জাহিদুর রহমান, দাকোপ (খুলনা)
করোনাকালে ভালো নেই দাকোপের বানিশান্তা যৌনপল্লির কর্মীরা। লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। খদ্দের না আসায় নেই কোনো আয়–রোজগার। ফলে ঘরে খাবার নেই তাঁদের। কোনোমতে ধারদেনা করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন তাঁরা।
মোংলার অদূরে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বানিশান্তা যৌনপল্লি। এখানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মিলে দুই শতাধিক লোকের বাস। এর মধ্যে যৌনকর্মী রয়েছে ৯১ জন ও শিশু ৬৫ জন। করোনাকালে অর্থ ও খাদ্যের অভাবে অসহায় জীবনযাপন করছেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পল্লির চারপাশে নীরবতা। পল্লির সামনের দিকে পশুর নদী, পেছন দিকে মৎস্যঘের। চলতি লকডাউনে এখানে নেই খদ্দেরের আনাগোনা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকা যৌনকর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাঁদের চোখে–মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে শুকনো মুখগুলো। কথা হয় যৌনকর্মী সাথির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই তো লকডাউন চলছে। পল্লিতে খদ্দের আসে না। কামাই-রোজগার একদম নাই। ঘরে খাবার নাই। ঋণ করে খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিন পার করছি।’
৪৫ বছর বয়সী যৌনকর্মী আনজু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ক্ষুধার জ্বালা আমরা সহ্য করি। কিন্তু পোলাপান ক্ষুধায় কান্নাকাটি করে। ওগোর মুখের দিকে তাকাতে পারি না। কার কাছে চামু, সবারই একই অবস্থা।’
যৌনকর্মী পারভিন বলেন, ‘আমগর খবর কে রাখে। খদ্দের না থাকায় কামাই করতে পারতেছি না। আমাগো খুব কষ্ট। কেউ কেউ একবেলা আধপেট খাইয়ে ক্ষুধার জ্বালা মেটায়। আমগর কষ্ট দেখার কেউ নাই। এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো সাহায্য–সহযোগিতা পাই নাই।’
নারী জাগরণের সভাপতি যৌনকর্মী রাজিয়া বলেন, এই পল্লিতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মিলে দুই শতাধিক লোকের বাস। কর্মহীন যৌনকর্মীদের ঘরে ঘরে অভাব দেখা দিয়েছে। খাদ্যের অভাবে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে তারা।
করোনাকালে ভালো নেই দাকোপের বানিশান্তা যৌনপল্লির কর্মীরা। লকডাউনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁরা। খদ্দের না আসায় নেই কোনো আয়–রোজগার। ফলে ঘরে খাবার নেই তাঁদের। কোনোমতে ধারদেনা করে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন তাঁরা।
মোংলার অদূরে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত বানিশান্তা যৌনপল্লি। এখানে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মিলে দুই শতাধিক লোকের বাস। এর মধ্যে যৌনকর্মী রয়েছে ৯১ জন ও শিশু ৬৫ জন। করোনাকালে অর্থ ও খাদ্যের অভাবে অসহায় জীবনযাপন করছেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পল্লির চারপাশে নীরবতা। পল্লির সামনের দিকে পশুর নদী, পেছন দিকে মৎস্যঘের। চলতি লকডাউনে এখানে নেই খদ্দেরের আনাগোনা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকা যৌনকর্মীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। তাঁদের চোখে–মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে শুকনো মুখগুলো। কথা হয় যৌনকর্মী সাথির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই তো লকডাউন চলছে। পল্লিতে খদ্দের আসে না। কামাই-রোজগার একদম নাই। ঘরে খাবার নাই। ঋণ করে খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিন পার করছি।’
৪৫ বছর বয়সী যৌনকর্মী আনজু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ক্ষুধার জ্বালা আমরা সহ্য করি। কিন্তু পোলাপান ক্ষুধায় কান্নাকাটি করে। ওগোর মুখের দিকে তাকাতে পারি না। কার কাছে চামু, সবারই একই অবস্থা।’
যৌনকর্মী পারভিন বলেন, ‘আমগর খবর কে রাখে। খদ্দের না থাকায় কামাই করতে পারতেছি না। আমাগো খুব কষ্ট। কেউ কেউ একবেলা আধপেট খাইয়ে ক্ষুধার জ্বালা মেটায়। আমগর কষ্ট দেখার কেউ নাই। এ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো সাহায্য–সহযোগিতা পাই নাই।’
নারী জাগরণের সভাপতি যৌনকর্মী রাজিয়া বলেন, এই পল্লিতে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ মিলে দুই শতাধিক লোকের বাস। কর্মহীন যৌনকর্মীদের ঘরে ঘরে অভাব দেখা দিয়েছে। খাদ্যের অভাবে খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে তারা।
রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় মাকে বেঁধে রেখে টাকা, গয়নাসহ শিশু সন্তানকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। ৮ মাসের জাইফাকে অপহরণ ও মূল্যবান সম্পদ চুরি করা ছিল উদ্দেশ্য। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাবলেট...
৬ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ককটেল, দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল, ছাত্রদল ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার পিয়ারপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
১৪ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
৩৪ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
৪৩ মিনিট আগে