মেহেরপুর প্রতিনিধি
সরকারি দপ্তরে মানুষ আসছেন প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে। চারপাশে কিচকিচ শব্দ। আশপাশে তাকালে চোখে পড়ছে গাছের ডালে উল্টো করে ঝুলে আছে অনেক বাদুড়। রাত হলেই এসব বাদুড় বেরিয়ে পড়ছে খাবারের সন্ধানে। মেহেরপুর সদর থানা প্রাঙ্গণে প্রতিদিনের এমন দৃশ্য আনন্দ দেয় অনেককে।
থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণত ভবনের ফাটল, গাছের খোঁড়ল, দেয়াল, পাথরের ফোকর, গুহা-গহ্বর, পোড়ো-দালান, পুলের তল, সড়কের কালভার্ট, বড় বড় গাছ, পুরোনো কুয়ায় বাদুড়ের আস্তানা থাকে। কিন্তু সদর থানা চত্বরের ভৈরব নদীর পাড়ের বিভিন্ন গাছে দিনের বেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা মেলে অসংখ্য বাদুড়ের। প্রথম দেখায় কেউ এসব বাদুড় দেখে ভয় পেতে পারেন। কিন্তু থানার এসব গাছে বছরের পর বছর রয়ে গেছে তারা।
বিকেল হলেই থানা প্রাঙ্গণে দেখা মেলে বাদুড়ের ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য। এর পাশাপাশি উপভোগ করা যায় কিচকিচ শব্দ, যা মন কাড়ে অনেক প্রকৃতিপ্রেমীর। থানার ভেতরে বেশ কিছু প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। এসব ফলই তাদের প্রধান খাবার বলে জানায় থানা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অনেক বছর ধরে থানার একটি বড় বটগাছে বাসা বাঁধে অসংখ্য বাদুড়। কয়েক বছর আগে গাছটি ভেঙে পড়ে। এপর থেকেই আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নেয় তারা। গাছ ভেঙে গেলেও স্থান বদলায়নি। তবে সেখানে বাদুড়ের সংখ্যা কমেছে। থানা চত্বর ছাড়াও মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গোপালপুর গ্রামের কয়েকটি গাছে বাদুড় দেখা যায়।
থানার পাশেই খানপাড়ার ষাটোর্ধ্ব সেন্টু খলিফা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমরা দেখছি বাদুড় এখানে আছে। আগে একটি বটগাছে থাকত। এখন থানা ও নদীপাড়ের বিভিন্ন গাছে ঝুলে থাকে। বিকেলে অনেক মানুষ নদীপাড়ে হাঁটতে এসে বাদুড় দেখে আনন্দ উপভোগ করেন। বিশেষ করে বিকেলে ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ায়। তখন আকাশের দিকে তাকালে দারুণ লাগে।’
স্থানীয় কলেজপড়ুয়া রোজি খাতুন বলেন, ‘প্রায় বিকেলে বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। বাদুড়ের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য ও কিচকিচ শব্দ যে কারও মন কাড়ে। এখানে এলেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।’ বাদুড়গুলো যাতে এখান থেকে চলে না যায়, সেই উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।
পরিবেশবিদ এনামূল আযিম বলেন, ‘বাদুড়ের খাদ্য হলো ফলমূল, পতঙ্গ, মাকড়সা, মাছ, ব্যাঙ, ছোট সরীসৃপ, পাখি প্রভৃতি। এরা আবাসিক প্রাণী। বাদুড়ের বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুরে কলাবাদুড়ের জাতটি এখন আর দেখা মেলে না। তবে বড় বাদুড় নামের এই জাত এখনো জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা মেলে। এরা দিনের বেলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। সন্ধ্যার পরই খাবারের সন্ধানে বের হয়। সকালে আবার নীড়ে ফিরে আসে।’
বাদুড়ের গর্ভধারণকাল তিন থেকে পাঁচ মাস বলে জানান পরিবেশবিদ এনামূল আযিম। তিনি বলেন, ‘শীতের শেষ বা গ্রীষ্মের শুরুতে বাচ্চা দেয় বাদুড়। মা বাদুড়েরা একবারই বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চা সাধারণত লোমবিহীন হয়ে জন্মায়। সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চারা প্রথম দুই থেকে তিন মাস মায়ের শরীরে লেগে থাকে। বাদুড়ের দৃষ্টিশক্তি বেশ ক্ষীণ। চলার সময় শ্রবণশক্তির ওপর নির্ভর করতে হয় বাদুড়ের।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, ‘বাদুড়ের প্রজনন ও খাবার সংগ্রহের জন্য থানা চত্বরের গাছগুলো কাটা হয়নি। সেখানে আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপেগাছসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে, যেগুলো বাদুড়ের খাবার হিসেবে রাখা হয়। গাছ থেকে কোনো ফল সংগ্রহ করা হয় না। এমনকি ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে বড়দের কেউ যাতে বাদুড়গুলোকে বিরক্ত না করে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়। থানার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের চাওয়া বাদুড়ের আবাসস্থল নষ্ট না হোক।’
সরকারি দপ্তরে মানুষ আসছেন প্রয়োজনীয় কাজ মেটাতে। চারপাশে কিচকিচ শব্দ। আশপাশে তাকালে চোখে পড়ছে গাছের ডালে উল্টো করে ঝুলে আছে অনেক বাদুড়। রাত হলেই এসব বাদুড় বেরিয়ে পড়ছে খাবারের সন্ধানে। মেহেরপুর সদর থানা প্রাঙ্গণে প্রতিদিনের এমন দৃশ্য আনন্দ দেয় অনেককে।
থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, সাধারণত ভবনের ফাটল, গাছের খোঁড়ল, দেয়াল, পাথরের ফোকর, গুহা-গহ্বর, পোড়ো-দালান, পুলের তল, সড়কের কালভার্ট, বড় বড় গাছ, পুরোনো কুয়ায় বাদুড়ের আস্তানা থাকে। কিন্তু সদর থানা চত্বরের ভৈরব নদীর পাড়ের বিভিন্ন গাছে দিনের বেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা মেলে অসংখ্য বাদুড়ের। প্রথম দেখায় কেউ এসব বাদুড় দেখে ভয় পেতে পারেন। কিন্তু থানার এসব গাছে বছরের পর বছর রয়ে গেছে তারা।
বিকেল হলেই থানা প্রাঙ্গণে দেখা মেলে বাদুড়ের ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য। এর পাশাপাশি উপভোগ করা যায় কিচকিচ শব্দ, যা মন কাড়ে অনেক প্রকৃতিপ্রেমীর। থানার ভেতরে বেশ কিছু প্রজাতির ফলের গাছ রয়েছে। এসব ফলই তাদের প্রধান খাবার বলে জানায় থানা কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অনেক বছর ধরে থানার একটি বড় বটগাছে বাসা বাঁধে অসংখ্য বাদুড়। কয়েক বছর আগে গাছটি ভেঙে পড়ে। এপর থেকেই আমগাছসহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নেয় তারা। গাছ ভেঙে গেলেও স্থান বদলায়নি। তবে সেখানে বাদুড়ের সংখ্যা কমেছে। থানা চত্বর ছাড়াও মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গোপালপুর গ্রামের কয়েকটি গাছে বাদুড় দেখা যায়।
থানার পাশেই খানপাড়ার ষাটোর্ধ্ব সেন্টু খলিফা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমরা দেখছি বাদুড় এখানে আছে। আগে একটি বটগাছে থাকত। এখন থানা ও নদীপাড়ের বিভিন্ন গাছে ঝুলে থাকে। বিকেলে অনেক মানুষ নদীপাড়ে হাঁটতে এসে বাদুড় দেখে আনন্দ উপভোগ করেন। বিশেষ করে বিকেলে ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ায়। তখন আকাশের দিকে তাকালে দারুণ লাগে।’
স্থানীয় কলেজপড়ুয়া রোজি খাতুন বলেন, ‘প্রায় বিকেলে বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে ঘুরতে আসি। বাদুড়ের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য ও কিচকিচ শব্দ যে কারও মন কাড়ে। এখানে এলেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।’ বাদুড়গুলো যাতে এখান থেকে চলে না যায়, সেই উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান তিনি।
পরিবেশবিদ এনামূল আযিম বলেন, ‘বাদুড়ের খাদ্য হলো ফলমূল, পতঙ্গ, মাকড়সা, মাছ, ব্যাঙ, ছোট সরীসৃপ, পাখি প্রভৃতি। এরা আবাসিক প্রাণী। বাদুড়ের বেশ কয়েকটি জাত রয়েছে। এর মধ্যে মেহেরপুরে কলাবাদুড়ের জাতটি এখন আর দেখা মেলে না। তবে বড় বাদুড় নামের এই জাত এখনো জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা মেলে। এরা দিনের বেলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। সন্ধ্যার পরই খাবারের সন্ধানে বের হয়। সকালে আবার নীড়ে ফিরে আসে।’
বাদুড়ের গর্ভধারণকাল তিন থেকে পাঁচ মাস বলে জানান পরিবেশবিদ এনামূল আযিম। তিনি বলেন, ‘শীতের শেষ বা গ্রীষ্মের শুরুতে বাচ্চা দেয় বাদুড়। মা বাদুড়েরা একবারই বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চা সাধারণত লোমবিহীন হয়ে জন্মায়। সাবালক না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চারা প্রথম দুই থেকে তিন মাস মায়ের শরীরে লেগে থাকে। বাদুড়ের দৃষ্টিশক্তি বেশ ক্ষীণ। চলার সময় শ্রবণশক্তির ওপর নির্ভর করতে হয় বাদুড়ের।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, ‘বাদুড়ের প্রজনন ও খাবার সংগ্রহের জন্য থানা চত্বরের গাছগুলো কাটা হয়নি। সেখানে আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপেগাছসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে, যেগুলো বাদুড়ের খাবার হিসেবে রাখা হয়। গাছ থেকে কোনো ফল সংগ্রহ করা হয় না। এমনকি ছোট ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে বড়দের কেউ যাতে বাদুড়গুলোকে বিরক্ত না করে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখা হয়। থানার প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের চাওয়া বাদুড়ের আবাসস্থল নষ্ট না হোক।’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
২৯ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩০ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
৩৭ মিনিট আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে