টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
‘আন্দোলন তো থামল। আমার মেয়ে তো আইল না। গুলি লাগার পর আমার মা (নাফিসা) ফোনে আমারে বলছে, ‘‘বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইয়ো, আমি মইরা যামু।”’
কথাগুলো বলছিলেন টঙ্গীর এরশাদ নগর বস্তি এলাকার আট নম্বর ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। মেয়েকে হারিয়ে বাবার আহাজারি যেন থামছেই না।
নাফিসা হোসেন মারওয়া (১৭) টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা আবুল হোসেন পেশায় চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে বাবা আবুল হোসেন থাকেন টঙ্গীর এরশাদ নগর বস্তি এলাকার আট নম্বর ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।
এরই মধ্যে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। নাফিসা রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনে যোগ দেয়। বাবা বিষয়টি জানতে পেরে নাফিসাকে নিষেধ করেন। ১ আগস্ট নাফিসা চলে যায় ঢাকার সাভারের বক্তারপুর এলাকার মামার বাড়িতে। সেখান থেকে ফের যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।
৫ জুলাই বেলা দুইটার দিকে গুলিবিদ্ধ হয় নাফিসা। অন্য শিক্ষার্থীরা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে আসেন টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায়। রাতেই লাশ দাফন করা হয় নগর এলাকার গোরস্থানে।
নাফিসার মৃত্যুর পর বাবা আবুল হোসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকেন কবরের পাশে। মেয়ের প্রিয় জবা ফুল এনে জড়ো করছেন কবরের পাশেই। কখনো কখনো চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন।
বাবা আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা মেয়ে। নাফিসা বড়। আমি গরিব। কষ্ট করে মেয়েদের লেখাপড়া চালাইতাম। ওদের মা বিদেশে গেছে। আমার কোনো জমি নাই। দুইটা মেয়েই আমার সম্বল ছিল। আন্দোলন তো থামল। আমার মেয়ে তো আইল না। গুলি লাগার পর আমার মা (নাফিসা) ফোনে আমারে বলছে, ‘‘বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইয়ো, আমি মইরা যামু।”’
‘আন্দোলন তো থামল। আমার মেয়ে তো আইল না। গুলি লাগার পর আমার মা (নাফিসা) ফোনে আমারে বলছে, ‘‘বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইয়ো, আমি মইরা যামু।”’
কথাগুলো বলছিলেন টঙ্গীর এরশাদ নগর বস্তি এলাকার আট নম্বর ব্লকের বাসিন্দা আবুল হোসেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী বড় মেয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। মেয়েকে হারিয়ে বাবার আহাজারি যেন থামছেই না।
নাফিসা হোসেন মারওয়া (১৭) টঙ্গীর শাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা আবুল হোসেন পেশায় চা দোকানি। নাফিসা ও তার ছোট বোন রাইসাকে নিয়ে বাবা আবুল হোসেন থাকেন টঙ্গীর এরশাদ নগর বস্তি এলাকার আট নম্বর ব্লকে একটি ভাড়া বাড়িতে। পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে নাফিসার মা কুলসুম বিদেশে পাড়ি জমান কয়েক বছর আগে।
এরই মধ্যে শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। নাফিসা রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনে যোগ দেয়। বাবা বিষয়টি জানতে পেরে নাফিসাকে নিষেধ করেন। ১ আগস্ট নাফিসা চলে যায় ঢাকার সাভারের বক্তারপুর এলাকার মামার বাড়িতে। সেখান থেকে ফের যোগ দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে।
৫ জুলাই বেলা দুইটার দিকে গুলিবিদ্ধ হয় নাফিসা। অন্য শিক্ষার্থীরা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বাবা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে আসেন টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায়। রাতেই লাশ দাফন করা হয় নগর এলাকার গোরস্থানে।
নাফিসার মৃত্যুর পর বাবা আবুল হোসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে থাকেন কবরের পাশে। মেয়ের প্রিয় জবা ফুল এনে জড়ো করছেন কবরের পাশেই। কখনো কখনো চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন।
বাবা আবুল হোসেনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, ‘আমার দুইটা মেয়ে। নাফিসা বড়। আমি গরিব। কষ্ট করে মেয়েদের লেখাপড়া চালাইতাম। ওদের মা বিদেশে গেছে। আমার কোনো জমি নাই। দুইটা মেয়েই আমার সম্বল ছিল। আন্দোলন তো থামল। আমার মেয়ে তো আইল না। গুলি লাগার পর আমার মা (নাফিসা) ফোনে আমারে বলছে, ‘‘বাবা আমার লাশটা নিয়া যাইয়ো, আমি মইরা যামু।”’
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
২ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
২ ঘণ্টা আগে