বাসে পরিচয় থেকে সাবলেট, টাকা-গয়নার সঙ্গে শিশুকেও নিয়ে গেল নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ৪৯
বাসার মালামালের সঙ্গে শিশুটিকেও তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় মাকে বেঁধে রেখে টাকা, গয়নাসহ শিশু সন্তানকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। ৮ মাসের জাইফাকে অপহরণ ও মূল্যবান সম্পদ চুরি করা ছিল উদ্দেশ্য। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাবলেট ওঠা নারীকে সন্দেহ করছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুপুরে লালবাগ টাওয়ারের পাশে ফারজানা আক্তার নামের এক নারীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর স্বামী আবু জাফর ও তাঁর পরিবারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, অপহরণ হওয়া শিশু জাইফা আক্তারের মা ফারজানা আক্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন বিভাগের স্টেনোগ্রাফার পদে চাকরি করেন। গত ছয় মাস ধরে স্বামী তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। নিজের মা, বোন ও সন্তান নিয়ে ফারজানা আক্তার ওই কোয়ার্টারে থাকেন। সকালে এক নারী ও তিনজন পুরুষ তাঁদের বাসায় ঢুকে তাঁকে বেঁধে রেখে দেড় লাখ টাকা, চার ভরি স্বর্ণালংকার এবং বাচ্চাটিকে তুলে নিয়ে যায়।

ফারজানা আক্তার ও তাঁর স্বজনেরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ফারজানা একজন নারীকে এই বাসাতে সাবলেট থাকার জন্য ভাড়া দেন। সাবলেটে ওঠা ওই নারী পরিবহন পুলে চাকরি করেন বলে জানতেন ফারজানা। মাঝে মধ্যেই এক সঙ্গে স্টাফ বাসে চলাফেলা করতেন তাঁরা। কথা বার্তার একপর্যায়ে ফারজানা ওই নারীকে সাবলেট ভাড়া দেওয়ার কথায় রাজি হন। তারপর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী বাসায় ওঠেন।

স্বজনেরা ও বাসার দারোয়ান বলছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ফারজানার মা ও বোন বরিশালে চলে গেলে বাসা ফাঁকা হয়ে যায়। সাবলেটে ওঠা ওই নারী তখন বাইরে বের হন। ৩০ মিনিট পর আসার সময় একটি বস্তা ও তিনজন ছেলেকে নিয়ে বাসায় ঢোকেন।

বাসার নিরাপত্তাকর্মী ইসরাফিল সরকার বলেন, ‘সকালের দিকে তিনি বাচ্চা ও তাঁর মায়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। কিন্তু তিনি কিছু বুঝতে পারেননি। একটু পর শিশুটির মা তাঁর কাছে এসে বলেন, তাঁর বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় বের হয়ে দেখতে পারেন, শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে একজন নারী রাস্তা পার হচ্ছেন। মুহূর্তেই বাচ্চাটিকে নিয়ে সটকে পড়েন নারী। পরে আর তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে লালবাগ থানার ওসি ক্যশৈনু বলেন, ‘পরিচিত হিসেবে কোনো ডকুমেন্টস না রেখেই মেয়েটিকে সাবলেটে ওঠানো হয়। সেই মেয়েটি আমাদের প্রধান সাসপেক্ট। কিন্তু তাঁর নাম-ঠিকানা বা কোথায় কাজ করত কিছুই বলতে পারছেন না গৃহকর্ত্রী।’

সিসিটিভি ফুটেজে তিনজন পুরুষের সঙ্গে সাবলেট ওঠা ওই নারীকেও বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত