বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে। নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই ডুবে যায় জলোচ্ছ্বাসের পানিতে।
ঝড় থেমে গেলেও, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি এই ইউনিয়নের মানুষেরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই অঞ্চল মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের জোয়ারে ডুবেছে আরও একবার। বসতঘর ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।
গেল দুদিন ধরে ডুবে আছে বাড়িঘর। মানুষের রান্না খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তিন দিন ধরে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনেকই উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে।
চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন ফুলহাতা গ্রামের বাসিন্দা ইমতিয়াজ ইসলাম। দুর্যোগে স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তাই চলে এসেছেন। তিনি জানান, বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছে। গতকাল (সোমবার) থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছি না। শুনছি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। কে কী অবস্থায় আছে কথা বলতে পারছিলাম না। ঘর তো নেই, বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। এখন কে যে কেমন আছে তাও তো জানতে পারছিলাম না। তাই চলে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। ঝড়ের আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছপালা আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাস্তার দুপাশে কিছু দূর পরপরই। যাদের ঘরের কিছু অংশ টিকে ছিল, দুপুরের জোয়ারের পানিতে সেটুকুও ভেসে গেছে। কিছু ঘর টিকে থাকলেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের পোতা (ভিত)।
ঘষিয়াখালী গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাগো সব ডুবে গেছিল। সারা রাইত ঘরে চৌকির ওপর বসে ছিলাম। নিচ দিয়ে স্রোত গেছে। এখনো আবার দেখেন পানি ঢুকতেছে। ঘরবাড়ি সব ভাইসে গেছে, দুই দিন কোনো রান্না হয় না। স্রোতে ঘরের পোতা, রান্নাঘর, চুলাও ভেঙে গেছে। বড় বিপদের মধ্যে আছি। ঘরের মধ্যে কাদায় হাঁটা চলা করা যায় না।’
ওই এলাকার তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাগো এলাকায় বাঁধ নেই। জোয়ারের পানি ঢুকলেও এমন অবস্থা হয়নি। সব ভাসাই নিয়া গেছে। ঘরডা কোনো রকম দাঁড়ায় আছে, কিন্তু পোতার মাটি স্রোতে ভাসায় নিয়া গেছে। আমরা আছি কিন্তু কীভাবে আছি তা কইতে পারব না। ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী যে কষ্ট, তা বলা যাবে না! এই পুকুরটা ভরা মাছ ছিল, সব ভাইসা গ্যাছে। আমাগে যদি বাঁধ না দেন আমরা তালি ভাসি যাব। এই গ্রাম মনে হয় নদীতে চইলা যাবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয় তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ শেখ বলে, ‘এখানে রাস্তা বলতে কেবল ইটের সোলিং। তাও সব জায়গা নেই। মাটির রাস্তাই বেশি। স্রোতে সব ভাইসে গেছে।’
রুবেল নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঘর–রান্নাঘর সব ডুবেছে। কোথায় থাকব, কোথায় রানব জানি না। কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।’
এখানে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুলহাতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব হারুণ শেখ বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ যাইতে এখন লাগতেছে আধা ঘণ্টা। সব ধুয়ে গেছে। গর্ত পানি পার হয়ে চলতে হচ্ছে।’
ওই গ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা হলো আরও কয়েকজনের সঙ্গে, তাঁরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ফিরছিলেন গ্রামে বাড়িতে। তেমন একজন ফুলহাতা গ্রামে মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমি থাকি ঢাকা, ঝড়ের পর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরছি না। পাশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শুনছি, থাকার ঘরডা আছে কিন্তু আশপাশের সব গেছে ভাইঙ্গে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। এই এলাকাই মনে হয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনয়নে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই তলিয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের পানি এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদী বেষ্টিত এ ইউনিয়ন। ঝড়ের রাতে পুরো ইউনিয়ন ডুবে যায় তিন পাশের কেওড়া, মানিক ও পানগুছি নদী থেকে উঠে আসা জলোচ্ছ্বাসে। নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের পুরোটাই ডুবে যায় জলোচ্ছ্বাসের পানিতে।
ঝড় থেমে গেলেও, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি এই ইউনিয়নের মানুষেরা। বেড়িবাঁধ না থাকায় এই অঞ্চল মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরের জোয়ারে ডুবেছে আরও একবার। বসতঘর ও রান্নাঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব এলাকার মানুষের।
গেল দুদিন ধরে ডুবে আছে বাড়িঘর। মানুষের রান্না খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। তিন দিন ধরে পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অনেকই উৎকণ্ঠা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে।
চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন ফুলহাতা গ্রামের বাসিন্দা ইমতিয়াজ ইসলাম। দুর্যোগে স্বজনদের নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল তাই চলে এসেছেন। তিনি জানান, বাড়িতে বৃদ্ধ মা আছে। গতকাল (সোমবার) থেকে কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছি না। শুনছি ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে। কে কী অবস্থায় আছে কথা বলতে পারছিলাম না। ঘর তো নেই, বাড়ি পানিতে ডুবে আছে। এখন কে যে কেমন আছে তাও তো জানতে পারছিলাম না। তাই চলে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্রোতের তোড়ে নদী তীরবর্তী ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া গ্রামের রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। ঝড়ের আঘাতে উপড়ে যাওয়া গাছপালা আর বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাস্তার দুপাশে কিছু দূর পরপরই। যাদের ঘরের কিছু অংশ টিকে ছিল, দুপুরের জোয়ারের পানিতে সেটুকুও ভেসে গেছে। কিছু ঘর টিকে থাকলেও স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘরের পোতা (ভিত)।
ঘষিয়াখালী গ্রামের বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমাগো সব ডুবে গেছিল। সারা রাইত ঘরে চৌকির ওপর বসে ছিলাম। নিচ দিয়ে স্রোত গেছে। এখনো আবার দেখেন পানি ঢুকতেছে। ঘরবাড়ি সব ভাইসে গেছে, দুই দিন কোনো রান্না হয় না। স্রোতে ঘরের পোতা, রান্নাঘর, চুলাও ভেঙে গেছে। বড় বিপদের মধ্যে আছি। ঘরের মধ্যে কাদায় হাঁটা চলা করা যায় না।’
ওই এলাকার তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘আমাগো এলাকায় বাঁধ নেই। জোয়ারের পানি ঢুকলেও এমন অবস্থা হয়নি। সব ভাসাই নিয়া গেছে। ঘরডা কোনো রকম দাঁড়ায় আছে, কিন্তু পোতার মাটি স্রোতে ভাসায় নিয়া গেছে। আমরা আছি কিন্তু কীভাবে আছি তা কইতে পারব না। ছোট বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কী যে কষ্ট, তা বলা যাবে না! এই পুকুরটা ভরা মাছ ছিল, সব ভাইসা গ্যাছে। আমাগে যদি বাঁধ না দেন আমরা তালি ভাসি যাব। এই গ্রাম মনে হয় নদীতে চইলা যাবে।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের কোথাও পাকা রাস্তা নেই। স্থানীয় তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ শেখ বলে, ‘এখানে রাস্তা বলতে কেবল ইটের সোলিং। তাও সব জায়গা নেই। মাটির রাস্তাই বেশি। স্রোতে সব ভাইসে গেছে।’
রুবেল নামের আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ঘর–রান্নাঘর সব ডুবেছে। কোথায় থাকব, কোথায় রানব জানি না। কিছু শুকনো খাবার খাচ্ছি। বেশির ভাগ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।’
এখানে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার রাস্তাগুলো ভেসে যাওয়ায় চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফুলহাতা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব হারুণ শেখ বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ যাইতে এখন লাগতেছে আধা ঘণ্টা। সব ধুয়ে গেছে। গর্ত পানি পার হয়ে চলতে হচ্ছে।’
ওই গ্রাম থেকে ফেরার পথে দেখা হলো আরও কয়েকজনের সঙ্গে, তাঁরা উৎকণ্ঠা নিয়ে ফিরছিলেন গ্রামে বাড়িতে। তেমন একজন ফুলহাতা গ্রামে মনিরুল ইসলাম রিপন বলেন, ‘আমি থাকি ঢাকা, ঝড়ের পর কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরছি না। পাশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে শুনছি, থাকার ঘরডা আছে কিন্তু আশপাশের সব গেছে ভাইঙ্গে। তাই বাড়ি যাচ্ছি। এই এলাকাই মনে হয় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হইছে।’
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
২ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
১৫ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে