মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ রেখে মৃত স্বামীর ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই নারী মনিরামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ওই নারীর নাম রুমিছা বেগম। তিনি পৌরসভার ৩ নং মনিরামপুর ওয়ার্ডের মৃত শহিদুল ইসলাম মহলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
মামলার আসামিরা হলেন, মনিরামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী, শহিদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও মেয়ে রূপালী বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম মহলদার দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে তিন বছর আগে মারা যান। এরপর চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি মনিরামপুর পৌরসভা থেকে প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী স্বাক্ষরিত শহিদুল ইসলামের একটি ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়। সেখানে মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ রাখা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই সনদ দেওয়া হয়েছে।
বাদীর ছেলে শাহাজান শাকিল বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা একাধিকবার কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরীর কাছে ওয়ারিশ সনদ আনতে গিয়েছি। তিনি সনদ দেননি। সনদ পেতে দুই বছর আগে আমরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে সনদ দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানকে চিঠি করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সনদ পাইনি।’
শাহাজান শাকিল বলেন, ‘আমার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির নামজারির জন্য কয়েক দিন আগে পৌর ভূমি অফিসে আবেদন করা হয়েছে। তখন আমরা জানতে পারি আমরা মা রুমিছা বেগমকে বাদ রেখে পৌরসভা থেকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদে আমার নামটাও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার নামের আগে মোছাম্মদ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা টের পেয়ে গত সপ্তাহে আদালতে মামলা করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি শুনেছি। ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার আগে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি রুমিছা বেগম সাত থেকে আট বছর আগে নিজে তাঁর স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। তালাকের কপি দেখে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অফিস সময়ে ফাইল দেখে এই বিষয়ে বলতে পারব।’
এদিকে কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে বাদীর ছেলে শাহাজান শাকিল বলেন, ‘২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নোটারি পাবলিক কার্যালয় যশোরে হাজির হয়ে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বাবাকে তালাক দেন মা। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য দুজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হলে তাঁরা লিখিতভাবে জানান, তালাক কার্যকর হতে গেলে নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে হতে হবে। অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মার দেওয়া তালাক ইসলামি আইন অনুযায়ী বৈধ হয়নি বলে তাঁরা লিখিত দিয়েছেন।’
শাহাজান শাকিল বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পর থেকে মাকে নিয়ে আমি বাবার ভিটায় থাকছি। সব কাগজপত্র উপস্থাপন করে পৌরসভায় ওয়ারিশ সনদ চেয়েছিলাম। তাঁরা দেয়নি। পরে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়রকে বলা হয়েছিল। সে আদেশও মানা হয়নি। এরপর মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ হয়ে গোপনে আমার মাকে বাদ রেখে জালিয়াতি করে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে মরিয়ম বেগমকে মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার বিষয়ে রুমিছা বেগমের আইনজীবী বনি আমিন বলেন, সমস্ত কাগজপত্র দেখে, গেল সপ্তাহের ৩ অক্টোবর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
যশোরের মনিরামপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ রেখে মৃত স্বামীর ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই নারী মনিরামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ওই নারীর নাম রুমিছা বেগম। তিনি পৌরসভার ৩ নং মনিরামপুর ওয়ার্ডের মৃত শহিদুল ইসলাম মহলদারের দ্বিতীয় স্ত্রী।
মামলার আসামিরা হলেন, মনিরামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী, শহিদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মরিয়ম বেগম ও মেয়ে রূপালী বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম মহলদার দুই স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে তিন বছর আগে মারা যান। এরপর চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি মনিরামপুর পৌরসভা থেকে প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী স্বাক্ষরিত শহিদুল ইসলামের একটি ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়। সেখানে মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাদ রাখা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই সনদ দেওয়া হয়েছে।
বাদীর ছেলে শাহাজান শাকিল বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা একাধিকবার কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরীর কাছে ওয়ারিশ সনদ আনতে গিয়েছি। তিনি সনদ দেননি। সনদ পেতে দুই বছর আগে আমরা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে সনদ দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানকে চিঠি করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা সনদ পাইনি।’
শাহাজান শাকিল বলেন, ‘আমার বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির নামজারির জন্য কয়েক দিন আগে পৌর ভূমি অফিসে আবেদন করা হয়েছে। তখন আমরা জানতে পারি আমরা মা রুমিছা বেগমকে বাদ রেখে পৌরসভা থেকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়েছে। সেই সনদে আমার নামটাও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার নামের আগে মোছাম্মদ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা টের পেয়ে গত সপ্তাহে আদালতে মামলা করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি শুনেছি। ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার আগে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি রুমিছা বেগম সাত থেকে আট বছর আগে নিজে তাঁর স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। তালাকের কপি দেখে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অফিস সময়ে ফাইল দেখে এই বিষয়ে বলতে পারব।’
এদিকে কাউন্সিলর বাবুলাল চৌধুরীর বক্তব্যের বিষয়ে বাদীর ছেলে শাহাজান শাকিল বলেন, ‘২০১৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি নোটারি পাবলিক কার্যালয় যশোরে হাজির হয়ে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বাবাকে তালাক দেন মা। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য দুজন আইনজীবীর শরণাপন্ন হলে তাঁরা লিখিতভাবে জানান, তালাক কার্যকর হতে গেলে নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে হতে হবে। অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মার দেওয়া তালাক ইসলামি আইন অনুযায়ী বৈধ হয়নি বলে তাঁরা লিখিত দিয়েছেন।’
শাহাজান শাকিল বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর পর থেকে মাকে নিয়ে আমি বাবার ভিটায় থাকছি। সব কাগজপত্র উপস্থাপন করে পৌরসভায় ওয়ারিশ সনদ চেয়েছিলাম। তাঁরা দেয়নি। পরে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে ওয়ারিশ সনদ দেওয়ার জন্য পৌরসভার মেয়রকে বলা হয়েছিল। সে আদেশও মানা হয়নি। এরপর মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ হয়ে গোপনে আমার মাকে বাদ রেখে জালিয়াতি করে ওয়ারিশ সনদ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে মরিয়ম বেগমকে মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার বিষয়ে রুমিছা বেগমের আইনজীবী বনি আমিন বলেন, সমস্ত কাগজপত্র দেখে, গেল সপ্তাহের ৩ অক্টোবর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
রাজধানীর আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারের বাসায় মাকে বেঁধে রেখে টাকা, গয়নাসহ শিশু সন্তানকে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। ৮ মাসের জাইফাকে অপহরণ ও মূল্যবান সম্পদ চুরি করা ছিল উদ্দেশ্য। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হননি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাবলেট...
৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যৌথবাহিনী রাতভর অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, ককটেল, দেশীয় অস্ত্রসহ যুবদল, ছাত্রদল ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে আজ শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত উপজেলার পিয়ারপুর ও জগন্নাথপুর গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়।
১৪ মিনিট আগেবগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে। উম্মে সালমার ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেছিল র্যাব। তবে পুলিশ বলছে, ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা এ হত্যা ঘটিয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগেনিহত ফয়সাল খান শুভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর এলাকার মো. সেলিম খানের ছেলে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করে নগরীর কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ রোডে বোন জামাইয়ের বাসায় থেকে চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন।
৪৩ মিনিট আগে