা প্রচারসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। প্রতিটি পাঠক হচ্ছে সংবাদপত্রের জন্য পরশপাথরের মতো। তাঁরাই একটি পত্রিকাকে বাঁচিয়ে রাখেন। বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীরা এই প্রয়াসের অন্যতম চালিকাশক্তি। সবার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা। আমরা যখন খবরের কথা বলি, কাছের মানুষের ভালো-মন্দ জানতে চাই। জানতে চাই পাড়া-প্রতিবেশীর কথা কিংবা দূর দেশের কথা। জানার প্রবল আগ্রহ মানুষকে নিয়ে যায় অপরিমেয় অনুসন্ধানে। কত দ্রুত সর্বশেষ খবর জানা যায়, তার প্রকৃত ব্যবস্থাপনা আজকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় নতুনতর বিশ্বব্যবস্থায় সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
তথ্য ও খবরের কথা যখন বলি তখন আমাদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কথা বলতে হয়। তখন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোনো অনেক কিছুকে ছাপিয়ে শুধুই নতুনের সঙ্গে খেলে বেড়ায়। এই নতুনত্ব হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়া। যার সঙ্গে তাল ও গতি মিলিয়ে চলতে পারার আরেক নামই হচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। আলোচনার স্বার্থে এই অভিধার সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয়কে একই সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে, আর সেগুলো হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ন্যানো টেকনোলজি, ব্লক-চেইন টেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইত্যাদি। এই বিষয়গুলোর কথা খবর কিংবা তথ্যের ব্যাপকতার সঙ্গে আজকাল চলে আসছে। আমরা আধুনিক জীবনযাপনে যেমন অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি, প্রযুক্তি ও তথ্যের ব্যবহারেও একই রকম এগিয়ে যাচ্ছি। যারা পুরোনো ও প্রথাসিদ্ধ জীবনব্যবস্থায় অতিনির্ভরশীল, তাদের জন্য জীবনব্যবস্থাটা একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং। প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের বহুল ব্যবহার সাম্প্রতিক জীবন ও জীবিকায় এক নতুন ধারার সৃষ্টি করেছে, যে ধারার সঙ্গে সবাইকে কম-বেশি তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। যাঁরা তাল মেলাতে পারছেন, তাঁরাই এগিয়ে যাচ্ছেন তরতর করে। আজকের সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমব্যবস্থা আধুনিক এসব প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে বিকশিত হচ্ছে।
যে কারণে আমরা দেখি, একটি সংবাদপত্র শুধু একটি মুদ্রিত পত্রিকা হিসেবে আগের মতো পাঠকের কাছে প্রতিভাত হয় না। একটি সংবাদপত্র সামগ্রিক তথ্য সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে পাঠক-দর্শকের কাছে হাজির হচ্ছে। একজন পাঠকের কাছে তরতাজা সংবাদ যেমন প্রত্যাশিত, তেমনি তাঁর কাছে বাড়তি আরও কিছু প্রত্যাশা থাকাটাই সংগত। খবরের ভারে ক্লান্ত পাঠক বিনোদনও আশা করেন স্বাভাবিক কারণে। আজকের পত্রিকার অনলাইনও রয়েছে। সাধারণত টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন—এসব ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উপস্থাপন করছে কিংবা ঘটমান বর্তমানকেই তুলে ধরছে। তাহলে প্রতিদিনের সংবাদপত্র ২৪ ঘণ্টায় মাত্র একবার প্রকাশিত হয়েও পাঠকের কাছে শুভাগত অতিথির মতো প্রতিদিন সকালে সাদরে হাজির হচ্ছে। রহস্যটা কী?
পাঠক সামাজিক মাধ্যম তথা জীবনের নানা টানাপোড়েনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, সেই সঙ্গে অভ্যাসের দাস হয়ে পত্রিকা হাতে নিয়ে ডুবে যাচ্ছেন পাতায় পাতায়। যাঁরা পড়ছেন, মন দিয়েই পড়ছেন। টাটকা খবরের পাশাপাশি পাচ্ছেন আলোচনা, বিশ্লেষণ, তাঁর নিজের পছন্দের নানা প্রয়োজনের সমাহার। বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটে যাওয়া বিষয়ের অনুপুঙ্খ আলোচনা, বাণিজ্য, অর্থনীতি, খেলাধুলা, রম্য, বিনোদন, স্বাস্থ্য, ফ্যাশন, জীবনের টুকিটাকি–সব পাচ্ছেন পাতার পর পাতায়। চাকরির খবরাখবর, বিভিন্ন পণ্য কিংবা সেবার বিজ্ঞাপন। আর থাকছে ছবি, শুধু ঘটে যাওয়া ঘটনা-দুর্ঘটনার ছবি না, বিচিত্র বিষয়াবলির দৃষ্টিনন্দন ছবি। সুন্দর ছবি, তা প্রকৃতিরই হোক কিংবা মানবিক আবেদনসম্পন্ন কোনো বিষয়ের হোক—সেগুলো হৃদয়গ্রাহী। পাঠকের এই মনোগত চাহিদা এবং প্রত্যাশার কথা স্মরণ রেখে আজকের পত্রিকা তার প্রথম বর্ষ পেরিয়ে পাঠকের মুগ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্রগামী মানুষকে এগিয়ে নিচ্ছে তার গন্তব্যে। একটি রুচিশীল পারিবারিক পত্রিকা হিসেবে দেশের স্থানীয় সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরছে আজকের পত্রিকা। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় প্রতিদিন সকালে ১০টি সংস্করণ বের হচ্ছে। আলোকিত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করে সত্য উপস্থাপনে ইতিমধ্যে আজকের পত্রিকা পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে বলে আমরা গর্বিত। সত্য যত কঠিন কিংবা নির্মম হোক, পাঠকের দৃষ্টি তার প্রথম অগ্রাধিকার। তাই সত্যের অনুসন্ধানে আজকের পত্রিকার সুসংগঠিত সাংবাদিকেরা টিম হিসেবে নিবেদিত।
দেশের আপামর জনসাধারণ নিজেদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে দেশের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে। এ জাতি দেশ নিয়ে গর্ব করে, গর্ব করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। দেশের নেতৃত্বকে কল্যাণমুখী দেশ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত বলে বিশ্বাস করে। শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অনন্য একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই তথ্যসমৃদ্ধ সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে আজকের দিনে আমরা দেশের মাটি, মানুষ এবং মানবতার উন্নয়নের জন্য কাজ করি। আজকের পত্রিকা এই প্রগতির সঙ্গে গতিময় পথচলায় আপনাকে সহযাত্রী হিসেবে প্রত্যাশা করে।
লেখক: সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪