হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই নিয়ে তৃতীয় মামলা দায়ের হয়েছে। আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জ স্পেশাল জজ ও দায়রা আদালতে মামলাটি করেন লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
তৃতীয় দফার এই মামলায় লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন— সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূর, তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নোমান সারওয়ার জনি, বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন ফুরুক, করাব ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ ও বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ।
মামলার বাদীর আইনজীবী এম. এ. এ. এম গাউছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ ও সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরের সুপারিশে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮ প্রকল্পে ৫৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। যার মূল্য ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আসামিরা প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন, বরাদ্দ গ্রহণ ও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। বাস্তবে ওই প্রকল্পগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই।
মামলার বাদী লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদপত্রে লাখাই উপজেলার কাবিখা প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বোঝা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দেশের সম্পদ এভাবে লুট হতে দেওয়া যায় না। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই মামলা দায়ের করেছি।’
লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের আমার প্রতি অসন্তুষ্ট করতে মামলাটি করা হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের মামলা করার অধিকার আছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।’
মুশফিউল আলম আজাদ আরও বলেন, ‘যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে, তা উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত প্রকল্প নয়। এটা একটা বিশেষ প্রকল্প। সবকিছু ইউএনও দেখে থাকেন। আমি শুধু কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। অথচ মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়নি। আমার নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই মামলা দায়ের হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, লাখাই উপজেলার এই প্রকল্প নিয়ে এর আগে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২১ মার্চ উপজেলার বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন ফারুক ও সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম মামলা দায়ের হয়। এরপর করাব ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ, বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ ও সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরকে আসামি করে আদালতে আরেকটি মামলা হয়। এই প্রকল্প নিয়ে তৃতীয় মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদকে আসামি করা হলো।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই নিয়ে তৃতীয় মামলা দায়ের হয়েছে। আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জ স্পেশাল জজ ও দায়রা আদালতে মামলাটি করেন লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
তৃতীয় দফার এই মামলায় লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন— সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূর, তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নোমান সারওয়ার জনি, বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন ফুরুক, করাব ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ ও বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ।
মামলার বাদীর আইনজীবী এম. এ. এ. এম গাউছ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলা আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ ও সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরের সুপারিশে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৮ প্রকল্পে ৫৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়। যার মূল্য ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আসামিরা প্রকল্প গ্রহণ, অনুমোদন, বরাদ্দ গ্রহণ ও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। বাস্তবে ওই প্রকল্পগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই।
মামলার বাদী লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদপত্রে লাখাই উপজেলার কাবিখা প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বোঝা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দেশের সম্পদ এভাবে লুট হতে দেওয়া যায় না। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই মামলা দায়ের করেছি।’
লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের আমার প্রতি অসন্তুষ্ট করতে মামলাটি করা হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের মামলা করার অধিকার আছে। এই প্রকল্পের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।’
মুশফিউল আলম আজাদ আরও বলেন, ‘যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে, তা উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত প্রকল্প নয়। এটা একটা বিশেষ প্রকল্প। সবকিছু ইউএনও দেখে থাকেন। আমি শুধু কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। অথচ মামলায় ইউএনওকে আসামি করা হয়নি। আমার নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই এই মামলা দায়ের হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, লাখাই উপজেলার এই প্রকল্প নিয়ে এর আগে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২১ মার্চ উপজেলার বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন ফারুক ও সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম মামলা দায়ের হয়। এরপর করাব ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কদ্দুছ, বুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান খোকন চন্দ্র গোপ ও সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলী নূরকে আসামি করে আদালতে আরেকটি মামলা হয়। এই প্রকল্প নিয়ে তৃতীয় মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদকে আসামি করা হলো।
ফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
২০ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় দিনদুপুরে ডাকাতিসহ বাচ্চাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে...
৩৮ মিনিট আগেবরগুনা সদরের ঘটবাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফ ফরায়েজীর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৬০) প্রায় ২৫ বছর পর খুঁজে পেয়েছে তাঁর স্বজনেরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৯ সালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে