রাজশাহীতে পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী    
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ৫৫
সভা শেষে পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড উদ্ধোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর পাহাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার কী-বোর্ড তৈরি করেছে ফ্রেন্ডস অব এন্ডেঞ্জার্ড এথনিক ল্যাংগুয়েজেস (ফিল) নামের একটি সংগঠন।

রাজশাহীতে পাহাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ২০ হাজার মানুষের বাস। আজ শনিবার সকালে তাই রাজশাহীতে ‘মালত সাবা’ নামের এই কী-বোর্ডের উদ্বোধন করা হয়।

সংগঠনটি ক্ষৃদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ডিজিটাল টুল তৈরিতে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ১৬টি ভাষার ডিজিটাল টুল তৈরি করেছে তারা। এবার পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড তৈরি করল ফিল। এই কী-বোর্ড ব্যবহার করে কম্পিউটারে লেখা যাবে। ইউনিকোর্ড হওয়ায় এটি ব্যবহার করা যাবে অনলাইনেও।

বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি মিলনায়তনে ‘নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষা চর্চার প্রতিবন্ধকতা ও উত্তোরণে করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সভা শেষে এ কী-বোর্ডের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার ও একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড উদ্ধোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড উদ্ধোধন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কালচারাল একাডেমি ও পাহাড়িয়া পরিষদ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে পাহাড়িয়া ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘মানুষের সাথে প্রকৃতির সম্পর্ক তৈরি করতে ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আজ থেকে পাহাড়িয়া ভাষাটি দক্ষিণ এশিয়ার নবীনতম ভাষা হিসেবে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করল। পাহাড়িয়া মাতৃভাষার কী-বোর্ডটি বিশ্বের ২৯৫ তম কী-বোর্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেল। বিশ্বের দরবারে ভবিষ্যৎ তরুণ প্রজন্মকে পাহাড়িয়া ভাষার সাথে পরিচিত করতে এই কী-বোর্ড সহযোগিতা করবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কালচারাল একাডেমির উপ-পরিচালক বেনজামিন টুডু। ইন্সট্রাক্টর মানুয়েল সরেন এতে সঞ্চালনা করেন।

পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাহাড়িয়া ভাষার কী-বোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য আকবারুল হাসান মিল্লাত, মিসেস শেলী প্রিসিল্লা বিশ্বাস, আদিবাসী ভাষা প্রযুক্তিবিদ সমর মাইকেল সরেন, নবাই বটতলা ধর্মপল্লীর সহকারী পাল-পুরোহিত ফাদার আরতুরো স্পেজিয়ালে পিমে, পাহাড়িয়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক অভিলাষ বিশ্বাস, আদিবাসী ভাষা বিশেষজ্ঞ মৃদুল সাংমা প্রমুখ।

এই কী-বোর্ড তৈরিতে মূখ্য ভূমিকা রাখেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভাষা প্রযুক্তিবিদ সমর মাইকেল সরেন। তিনি ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল ডেকেট অব ইনডিজিনাস ল্যাংগুয়েজেস (আইডিআইএল) প্রোগ্রামের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি জানান, পাহাড়িয়া কী-বোর্ড এখন থেকে যে কোনো কম্পিউটারে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি এটি ইউনিকোড হওয়ায় অনলাইনেও ব্যবহার করা যাবে। এটি বিনা মূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার সময় বাড়ল

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

ব্যাংক খাতে নতুন নীতিমালা: আটকে গেল ২৫৮ কর্মকর্তার জিএম পদে পদোন্নতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত