মুজিবুর রহমান, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা)
মাঠের পর মাঠ ধানখেত গ্রামবাংলার অতি পরিচিত এক দৃশ্য। স্বাভাবিকভাবেই কৃষকের বাড়িতে ওঠে নতুন ধানও। কিন্তু খুব কম বাড়িতেই এখন আছে ধান মজুত করে রাখার বাঁশ-বেত ও কাদা দিয়ে তৈরি গোলা। সারা দেশের মতো সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার চিত্রও একই। অথচ একসময় গ্রামবাংলার মানুষের সমৃদ্ধির প্রতীক ছিল এই ধানের গোলা।
পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহ মোড়ল (৪০) বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে ধানের গোলা শুধু স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেই আছে। গোলা থাকলেও ধান গোলায় রাখার সময় হয় না। ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেনা শোধের তাগিদে বাজারে বিক্রি করা হয়। একসময় সমাজের নেতৃত্ব নির্ভর করত কার কয়টি ধানের গোলা আছে সেই হিসাব কষে। কন্যা পাত্রস্থ করতেও বরপক্ষের বাড়ি থেকে ধানের গোলার খবর নিত কনেপক্ষের লোকজন, যা এখন শুধু কল্পনায় ভাবা যায়।’
গ্রামের বয়স্কদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে বাঁশ, বেত ও কঞ্চি দিয়ে প্রথমে গোল আকৃতির কাঠামো তৈরি করা হতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গ অথবা আয়তক্ষেত্র আকারে গোলা তৈরি করা হতো। এরপর এর ভেতরে-বাইরে মাটির আস্তরণ লাগানো হতো। গোলায় শুকানো ধানের চাল হতো শক্ত। মাটি থেকে দুই ফুট উঁচুতে বসানো হতো এমন গোলা।
কিন্তু সাম্প্রতিক কালে পাল্টে গেছে গ্রামের চিত্র। ধান আবাদের উপকরণ কিনতেই কৃষকের বিস্তর টাকা ফুরায়। বিক্রির পর কৃষকের ধান চলে যাচ্ছে আড়ত ব্যবসায়ীর দখলে। ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে পাকা ইমারত গুদামঘরে মজুত করে রাখা হচ্ছে হাজার হাজার টন ধান-চাল। কৃষক অল্প যে ধান নিজের পরিবারের জন্য রাখেন, গোলার পরিবর্তে তার জায়গা হয় বাঁশের তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির ডোলে।
আবার অনেক ক্ষুদ্র কৃষক বস্তা ও ব্যারেল ভর্তি করে রাখছে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধান-চাল। ফলে ধানের গোলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে এলাকা থেকে। আগামী প্রজন্মের কাছে ধানের গোলা কেবল একটি স্মৃতিতে পরিণত হবে।
পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৮৫ বছরের বৃদ্ধ আনছার আলী মোড়ল বলেন, ‘এই ধান রাখার গোলাঘর আমার দাদার আমলে তৈরি করা হয়েছিল। আমার বাবাও এসব ব্যবহার করে গেছেন। বাপ-দাদার আমলে আমাদের প্রায় ৫০ বিঘা জমি ছিল, বর্তমানে ভাগ-বাঁটোয়ারা করতে করতে জমির পরিমাণ ১০-১২ বিঘার মধ্যে এসেছে। জমির ধান নিরাপদে রাখতে গোলা বেশ উপকার করে।’
বালিয়াদহ গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মিয়াজান মোল্লা বলেন, ‘আগে অনেক ধান হতো। এখন সেই পরিমাণ হয় না। এখন গোলায় ধান নেই, ইরি ধান উঠলে আবার গোলা ভরে যাবে। গোলায় মজুত রাখলে ধান ভালো থাকে। বেশি দামে বিক্রিও করা যায়।’
আমতলাডাঙ্গা গ্রামের শাহীনুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘এখন আর গোলাঘরের তেমন প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে কাটার সঙ্গে সঙ্গেই পাইকাররা ধান কিনে নিয়ে যান। শুধু নিজেদের খাওয়ার জন্য যে পরিমাণ চালের প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বুঝে ধান বাড়িতে রাখা হয়। গোলায় ধান রাখলে নষ্ট কম হয়, ইঁদুরে নষ্ট করে না। তবে আমাদের ধানের গোলাটি পরিবারের স্মৃতি বহন করে। তাই এটি না ভেঙে এভাবেই রেখে দিয়েছি।’
মাঠের পর মাঠ ধানখেত গ্রামবাংলার অতি পরিচিত এক দৃশ্য। স্বাভাবিকভাবেই কৃষকের বাড়িতে ওঠে নতুন ধানও। কিন্তু খুব কম বাড়িতেই এখন আছে ধান মজুত করে রাখার বাঁশ-বেত ও কাদা দিয়ে তৈরি গোলা। সারা দেশের মতো সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার চিত্রও একই। অথচ একসময় গ্রামবাংলার মানুষের সমৃদ্ধির প্রতীক ছিল এই ধানের গোলা।
পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহ মোড়ল (৪০) বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে ধানের গোলা শুধু স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেই আছে। গোলা থাকলেও ধান গোলায় রাখার সময় হয় না। ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দেনা শোধের তাগিদে বাজারে বিক্রি করা হয়। একসময় সমাজের নেতৃত্ব নির্ভর করত কার কয়টি ধানের গোলা আছে সেই হিসাব কষে। কন্যা পাত্রস্থ করতেও বরপক্ষের বাড়ি থেকে ধানের গোলার খবর নিত কনেপক্ষের লোকজন, যা এখন শুধু কল্পনায় ভাবা যায়।’
গ্রামের বয়স্কদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে বাঁশ, বেত ও কঞ্চি দিয়ে প্রথমে গোল আকৃতির কাঠামো তৈরি করা হতো। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গ অথবা আয়তক্ষেত্র আকারে গোলা তৈরি করা হতো। এরপর এর ভেতরে-বাইরে মাটির আস্তরণ লাগানো হতো। গোলায় শুকানো ধানের চাল হতো শক্ত। মাটি থেকে দুই ফুট উঁচুতে বসানো হতো এমন গোলা।
কিন্তু সাম্প্রতিক কালে পাল্টে গেছে গ্রামের চিত্র। ধান আবাদের উপকরণ কিনতেই কৃষকের বিস্তর টাকা ফুরায়। বিক্রির পর কৃষকের ধান চলে যাচ্ছে আড়ত ব্যবসায়ীর দখলে। ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে পাকা ইমারত গুদামঘরে মজুত করে রাখা হচ্ছে হাজার হাজার টন ধান-চাল। কৃষক অল্প যে ধান নিজের পরিবারের জন্য রাখেন, গোলার পরিবর্তে তার জায়গা হয় বাঁশের তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির ডোলে।
আবার অনেক ক্ষুদ্র কৃষক বস্তা ও ব্যারেল ভর্তি করে রাখছে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধান-চাল। ফলে ধানের গোলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে এলাকা থেকে। আগামী প্রজন্মের কাছে ধানের গোলা কেবল একটি স্মৃতিতে পরিণত হবে।
পাটকেলঘাটার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ৮৫ বছরের বৃদ্ধ আনছার আলী মোড়ল বলেন, ‘এই ধান রাখার গোলাঘর আমার দাদার আমলে তৈরি করা হয়েছিল। আমার বাবাও এসব ব্যবহার করে গেছেন। বাপ-দাদার আমলে আমাদের প্রায় ৫০ বিঘা জমি ছিল, বর্তমানে ভাগ-বাঁটোয়ারা করতে করতে জমির পরিমাণ ১০-১২ বিঘার মধ্যে এসেছে। জমির ধান নিরাপদে রাখতে গোলা বেশ উপকার করে।’
বালিয়াদহ গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধ মিয়াজান মোল্লা বলেন, ‘আগে অনেক ধান হতো। এখন সেই পরিমাণ হয় না। এখন গোলায় ধান নেই, ইরি ধান উঠলে আবার গোলা ভরে যাবে। গোলায় মজুত রাখলে ধান ভালো থাকে। বেশি দামে বিক্রিও করা যায়।’
আমতলাডাঙ্গা গ্রামের শাহীনুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘এখন আর গোলাঘরের তেমন প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে কাটার সঙ্গে সঙ্গেই পাইকাররা ধান কিনে নিয়ে যান। শুধু নিজেদের খাওয়ার জন্য যে পরিমাণ চালের প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বুঝে ধান বাড়িতে রাখা হয়। গোলায় ধান রাখলে নষ্ট কম হয়, ইঁদুরে নষ্ট করে না। তবে আমাদের ধানের গোলাটি পরিবারের স্মৃতি বহন করে। তাই এটি না ভেঙে এভাবেই রেখে দিয়েছি।’
জামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১৭ মিনিট আগেবেতন পেয়ে কারখানার এক শ্রমিক আলমগীর বলেন, আগামী রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে বেতন পেয়ে গেছি। আমাদের মালিকপক্ষ কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। আমরা সবাই খুশি।
৩০ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানার হাজতখানার ভেতরে আপসের শর্তে বাদী ও আসামির টাকা লেনদেনের ভিডিও নিয়ে মহানগর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ ও বদলি এবং ডিউটি অফিসারকে শোকজ করা হয়েছ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর হাজারীবাগের ট্যানারিগুলোকে সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্পনগরে স্থানান্তর করা হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে। কিন্তু ট্যানারির দূষণ এখনো রয়ে গেছে হাজারীবাগে। ওই এলাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উৎকট গন্ধ আর খালে প্রবাহিত ট্যানারি বর্জ্য জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
১ ঘণ্টা আগে