মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
কাজের সন্ধানে দা, কুড়াল ও করাত নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কাজ খুঁজছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চা-বাগানের অনিয়মিত শ্রমিকেরা। অনাহারের দিন কাটায় তাঁরা কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। এদিকে শ্রমিকদের এই মানবেতর জীবন-যাপনের জন্য শ্রমিক নেতারা দায়ী করছেন চা বাগানের মালিকদের। তাঁরা বলছেন, চা বাগানের মালিকেরা নিজ প্রয়োজনে অশিক্ষার বেড়াজালে আবদ্ধ রেখেছে চা-শ্রমিকদের। তাঁদের জীবনমান উন্নতির জন্য কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে না ফলে বেকারত্ব থেকেই যাচ্ছে।
চা শ্রমিকেরা জানান, চা বাগানে একজন কাজ করলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বেকার থাকেন। বেকারত্বের সমস্যা সমাধানের জন্য যুগ যুগ ধরে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। প্রতি একর জায়গা অনুযায়ী নির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাগান মালিকেরা দিচ্ছেন না। বাগানে কাজের না দেওয়ায় তাঁরা বাইরে কাজ করছেন।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে কয়েকজন চা-শ্রমিককে কাঁধে দা, কুড়াল ও করাত নিয়ে কাজ খুঁজতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা হলে জানান, পরিবারের একজন বাগানে কাজ করে। এই টাকা দিয়ে পরিবার চালানো সম্ভব না। বাগানে কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে কয়েকজনের একটি দল করে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে যান তাঁরা।
কমলগঞ্জের দেওছড়া চা-বাগানের মানিক চান, মুরলী রবিদাশ, শোক রবিদাশ জানান, একবেলা ডাল-ভাতের জন্য কাজের সন্ধানে বের হন। গ্রামে গ্রামে সারা দিন হেঁটে কোনো দিন কাজ পান আবার কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়। কাজ না মিললে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
তাঁরা আরও জানান, সাধারণ শ্রমিকের মজুরি ৫০০ টাকা হলেও তাঁদের মজুরি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বিশেষ করে কৃষি, গাছ কাটা ও জ্বালানি কাট তৈরির কাজ বেশি করেন।
চা-শ্রমিক নেতা শিতারাম বিন বলেন, আমরা দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বললেই ব্রিটিশ আইন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেকারত্ব। পরিবারের একজন বাগানে কাজ করেন আর বাকি সদস্যরা হলেন বেকার। বেকারত্ব দূর না করলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের পূর্ব পুরুষদের মতো চলতে হবে। বাগান মালিকেরা ইচ্ছে করলে বেকারত্ব অনেকটা দূর করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, চা-বাগানে এখনো হাজার হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি আছে। এগুলো বেকার চা-শ্রমিক ও তাঁদের সন্তানকে চাষাবাদ করার জন্য দেওয়া হলে বেকারত্ব কিছুটা দূর হবে। এতে তাঁদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাজের জন্য ঘুরতে হবে না।
কাজের সন্ধানে দা, কুড়াল ও করাত নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে কাজ খুঁজছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চা-বাগানের অনিয়মিত শ্রমিকেরা। অনাহারের দিন কাটায় তাঁরা কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। এদিকে শ্রমিকদের এই মানবেতর জীবন-যাপনের জন্য শ্রমিক নেতারা দায়ী করছেন চা বাগানের মালিকদের। তাঁরা বলছেন, চা বাগানের মালিকেরা নিজ প্রয়োজনে অশিক্ষার বেড়াজালে আবদ্ধ রেখেছে চা-শ্রমিকদের। তাঁদের জীবনমান উন্নতির জন্য কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে না ফলে বেকারত্ব থেকেই যাচ্ছে।
চা শ্রমিকেরা জানান, চা বাগানে একজন কাজ করলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বেকার থাকেন। বেকারত্বের সমস্যা সমাধানের জন্য যুগ যুগ ধরে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। প্রতি একর জায়গা অনুযায়ী নির্দিষ্টসংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও বাগান মালিকেরা দিচ্ছেন না। বাগানে কাজের না দেওয়ায় তাঁরা বাইরে কাজ করছেন।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে কয়েকজন চা-শ্রমিককে কাঁধে দা, কুড়াল ও করাত নিয়ে কাজ খুঁজতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা হলে জানান, পরিবারের একজন বাগানে কাজ করে। এই টাকা দিয়ে পরিবার চালানো সম্ভব না। বাগানে কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে কয়েকজনের একটি দল করে কাজের সন্ধানে বেড়িয়ে যান তাঁরা।
কমলগঞ্জের দেওছড়া চা-বাগানের মানিক চান, মুরলী রবিদাশ, শোক রবিদাশ জানান, একবেলা ডাল-ভাতের জন্য কাজের সন্ধানে বের হন। গ্রামে গ্রামে সারা দিন হেঁটে কোনো দিন কাজ পান আবার কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়। কাজ না মিললে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
তাঁরা আরও জানান, সাধারণ শ্রমিকের মজুরি ৫০০ টাকা হলেও তাঁদের মজুরি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। বিশেষ করে কৃষি, গাছ কাটা ও জ্বালানি কাট তৈরির কাজ বেশি করেন।
চা-শ্রমিক নেতা শিতারাম বিন বলেন, আমরা দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বললেই ব্রিটিশ আইন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বেকারত্ব। পরিবারের একজন বাগানে কাজ করেন আর বাকি সদস্যরা হলেন বেকার। বেকারত্ব দূর না করলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের পূর্ব পুরুষদের মতো চলতে হবে। বাগান মালিকেরা ইচ্ছে করলে বেকারত্ব অনেকটা দূর করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, চা-বাগানে এখনো হাজার হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি আছে। এগুলো বেকার চা-শ্রমিক ও তাঁদের সন্তানকে চাষাবাদ করার জন্য দেওয়া হলে বেকারত্ব কিছুটা দূর হবে। এতে তাঁদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাজের জন্য ঘুরতে হবে না।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
২ ঘণ্টা আগে