শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে শিক্ষক চাচার ‘ধর্ষণের শিকার’ হয়ে বিচার না পেয়ে বাবা হারানো কিশোরী ফারিয়া ইয়াসমিন ঝিনুক (১৫) ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এর আগে ১২ নভেম্বর একটি চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ঝিনুক। সে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল এবং তার আপন চাচা একই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকালে সদর উপজেলার কামারচর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। এ সময় তাঁরা ঝিনুকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে এ ঘটনার পরদিন ১৩ নভেম্বর ঝিনুকের মা কমলা বেগম বাদী হয়ে মেয়েটির চাচা মো. রকিবুল হাসান মিন্টুকে (২৪) প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঝিনুকের দাদা গোলাম মোস্তফা (৬০), ফুপা মো. শেখ ফরিদ (৪৫), ফুপু মোছা. মর্জিনা বেগম (৪০), ফুপু মোছা. মেহেরুন্নেসা জোসনা, মোছা. মরিয়ম বেগম (৩২) ও মোছা. শেফালি বেগম (৩৫)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঝিনুকের বাবার মৃত্যুর পর মা কমলা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্রে চলে যান। এর পর থেকে ঝিনুক ও তার ছোট ভাই সদর উপজেলার কামারচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশআনী এলাকায় দাদির বাড়িতে থাকত। সেখান থেকেই নিজের ফুপা ও চাচার পরিচালিত একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াশোনা করত তারা। এ সুযোগে ঝিনুকের আপন চাচা ও ওই স্কুলের শিক্ষক রাকিবুল হাসান মিন্টু তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল।
বিষয়টি কিশোরী দাদা-দাদি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ফুপা শেখ ফরিদকে জানিয়েও কোনো সুবিচার পায়নি। পরে ১২ নভেম্বর সকালে আবারও মেয়েটি ফুপার বাড়িতে গিয়ে বিচার না পেয়ে একটি চিরকুট লিখে সেখানেই আত্মহত্যা করে। ঝিনুকের চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমি বিচার পাইলাম না বলিয়া, আত্মহত্যা মহাপাপ জানিয়াও আমি আত্মহত্যা করিলাম।’
এ বিষয়ে ঝিনুকের মা কমলা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় কারও কাছে সুবিচার না পেয়ে তার ফুপা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেখানেও বিচার না পেয়ে, তাঁর বাড়িতেই আত্মহত্যা করে ঝিনুক। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রার্থনা করছি।’
এদিকে মামলার আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘ঝিনুকের মা আদালতে একটা অভিযোগ দিয়েছেন। ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেরপুরে শিক্ষক চাচার ‘ধর্ষণের শিকার’ হয়ে বিচার না পেয়ে বাবা হারানো কিশোরী ফারিয়া ইয়াসমিন ঝিনুক (১৫) ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
এর আগে ১২ নভেম্বর একটি চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ঝিনুক। সে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল এবং তার আপন চাচা একই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকালে সদর উপজেলার কামারচর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। এ সময় তাঁরা ঝিনুকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
এদিকে এ ঘটনার পরদিন ১৩ নভেম্বর ঝিনুকের মা কমলা বেগম বাদী হয়ে মেয়েটির চাচা মো. রকিবুল হাসান মিন্টুকে (২৪) প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন। ওই মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঝিনুকের দাদা গোলাম মোস্তফা (৬০), ফুপা মো. শেখ ফরিদ (৪৫), ফুপু মোছা. মর্জিনা বেগম (৪০), ফুপু মোছা. মেহেরুন্নেসা জোসনা, মোছা. মরিয়ম বেগম (৩২) ও মোছা. শেফালি বেগম (৩৫)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঝিনুকের বাবার মৃত্যুর পর মা কমলা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্রে চলে যান। এর পর থেকে ঝিনুক ও তার ছোট ভাই সদর উপজেলার কামারচর ইউনিয়নের সাহাব্দীরচর দশআনী এলাকায় দাদির বাড়িতে থাকত। সেখান থেকেই নিজের ফুপা ও চাচার পরিচালিত একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াশোনা করত তারা। এ সুযোগে ঝিনুকের আপন চাচা ও ওই স্কুলের শিক্ষক রাকিবুল হাসান মিন্টু তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল।
বিষয়টি কিশোরী দাদা-দাদি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ফুপা শেখ ফরিদকে জানিয়েও কোনো সুবিচার পায়নি। পরে ১২ নভেম্বর সকালে আবারও মেয়েটি ফুপার বাড়িতে গিয়ে বিচার না পেয়ে একটি চিরকুট লিখে সেখানেই আত্মহত্যা করে। ঝিনুকের চিরকুটে লেখা ছিল ‘আমি বিচার পাইলাম না বলিয়া, আত্মহত্যা মহাপাপ জানিয়াও আমি আত্মহত্যা করিলাম।’
এ বিষয়ে ঝিনুকের মা কমলা বেগম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় কারও কাছে সুবিচার না পেয়ে তার ফুপা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেখানেও বিচার না পেয়ে, তাঁর বাড়িতেই আত্মহত্যা করে ঝিনুক। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রার্থনা করছি।’
এদিকে মামলার আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘ঝিনুকের মা আদালতে একটা অভিযোগ দিয়েছেন। ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১৫ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
২৮ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে