দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমে মানুষের পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রাণীরাও। রোদ ও মাত্রাতিরিক্ত গরমে পোলট্রি খামারে থাকা মুরগি হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে।
পোলট্রি খামারিরা বলছেন, অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিন হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। শুধু হিট স্ট্রোক নয়, অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে ব্রয়লার মুরগির পাতলা পায়খানা দেখা দিয়েছে। এতে আক্রান্ত মুরগি দুর্বল হয়ে পড়ছে। নিয়মিত টিকা ও ওষুধ দেওয়ার পরও সমস্যার সমাধান মিলছে না। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। এমন অবস্থায় বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলায় ৩৩৮ ব্রয়লার ও ৩২ লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়াও ছাগলের ৩৪৯, গাভি ৫৬, টার্কি ২৮ ও হাঁসের ৩০টি খামার রয়েছে।
দুর্গাপুর উপজেলার শালঘরিয়া, সিংগা, বর্দ্ধনপুর, ধরমপুরসহ কয়েকটি এলাকার খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে মুরগিগুলো ছটফট করছে। মুরগি বাঁচাতে খামারিরা ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও ফ্যানের বাতাস ব্যবহার করছেন। তবে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সময়মতো বাতাস পাচ্ছে না। এতে মুরগিগুলোর জীবন বাঁচাতে খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন।
পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের খামারি মাসুদ রানা বলেন, খামারে চার হাজার ব্রৎ য়লার মুরগি রয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে কয়েক দিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪৫টি মুরগি মারা যাচ্ছে। যার একেকটার ওজন দুই থেকে তিন কেজি। প্রতিদিন মুরগি বাঁচাতে নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেও কোনো কাজে আসছে না। এভাবে তাপপ্রবাহ চলতে থাকলে এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।
উপজেলার সিংগা গ্রামের পাভেল হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমে তাঁর খামারে ইতিমধ্যে ১০০-র ওপরে সোনালি মুরগি মারা গেছে।
একই গ্রামের আরেক খামারি রোমন আলী বলেন, গত তিন-চার দিনে তাঁর খামারে দেড় শতাধিক মুরগি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।
কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। কোনোভাবেই হিট স্ট্রোক থেকে মুরগিকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সব সময় ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান কোথায় ঠেকবে বলা মুশকিল। বলেন, উপজেলার ধরমপুর গ্রামের আলতাব হোসেন।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি। আমরাও প্রতিদিন বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করে খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে খামার ঘরের ছাদ কিংবা টিনের চালার ওপর ভেজা চট দিলে উপকার পাওয়া যাবে।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এপ্রিল ও মে মাসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থাকে। এই তাপপ্রবাহের মধ্যে মুরগির সুরক্ষায় খামারিদের পরামর্শ দিতে খামারিদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও প্রচারপত্র বিলি করেছি।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন থেকেই রাজশাহীর ওপর দিয়ে প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে।
অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। প্রচণ্ড গরমে মানুষের পাশাপাশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রাণীরাও। রোদ ও মাত্রাতিরিক্ত গরমে পোলট্রি খামারে থাকা মুরগি হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে।
পোলট্রি খামারিরা বলছেন, অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে প্রতিদিন হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। শুধু হিট স্ট্রোক নয়, অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে ব্রয়লার মুরগির পাতলা পায়খানা দেখা দিয়েছে। এতে আক্রান্ত মুরগি দুর্বল হয়ে পড়ছে। নিয়মিত টিকা ও ওষুধ দেওয়ার পরও সমস্যার সমাধান মিলছে না। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। এমন অবস্থায় বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলায় ৩৩৮ ব্রয়লার ও ৩২ লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়াও ছাগলের ৩৪৯, গাভি ৫৬, টার্কি ২৮ ও হাঁসের ৩০টি খামার রয়েছে।
দুর্গাপুর উপজেলার শালঘরিয়া, সিংগা, বর্দ্ধনপুর, ধরমপুরসহ কয়েকটি এলাকার খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে মুরগিগুলো ছটফট করছে। মুরগি বাঁচাতে খামারিরা ঠান্ডা পানি, স্যালাইন ও ফ্যানের বাতাস ব্যবহার করছেন। তবে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সময়মতো বাতাস পাচ্ছে না। এতে মুরগিগুলোর জীবন বাঁচাতে খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন।
পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের খামারি মাসুদ রানা বলেন, খামারে চার হাজার ব্রৎ য়লার মুরগি রয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ভ্যাপসা গরমে কয়েক দিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪৫টি মুরগি মারা যাচ্ছে। যার একেকটার ওজন দুই থেকে তিন কেজি। প্রতিদিন মুরগি বাঁচাতে নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেও কোনো কাজে আসছে না। এভাবে তাপপ্রবাহ চলতে থাকলে এবার বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।
উপজেলার সিংগা গ্রামের পাভেল হোসেন বলেন, প্রচণ্ড গরমে তাঁর খামারে ইতিমধ্যে ১০০-র ওপরে সোনালি মুরগি মারা গেছে।
একই গ্রামের আরেক খামারি রোমন আলী বলেন, গত তিন-চার দিনে তাঁর খামারে দেড় শতাধিক মুরগি হিট স্ট্রোকে মারা গেছে।
কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। কোনোভাবেই হিট স্ট্রোক থেকে মুরগিকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সব সময় ফ্যান চালানো যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে লোকসান কোথায় ঠেকবে বলা মুশকিল। বলেন, উপজেলার ধরমপুর গ্রামের আলতাব হোসেন।
দুর্গাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি। আমরাও প্রতিদিন বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করে খামারিদের পরামর্শ দিচ্ছি। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে খামার ঘরের ছাদ কিংবা টিনের চালার ওপর ভেজা চট দিলে উপকার পাওয়া যাবে।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এপ্রিল ও মে মাসে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থাকে। এই তাপপ্রবাহের মধ্যে মুরগির সুরক্ষায় খামারিদের পরামর্শ দিতে খামারিদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও প্রচারপত্র বিলি করেছি।’
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন থেকেই রাজশাহীর ওপর দিয়ে প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
৪৪ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে