জাহিদ হাসান, যশোর
‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। আমার স্বামী হার্টের রোগী। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণী।
লাবণী বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলে থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। হার্টের রোগের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন মধু। তাঁর সন্তানেরা কাদছে এবং বাবার বাড়ি আসার অপেক্ষায় আছে।
সন্তানেরা কাদছে আর বলছে, মা, আমাদের বাবা কবে আসবে? বাবার জন্য সন্তানেরা কান্নাকাটি করছে। সন্তানের কান্না কি দেখার কেউ নেই? ’
পেশায় গৃহিণী লাবণী বলেন, তাঁর স্বামী আমিনুর রহমান যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর বর্তমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর ডান্ডাবেড়ি পরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পর অমিনুরের স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন। অসুস্থ আমিনুরকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী, মা ও দুই সন্তান নিয়ে আমিনুরের সংসার। আমিনুরের মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছর বয়সী কিশোর ছেলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাহিদা আক্তার লাবণী বলেন, ‘আমার স্বামী শিক্ষক। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেদিন আমিনুররে ধরে নিয়ে যায়; সেই দিনও তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে কোনো নাশকতা করেনি। উনি যদি নাশকতা করত, তাহলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে। বিনা দোষে আমার স্বামী আজ কারাগারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনো আয় উপার্জনের মাধ্যম নেই। সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিটাই আজ কারাগারে। ফলে অসুস্থ শাশুড়ি আর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে তার সহকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা বাজারও করে দিয়েছে। কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ সোমবার যশোর আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। কিন্তু তাঁকে আজ আদালতে আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ সময়ও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। বর্তমানে তিনি এখন যশোর কারাগারে।
সর্বশেষ পহেলা ডিসেম্বর কারাগারে আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণীর সঙ্গে। সেই দিন আমিনুর তার স্ত্রীকে জানায়, ‘কারাগারে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আগে থেকেই হার্টের রোগী। যশোর কারাগার থেকে হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালেই ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। খাবার, ওষুধও ঠিকমতো দিতে দেয়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে খাবার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা এখন ছোট। বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবাকে দেখতে যাবে। দেখতেও পারছে না। শিক্ষক হয়ে বিনাদোষে কারাগারে। পারিবারিকভাবেও আমরা নানা টেনশনে। এদিকে ছেলেটার সামনে পরীক্ষা। বাবার টেনশনে সে পড়ায় মন বসাতে পারছে না। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তাই আমরা আমি আশা করব, আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুর কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ঘটনায় হাইকোর্টের রুলের বিষয়ে গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি বা নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমিনুরের সহকর্মী যশোর কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন কাগজ–কলমে আছে, বাস্তবে নেই। আমিনুর যে রোগে অসুস্থ তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ওপর একজন শিক্ষককে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রাখা দেশ ও জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। আমার স্বামী হার্টের রোগী। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণী।
লাবণী বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলে থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। হার্টের রোগের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন মধু। তাঁর সন্তানেরা কাদছে এবং বাবার বাড়ি আসার অপেক্ষায় আছে।
সন্তানেরা কাদছে আর বলছে, মা, আমাদের বাবা কবে আসবে? বাবার জন্য সন্তানেরা কান্নাকাটি করছে। সন্তানের কান্না কি দেখার কেউ নেই? ’
পেশায় গৃহিণী লাবণী বলেন, তাঁর স্বামী আমিনুর রহমান যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর বর্তমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর ডান্ডাবেড়ি পরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পর অমিনুরের স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন। অসুস্থ আমিনুরকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী, মা ও দুই সন্তান নিয়ে আমিনুরের সংসার। আমিনুরের মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছর বয়সী কিশোর ছেলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাহিদা আক্তার লাবণী বলেন, ‘আমার স্বামী শিক্ষক। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেদিন আমিনুররে ধরে নিয়ে যায়; সেই দিনও তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে কোনো নাশকতা করেনি। উনি যদি নাশকতা করত, তাহলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে। বিনা দোষে আমার স্বামী আজ কারাগারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনো আয় উপার্জনের মাধ্যম নেই। সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিটাই আজ কারাগারে। ফলে অসুস্থ শাশুড়ি আর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে তার সহকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা বাজারও করে দিয়েছে। কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ সোমবার যশোর আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। কিন্তু তাঁকে আজ আদালতে আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ সময়ও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। বর্তমানে তিনি এখন যশোর কারাগারে।
সর্বশেষ পহেলা ডিসেম্বর কারাগারে আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণীর সঙ্গে। সেই দিন আমিনুর তার স্ত্রীকে জানায়, ‘কারাগারে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আগে থেকেই হার্টের রোগী। যশোর কারাগার থেকে হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালেই ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। খাবার, ওষুধও ঠিকমতো দিতে দেয়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে খাবার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা এখন ছোট। বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবাকে দেখতে যাবে। দেখতেও পারছে না। শিক্ষক হয়ে বিনাদোষে কারাগারে। পারিবারিকভাবেও আমরা নানা টেনশনে। এদিকে ছেলেটার সামনে পরীক্ষা। বাবার টেনশনে সে পড়ায় মন বসাতে পারছে না। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তাই আমরা আমি আশা করব, আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুর কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ঘটনায় হাইকোর্টের রুলের বিষয়ে গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি বা নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমিনুরের সহকর্মী যশোর কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন কাগজ–কলমে আছে, বাস্তবে নেই। আমিনুর যে রোগে অসুস্থ তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ওপর একজন শিক্ষককে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রাখা দেশ ও জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১১ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১৯ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে