সুতপা বেদজ্ঞ
আর্যরা অনার্য সংস্কৃতির যেসব জিনিস নিজেদের মধ্যে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল, তার মধ্যে একটি হলো দেবীরূপে প্রকৃতি শক্তির বন্দনা। এর অন্যতম প্রতিভূ ছিলেন দেবী পার্বতী বা দেবী দুর্গা।
ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে বাকনাম্নী নারী ঋষি লিখিত সুক্তে দেবী দুর্গার উল্লেখ রয়েছে। ওই সুক্তে বলা হয়েছে, ‘আমি রুদ্রগণ, বসুগণ, আদিত্যগণ এবং বিশ্বদেবতারূপে বিচরণ করি... আমিই জগতের ঈশ্বরী...যজ্ঞার্থগণের মধ্যে আমিই সর্বশ্রেষ্ঠ। আমি প্রপঞ্চরূপে বহুভাবে অবস্থিতা ও সর্বভূতে জীবরূপে অবস্থিতা।’ মার্কণ্ডেয় পুরাণের তেরো অধ্যায়ে দেবী বলছেন, ‘জগতে আমি ছাড়া দ্বিতীয় কে আছে?’ এসব প্রাচীন গ্রন্থ প্রমাণ করে ভারতীয় উপমহাদেশে শক্তির বন্দনায় দুর্গা, কালী, চণ্ডী প্রভৃতি দেবীর আরাধনা প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী যুক্তিতর্ক নয়; বরং বিশ্বাস ও প্রথাকে সযতনে লালন করার মধ্য দিয়েই বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান-উৎসব টিকে আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি প্রথা ও উৎসবের সঙ্গে প্রকৃতির সুগভীর মেলবন্ধন রয়েছে। কি সময়, কি উপকরণ—সবকিছুই প্রকৃতিনির্ভর। পূজা উপচারেও ব্যবহৃত হয় প্রধানত গাছ-পাতা-ফুল-ফল ও জল। দুর্গোৎসব আয়োজনেও এর বাহারি ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। শরতের স্বচ্ছ নীল আকাশ, গুচ্ছ গুচ্ছ শুভ্র কাশফুল, পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা আর শিশিরভেজা শিউলির মতো সুন্দর প্রকৃতির বাস্তব ক্যানভাসে উদ্যাপিত হয় দুর্গোৎসব। ধর্মীয় আচার ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করে থাকে। শরৎকালে আয়োজিত হয় বলে একে শারদীয় উৎসবও বলা হয়।
চাঁদের তিথির ওপর নির্ভর করে পূজার ক্ষণ নির্ধারিত হয়। পাঁচ দিন ধরে উৎসব আয়োজনে নানাবিধ উপচারের প্রয়োজন হয়। ফলে এককভাবে দুর্গোৎসব আয়োজন কম হয়ে থাকে। ব্রিটিশ আমলে পারিবারিকভাবে দুর্গাপূজা প্রধানত ধনী পরিবারগুলোতেই আয়োজিত হতো। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে একেকটি অঞ্চল বা এলাকার বাসিন্দারা যৌথভাবে দুর্গাপূজার আয়োজন করত। যৌথ পূজা বারোয়ারি বা সর্বজনীন পূজা নামে পরিচিত। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষটিকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন বাঙালি হিন্দুরা তর্পণের মাধ্যমে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেবী আবাহনের আনুষ্ঠানিকতায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। রচিত হয়েছে গান, কবিতা। আঠারো-উনিশ শতকে রচিত বাংলা আগমনী গানগুলোতে দুর্গারূপে শিব জায়া পার্বতীর সপরিবারে পিতৃগৃহে অবস্থানের আনন্দময় দিন এবং তাঁর বিবাহিত জীবনের অপূর্ব বর্ণনা পাওয়া যায়। গৌরী একাধারে জগজ্জননী এবং বাংলার হিন্দু জননীদের কাছে কন্যাসম। বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, মাটির মূর্তিতে দেবীর আবাহনহলেও পূজা হয় হৃদয় মন্দিরে। মাতৃরূপেণ সংস্থিতা, অর্থাৎ মা যেমন করে সন্তানের প্রতিপালন করেন, তেমনি জগতের প্রতিপালনে সৃষ্টিকর্তা মাতৃরূপে বিরাজ করেন। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা—সর্বোপরি সব দুর্গতি বা সংকট থেকে যিনি রক্ষা করেন, সেই দুর্গা দেবীর আরাধনার মধ্য দিয়েই উদ্যাপিত হয় দুর্গোৎসব।
ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় সর্বজনীন পূজার প্রসার ঘটতে শুরু করে। মাতৃপূজার উৎসব সার্থক করে তোলার জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন,
‘এসো হে আর্য, এসো অনার্য,
হিন্দু মুসলমান—
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ,
এসো এসো খ্রিষ্টান।
এসো ব্রাহ্মণ, শুচি করি মন
ধরো হাত সবাকার...’
বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকেই অবস্থার পরিবর্তন সূচিত হতে থাকে। দুর্গোৎসব সর্বজনীন হয়ে ওঠে। নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলাসহ নানা আয়োজন থাকত উৎসব ঘিরে।
দেশভাগের পর দুই বাংলাতেই বড় পরিসরে বারোয়ারি পূজার প্রচলন দেখা যায়। গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের দুর্গোৎসব পালনের আকার ও আকৃতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎসবের বর্ণিল আয়োজনে যুক্ত হয়েছে চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা। তবে সারা বিশ্বে ধর্মান্ধতার বিষাক্ত ছোবলের প্রভাব এ দেশেও পড়েছে। মানুষ যখন প্রীতির বন্ধনে মিলিত হয়, তখন একদল অশুভ মানুষ জাগ্রত থাকে অঘটন ও হিংসা ছড়াতে। সর্বজনীন উৎসবের আনন্দ ফিকে করতে নানা তৎপরতায় লিপ্ত হয়। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে শুভবুদ্ধির মানুষেরা বারবার তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে, ভবিষ্যতেও রুখে দেবে।
যে উৎসব সব মানুষের মঙ্গল কামনা করে, যে উৎসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানায়, যে উৎসব প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যকার সৌন্দর্য আবিষ্কার করে, সে উৎসব সর্বজনীন হতে বাধা থাকতে পারে না। দেবী দুর্গার আগমনের মধ্য দিয়ে সর্বজনীন সংস্কৃতির যে প্রীতিময়ভিত্তি রচিত হয়েছিল তা আরও সম্প্রসারিত হোক, মঙ্গল হোক সবার।
লেখক: সদস্যসচিব, পরিবেশ সুরক্ষা ফোরাম, খুলনা
আর্যরা অনার্য সংস্কৃতির যেসব জিনিস নিজেদের মধ্যে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল, তার মধ্যে একটি হলো দেবীরূপে প্রকৃতি শক্তির বন্দনা। এর অন্যতম প্রতিভূ ছিলেন দেবী পার্বতী বা দেবী দুর্গা।
ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলে বাকনাম্নী নারী ঋষি লিখিত সুক্তে দেবী দুর্গার উল্লেখ রয়েছে। ওই সুক্তে বলা হয়েছে, ‘আমি রুদ্রগণ, বসুগণ, আদিত্যগণ এবং বিশ্বদেবতারূপে বিচরণ করি... আমিই জগতের ঈশ্বরী...যজ্ঞার্থগণের মধ্যে আমিই সর্বশ্রেষ্ঠ। আমি প্রপঞ্চরূপে বহুভাবে অবস্থিতা ও সর্বভূতে জীবরূপে অবস্থিতা।’ মার্কণ্ডেয় পুরাণের তেরো অধ্যায়ে দেবী বলছেন, ‘জগতে আমি ছাড়া দ্বিতীয় কে আছে?’ এসব প্রাচীন গ্রন্থ প্রমাণ করে ভারতীয় উপমহাদেশে শক্তির বন্দনায় দুর্গা, কালী, চণ্ডী প্রভৃতি দেবীর আরাধনা প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী যুক্তিতর্ক নয়; বরং বিশ্বাস ও প্রথাকে সযতনে লালন করার মধ্য দিয়েই বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান-উৎসব টিকে আছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি প্রথা ও উৎসবের সঙ্গে প্রকৃতির সুগভীর মেলবন্ধন রয়েছে। কি সময়, কি উপকরণ—সবকিছুই প্রকৃতিনির্ভর। পূজা উপচারেও ব্যবহৃত হয় প্রধানত গাছ-পাতা-ফুল-ফল ও জল। দুর্গোৎসব আয়োজনেও এর বাহারি ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। শরতের স্বচ্ছ নীল আকাশ, গুচ্ছ গুচ্ছ শুভ্র কাশফুল, পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা আর শিশিরভেজা শিউলির মতো সুন্দর প্রকৃতির বাস্তব ক্যানভাসে উদ্যাপিত হয় দুর্গোৎসব। ধর্মীয় আচার ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর শরৎকালে দুর্গাপূজার আয়োজন করে থাকে। শরৎকালে আয়োজিত হয় বলে একে শারদীয় উৎসবও বলা হয়।
চাঁদের তিথির ওপর নির্ভর করে পূজার ক্ষণ নির্ধারিত হয়। পাঁচ দিন ধরে উৎসব আয়োজনে নানাবিধ উপচারের প্রয়োজন হয়। ফলে এককভাবে দুর্গোৎসব আয়োজন কম হয়ে থাকে। ব্রিটিশ আমলে পারিবারিকভাবে দুর্গাপূজা প্রধানত ধনী পরিবারগুলোতেই আয়োজিত হতো। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে একেকটি অঞ্চল বা এলাকার বাসিন্দারা যৌথভাবে দুর্গাপূজার আয়োজন করত। যৌথ পূজা বারোয়ারি বা সর্বজনীন পূজা নামে পরিচিত। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষটিকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন বাঙালি হিন্দুরা তর্পণের মাধ্যমে তাঁদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেবী আবাহনের আনুষ্ঠানিকতায় যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। রচিত হয়েছে গান, কবিতা। আঠারো-উনিশ শতকে রচিত বাংলা আগমনী গানগুলোতে দুর্গারূপে শিব জায়া পার্বতীর সপরিবারে পিতৃগৃহে অবস্থানের আনন্দময় দিন এবং তাঁর বিবাহিত জীবনের অপূর্ব বর্ণনা পাওয়া যায়। গৌরী একাধারে জগজ্জননী এবং বাংলার হিন্দু জননীদের কাছে কন্যাসম। বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, মাটির মূর্তিতে দেবীর আবাহনহলেও পূজা হয় হৃদয় মন্দিরে। মাতৃরূপেণ সংস্থিতা, অর্থাৎ মা যেমন করে সন্তানের প্রতিপালন করেন, তেমনি জগতের প্রতিপালনে সৃষ্টিকর্তা মাতৃরূপে বিরাজ করেন। অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা—সর্বোপরি সব দুর্গতি বা সংকট থেকে যিনি রক্ষা করেন, সেই দুর্গা দেবীর আরাধনার মধ্য দিয়েই উদ্যাপিত হয় দুর্গোৎসব।
ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় সর্বজনীন পূজার প্রসার ঘটতে শুরু করে। মাতৃপূজার উৎসব সার্থক করে তোলার জন্য বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখলেন,
‘এসো হে আর্য, এসো অনার্য,
হিন্দু মুসলমান—
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ,
এসো এসো খ্রিষ্টান।
এসো ব্রাহ্মণ, শুচি করি মন
ধরো হাত সবাকার...’
বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকেই অবস্থার পরিবর্তন সূচিত হতে থাকে। দুর্গোৎসব সর্বজনীন হয়ে ওঠে। নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলাসহ নানা আয়োজন থাকত উৎসব ঘিরে।
দেশভাগের পর দুই বাংলাতেই বড় পরিসরে বারোয়ারি পূজার প্রচলন দেখা যায়। গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের দুর্গোৎসব পালনের আকার ও আকৃতি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎসবের বর্ণিল আয়োজনে যুক্ত হয়েছে চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা। তবে সারা বিশ্বে ধর্মান্ধতার বিষাক্ত ছোবলের প্রভাব এ দেশেও পড়েছে। মানুষ যখন প্রীতির বন্ধনে মিলিত হয়, তখন একদল অশুভ মানুষ জাগ্রত থাকে অঘটন ও হিংসা ছড়াতে। সর্বজনীন উৎসবের আনন্দ ফিকে করতে নানা তৎপরতায় লিপ্ত হয়। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে শুভবুদ্ধির মানুষেরা বারবার তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে, ভবিষ্যতেও রুখে দেবে।
যে উৎসব সব মানুষের মঙ্গল কামনা করে, যে উৎসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানায়, যে উৎসব প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যকার সৌন্দর্য আবিষ্কার করে, সে উৎসব সর্বজনীন হতে বাধা থাকতে পারে না। দেবী দুর্গার আগমনের মধ্য দিয়ে সর্বজনীন সংস্কৃতির যে প্রীতিময়ভিত্তি রচিত হয়েছিল তা আরও সম্প্রসারিত হোক, মঙ্গল হোক সবার।
লেখক: সদস্যসচিব, পরিবেশ সুরক্ষা ফোরাম, খুলনা
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪