গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খালে বাঁধ দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। পাঁচ বছর ধরে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা খালের পানি চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না।
প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করে পাউবো। তবে পানি প্রবাহ বন্ধ করে খালে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান পাউবোর কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বগুড়ার পাউবো থেকে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মানস নদী থেকে একটি সরু খাল বের হয়ে বাঙালি নদীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। আশির দশকে সারিয়াকান্দিতে যমুনার বাঁধ ভেঙে গেলে পানির তোড়ে খালটি ভেঙে প্রশস্ত হয়। ওইসময় থেকেই খালে নিয়মিত পানি প্রবাহ থাকায় দুই তীরের বাসিন্দারা মাছ শিকারের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি দিয়ে জমিতে চাষাবাদের জন্য সেচ দিতেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে পাট চাষ হওয়ায় খালের পানিতে সেই পাট জাগ দেওয়া হতো।
এদিকে খালের তলদেশ ভরাট ও বিভিন্নস্থান সংকুচিত হয়ে পড়লে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। প্রথমে পুরো খাল খনন ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয় ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই টাকায় কুতুবপুর সেতু থেকে শুরু করে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত খাল খনন ও সংস্কার করা হয়।
এলাকার লোকজন জানান, কুতুবপুর থেকে শুরু হয়ে কালারতাইড় হয়ে বাঁশহাটা গ্রামে বাঙ্গালী নদীর সঙ্গে যুক্ত খালটি খননের পরপরই মাছ চাষ শুরু করেন এলাকার কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা বাঁশের চাটাইয়ের সঙ্গে জাল দিয়ে ঘের তৈরি করে প্রথম দিকে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে বাঁধ দিয়ে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে খণ্ড খণ্ড এলাকা দখল নিয়ে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা।
খালে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরুর ফলে দুই তীরের বাসিন্দা ও তীরবর্তী জমির মালিকদের আর খালের পানি ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। এমনকি খালের পানিতে মাছ শিকার করে অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহ চললেও এখন মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান মাছ শিকারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবর রহমান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আলী ফকির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান, মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মণ্ডলসহ অনেকে মাছ চাষ করছেন খাল দখল করে।
কুতুবপুর ফকির পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, বন্যার সময় খালের মধ্যে তাঁদের ১০ শতাংশ জমি বিলীন হয়েছে। অথচ তাঁদের কোনো অধিকার নেই খালের পানি ব্যবহারের। এখন মাছ চাষ করছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। ওই গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল সরকার বলেন, ‘খালের পানিতে গোসল করা ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই পানি ব্যবহারের।’
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের বেড়া ও মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছ চাষের বিষয়ে যুবদল নেতা মাহবুবর রহমান বলেন, ‘খালের দুই পাড়ের যারা জমির মালিক তাঁদের কাছ থেকে বার্ষিক ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি।’ একই দাবি করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসানের মাছ চাষের দেখাশোনাকারী ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই এখানে এলাকার লোকজন মাছ চাষ করতেন। তাঁরা যেভাবে জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে, আমরাও একইভাবে জমি ইজারা নিয়েছি।’ এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আলী ফকির ও মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মণ্ডলের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন জানান, সম্প্রতি এলাকাবাসী খাল দখলের বিষয়ে তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগপত্রটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকেই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাল দখল করে মাছ চাষের বিষয়টি নজরে না আসার কথা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘এখন খোঁজ নিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হবে। খালের জমি কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি হতে পারে না। এ ছাড়া পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই।’
ইউএনও সবুজ কুমার বসাক বলেন, ‘কুতুবপুরে খাল দখলের বিষয়টি জানার পর সেখানে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। যারা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই যেন পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয় এবং স্থানীয় জনগণ যেন খালের পানি তাঁদের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
দখলদার কয়েকজন দাবি করেছেন তাঁরা জায়গা ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। কার কাছ থেকে কী কাগজমূলে ইজারা নিয়েছেন তা দাখিলের জন্যও দখলদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খালে বাঁধ দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। পাঁচ বছর ধরে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা খালের পানি চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না।
প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করে পাউবো। তবে পানি প্রবাহ বন্ধ করে খালে মাছ চাষের কোনো সুযোগ নেই বলে জানান পাউবোর কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বগুড়ার পাউবো থেকে জানা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মানস নদী থেকে একটি সরু খাল বের হয়ে বাঙালি নদীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। আশির দশকে সারিয়াকান্দিতে যমুনার বাঁধ ভেঙে গেলে পানির তোড়ে খালটি ভেঙে প্রশস্ত হয়। ওইসময় থেকেই খালে নিয়মিত পানি প্রবাহ থাকায় দুই তীরের বাসিন্দারা মাছ শিকারের পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি দিয়ে জমিতে চাষাবাদের জন্য সেচ দিতেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে পাট চাষ হওয়ায় খালের পানিতে সেই পাট জাগ দেওয়া হতো।
এদিকে খালের তলদেশ ভরাট ও বিভিন্নস্থান সংকুচিত হয়ে পড়লে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি খনন ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয় পাউবো। প্রথমে পুরো খাল খনন ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ হয় ৯৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওই টাকায় কুতুবপুর সেতু থেকে শুরু করে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত খাল খনন ও সংস্কার করা হয়।
এলাকার লোকজন জানান, কুতুবপুর থেকে শুরু হয়ে কালারতাইড় হয়ে বাঁশহাটা গ্রামে বাঙ্গালী নদীর সঙ্গে যুক্ত খালটি খননের পরপরই মাছ চাষ শুরু করেন এলাকার কয়েক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তারা বাঁশের চাটাইয়ের সঙ্গে জাল দিয়ে ঘের তৈরি করে প্রথম দিকে মাছ চাষ শুরু করেন। পরে বাঁধ দিয়ে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করে খণ্ড খণ্ড এলাকা দখল নিয়ে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা।
খালে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরুর ফলে দুই তীরের বাসিন্দা ও তীরবর্তী জমির মালিকদের আর খালের পানি ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না। এমনকি খালের পানিতে মাছ শিকার করে অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহ চললেও এখন মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান মাছ শিকারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবর রহমান, স্থানীয় বিএনপি নেতা আলী ফকির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসান, মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মণ্ডলসহ অনেকে মাছ চাষ করছেন খাল দখল করে।
কুতুবপুর ফকির পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, বন্যার সময় খালের মধ্যে তাঁদের ১০ শতাংশ জমি বিলীন হয়েছে। অথচ তাঁদের কোনো অধিকার নেই খালের পানি ব্যবহারের। এখন মাছ চাষ করছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। ওই গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল সরকার বলেন, ‘খালের পানিতে গোসল করা ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই পানি ব্যবহারের।’
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খালের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের বেড়া ও মাটির বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে। মাছ চাষের বিষয়ে যুবদল নেতা মাহবুবর রহমান বলেন, ‘খালের দুই পাড়ের যারা জমির মালিক তাঁদের কাছ থেকে বার্ষিক ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছি।’ একই দাবি করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মেহেদী হাসানের মাছ চাষের দেখাশোনাকারী ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগে থেকেই এখানে এলাকার লোকজন মাছ চাষ করতেন। তাঁরা যেভাবে জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছে, আমরাও একইভাবে জমি ইজারা নিয়েছি।’ এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আলী ফকির ও মাছ ব্যবসায়ী আবুল হোসেন মণ্ডলের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সুজন জানান, সম্প্রতি এলাকাবাসী খাল দখলের বিষয়ে তাঁর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগপত্রটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকেই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাল দখল করে মাছ চাষের বিষয়টি নজরে না আসার কথা জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব। তিনি বলেন, ‘এখন খোঁজ নিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যবস্থা করা হবে। খালের জমি কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি হতে পারে না। এ ছাড়া পানি প্রবাহ বন্ধ করে মাছ চাষ করার কোনো সুযোগ নেই।’
ইউএনও সবুজ কুমার বসাক বলেন, ‘কুতুবপুরে খাল দখলের বিষয়টি জানার পর সেখানে গিয়ে এর সত্যতা মিলেছে। যারা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন তাঁদের এক সপ্তাহের মধ্যে বাঁধ অপসারণ করতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই যেন পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয় এবং স্থানীয় জনগণ যেন খালের পানি তাঁদের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারেন সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
দখলদার কয়েকজন দাবি করেছেন তাঁরা জায়গা ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। কার কাছ থেকে কী কাগজমূলে ইজারা নিয়েছেন তা দাখিলের জন্যও দখলদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
২১ মিনিট আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
২২ মিনিট আগেপিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামে লোকালয়ে গড়ে ওঠা একটি খামারের কারণে হুমকিতে পড়েছে জনস্বাস্থ্য। গরু, ছাগল ও মুরগির সমন্বয়ে খামারটি করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট শহীদুল হক খান পান্না।
২২ মিনিট আগেবাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে