স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘দেশের কমিউনিটি ক্লিনিককে এখন সারা পৃথিবীর মানুষ সম্মান করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয় জিনিস হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক।’ 

আজ শনিবার নীলফামারী সদরের সংগলশী ইউনিয়নের দীঘলডাঙ্গী গ্রামে সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ক্লিনিকগুলোকে আমরা আরও সচল করতে চাই। আমরা যদি ব্লাড প্রেশার, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিসসহ বড় বড় রোগ কমিউনিটি ক্লিনিকে মনিটর করতে পারি, তাহলে এসব রোগ আমরা কমাতে পারব। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকে আপনারা আসবেন এবং সব সময় যোগাযোগ রাখবেন।’ 

গর্ভবতী নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এই কমিউনিটি ক্লিনিকে আসবেন এবং সব সময় যোগাযোগ রাখবেন। এখানে যোগাযোগ থাকলে গর্ভবতী মায়েরা যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। কোনোভাবেই আপনারা গাফিলতি করবেন না। এ ছাড়া গর্ভবতী নারীরা যদি কমিউনিটি ক্লিনিকে চেকআপ করিয়ে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে যান, তাহলে নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব হবে, সিজারিয়ান অপারেশন করানো লাগবে না। আমরা সিজারিয়ান সেকশন কমানোর চেষ্টা করছি।’

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সারা দেশের ৫০ শয্যা হাসপাতালগুলো ক্রমান্বয়ে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল পদায়ন এবং নতুন ভবনের আসবাব বরাদ্দ প্রদান করা হবে। নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জমি অধিগ্রহণ সমস্যার সমাধান হয়েছে। খুব শিগগির অন্য সমস্যা সমাধান করে পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা হবে।’ 

এ সময় সংসদ সদস্য মো. সিদ্দিকুল আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়, রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. এ. বি. এম. আবু হানিফ উপস্থিত ছিলেন। 

আরও ছিলেন সিভিল সার্জন মো. হাসিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. ফারুক আল মাসুদ, পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান প্রমুখ। 

শেষে মন্ত্রী সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে সেখানে নিজের ব্লাড প্রেশার চেক করান। পরে ক্লিনিক চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন।