মতিউর রহমান
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শুরুটা ২০০৩ সালে। কিন্তু কোয়ালিটি এডুকেশন, ভৌত কাঠামোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। ঢাকার অদূরে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান। ২০১৯ সাল থেকে ৬ তলা সুরম্য ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছিল। সম্প্রতি যোগ হয়েছে আরও একটি এনেক্স ক্যাম্পাস। এর একটিতে রয়েছে আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, ৬ ভবনে ক্লাসরুম-ল্যাবরেটরি এবং অন্যটিতে বিভাগীয় অফিস। প্রজাপতির আদলে তৈরি এই অত্যাধুনিক ইমারতে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঢাকার যানজট ছেড়ে মুক্ত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া দারুণ বিষয়।
মানসম্মত আধুনিক শিক্ষা এবং শিক্ষাসহায়ক সব কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে এ ক্যাম্পাসে রয়েছে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, ফ্রি ওয়াই-ফাইসহ ইন্টারনেট সংযোগ, সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ, অত্যাধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠ, আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি, পর্যাপ্ত বইপুস্তক এবং সর্বশেষ প্রকাশিত জার্নালসমৃদ্ধ লাইব্রেরি। দুই শতাধিক উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নিয়মিত শিক্ষক এবং স্বনামধন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন অতিথি শিক্ষক বর্তমানে আট হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে চলেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল), ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি, আইন, সাংবাদিকতা এবং যোগাযোগমাধ্যম ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কানাডা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্কলারশিপসহ পড়ার সুযোগ পান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে আইইএলটিএস, চীনা ও জাপানি ভাষার ওপর বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে।
ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট সিজিপিএ ও ইংরেজিতে দক্ষ হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসসহ গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্র্যাজুয়েটরা। প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট (পিএলএসডি) কোর্স রয়েছে এখানে। এর উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করা। গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুবিধা দিতে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা সিসিডি।
গবেষণায় অনন্য: দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তিনটি জার্নাল।
সহশিক্ষায় ১৮ ক্লাব: শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম বেগবান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি বিভাগীয় ক্লাব রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, গ্রিন ওয়ারিয়র ক্লাব, রিডিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, থিয়েটার ক্লাব, ব্ল্যাড ক্লাব। এসব ক্লাব শিক্ষার্থীদের বহুমুখী শিক্ষা, নেতৃত্ব ও দলগত কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।
পরিবহনে অর্ধশতাধিক বাস: অর্ধশতাধিক বাস রয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিবহন বহরে। বাসের পাশাপাশি রয়েছে মাইক্রোবাস, কোস্টারসহ আরও কিছু যানবাহন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঢাকা, ঢাকার বাইরেসহ ১৩টি রুটে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব যানবাহন চলাচল করে।
অন্য রকম ক্যাফেটেরিয়া: স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। নবনির্মিত এই ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী খাবার খেতে পারেন।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শুরুটা ২০০৩ সালে। কিন্তু কোয়ালিটি এডুকেশন, ভৌত কাঠামোসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এর অগ্রযাত্রা শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। ঢাকার অদূরে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান। ২০১৯ সাল থেকে ৬ তলা সুরম্য ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছিল। সম্প্রতি যোগ হয়েছে আরও একটি এনেক্স ক্যাম্পাস। এর একটিতে রয়েছে আধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, ৬ ভবনে ক্লাসরুম-ল্যাবরেটরি এবং অন্যটিতে বিভাগীয় অফিস। প্রজাপতির আদলে তৈরি এই অত্যাধুনিক ইমারতে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ঢাকার যানজট ছেড়ে মুক্ত পরিবেশে লেখাপড়ার সুযোগ পাওয়া দারুণ বিষয়।
মানসম্মত আধুনিক শিক্ষা এবং শিক্ষাসহায়ক সব কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করতে এ ক্যাম্পাসে রয়েছে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম, ফ্রি ওয়াই-ফাইসহ ইন্টারনেট সংযোগ, সম্পূর্ণ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শ্রেণিকক্ষ, অত্যাধুনিক ক্যাফেটেরিয়া, আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠ, আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি, পর্যাপ্ত বইপুস্তক এবং সর্বশেষ প্রকাশিত জার্নালসমৃদ্ধ লাইব্রেরি। দুই শতাধিক উচ্চশিক্ষিত, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নিয়মিত শিক্ষক এবং স্বনামধন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন অতিথি শিক্ষক বর্তমানে আট হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে চলেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই, ইইই, টেক্সটাইল), ব্যবসায় প্রশাসন, ইংরেজি, আইন, সাংবাদিকতা এবং যোগাযোগমাধ্যম ও সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
গ্রিন ইউনিভার্সিটি ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কানাডা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্কলারশিপসহ পড়ার সুযোগ পান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে আইইএলটিএস, চীনা ও জাপানি ভাষার ওপর বিশেষ সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে।
ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রত্যক্ষভাবে গ্র্যাজুয়েটদের কর্মক্ষেত্র নির্ধারণে সহায়তা করে। নির্দিষ্ট সিজিপিএ ও ইংরেজিতে দক্ষ হলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসসহ গ্রুপটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি পাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির গ্র্যাজুয়েটরা। প্রফেশনাল লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট (পিএলএসডি) কোর্স রয়েছে এখানে। এর উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করা। গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুবিধা দিতে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা সিসিডি।
গবেষণায় অনন্য: দেশি-বিদেশি জার্নালে উল্লেখযোগ্য গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশের পাশাপাশি ‘বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘রিসার্চ এক্সিবিশন অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এ ছাড়া গবেষণা কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চালু করা হয়েছে জার্নাল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার সিস্টেম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে তিনটি জার্নাল।
সহশিক্ষায় ১৮ ক্লাব: শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রম বেগবান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি বিভাগীয় ক্লাব রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, গ্রিন ওয়ারিয়র ক্লাব, রিডিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফি ক্লাব, কালচারাল ক্লাব, থিয়েটার ক্লাব, ব্ল্যাড ক্লাব। এসব ক্লাব শিক্ষার্থীদের বহুমুখী শিক্ষা, নেতৃত্ব ও দলগত কাজের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে।
পরিবহনে অর্ধশতাধিক বাস: অর্ধশতাধিক বাস রয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পরিবহন বহরে। বাসের পাশাপাশি রয়েছে মাইক্রোবাস, কোস্টারসহ আরও কিছু যানবাহন। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ঢাকা, ঢাকার বাইরেসহ ১৩টি রুটে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিজস্ব যানবাহন চলাচল করে।
অন্য রকম ক্যাফেটেরিয়া: স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশনের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। নবনির্মিত এই ক্যাফেটেরিয়ায় একসঙ্গে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী খাবার খেতে পারেন।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডন এবং দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরলেন। সেদিন অপরাহ্ণে রেসকোর্সে অলিখিত স্বতঃস্ফূর্ত ভাষণ দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি আমি শুনেছিলাম—১৭ মিনিটের। ভাষণে একটি জায়গায় তিনি বলেছিলেন, একটা কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে,
২৬ মার্চ ২০২৪১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যে চার রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তার একটি সমাজতন্ত্র। সমাজতন্ত্র মানে বৈষম্যের অবসান। সমাজতন্ত্র মানে ন্যায্যতা। সমাজতন্ত্র মানে সবার শিক্ষা, চিকিৎসা, মাথাগোঁজার ঠাঁই, কাজের সুযোগ। সমাজতন্ত্র মানে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ, প্রয়োজন অনুয
২৬ মার্চ ২০২৪স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র পরিচালনার চালিকা শক্তি হিসেবে চারটি মৌলনীতি গ্রহণ করেছিলেন। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ ৫২ বছর পর দেখছি, এই মৌলনীতিগুলোর প্রতিটির সূচক এত নিচে নেমে গেছে যে, বলা চলে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলনীতি বলে এখন আর কিছু নেই। জাতীয়তা দুই ভাগে বি
২৬ মার্চ ২০২৪বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা যেতে পারে, রাষ্ট্র হিসেবে নবীন, কিন্তু এর সভ্যতা সুপ্রাচীন। নদীবেষ্টিত গাঙেয় উপত্যকায় পলিবাহিত উর্বর ভূমি যেমন উপচে পড়া শস্যসম্ভারে জীবনকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি নদীর ভাঙনের খেলায় রাতারাতি বিলুপ্ত হয়েছে বহু জনপদ। এরপরও সভ্যতার নানা চিহ্ন এখানে খুঁজে পাওয়া যায় এবং বাঙালিত্বের বৈশিষ
২৬ মার্চ ২০২৪