ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে গত দুই দিনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবদলের দুই কর্মী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। 

আজ বুধবার দুপুর ২টায় পৌরশহরের নতুনবাজার ম্যাক্সিস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা যুবদলের কর্মী জসিমউদ্দিন আধিপত্য বিস্তার করতে গেলে যুবদল কর্মী সুমন গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সুমন গ্রুপের ছুরিকাঘাতে জসিম উদ্দিন আহত হলে স্থানীয়রা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সংঘর্ষে যুবদল কর্মী তুষার, আবদুল হামিদ, মাহবুব, সুবল চন্দ্র মোদক গুরুতর আহত হন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।  

এ সময় জসিমউদদীনের কর্মীরা সুমন, হেলাল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও জমির ব্যাপারীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
 
বিকেলে জসিমউদ্দিনের স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে পৌর এলাকায় বিক্ষোভ করেন। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার কাচারি রোড রেলক্রসিং এলাকায় যুবদল কর্মী সবুজ আকন্দ (২৬) পৌর ছাত্রদলের ওয়ার্ড সভাপতি মেহেদী কাজীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেছেন।  

পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম রিপন জানিয়েছেন, নিহত দুজনই যুবদলের কর্মী। জেলা যুবদলের দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও এ কথা স্বীকার করেছেন। 

সবুজ আকন্দের মামা কামালউদ্দিন বলেন, এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে ছুরিকাহত হলে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে স্বজনেরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যান। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, ছুরিকাহত দুজনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই মারা যান। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার সময় পুলিশকে জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি। 

গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান বলেন, পুলিশ নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে ঘটনাস্থলে যায়নি। তবে নিহত দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লাশবাহী গাড়ি দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

এ ব্যাপারে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি বলেও জানান ওসি।