নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মালিবাগে জে এস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে দুই চিকিৎসককে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুই চিকিৎসক হলেন জে এস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদির ও মাহাবুব মোরশেদ।
বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতিরঝিল থানার এসআই রুহুল আমিন প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অপর দিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। তবে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুর নাম আহনাফ তাহমিদ (১০)। সে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা মোহাম্মদ ফখরুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফ তামহিদকে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানার জে এস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। সুন্নতে খতনা করতে কোনো সমস্যা নেই।
পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের সুন্নতে খতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামিরা জানান, তাঁদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের পিতা-মাতা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তাঁরা জানান আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা পার হওয়ার পর আহনাফের পিতা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁকে নিষেধ করে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।
পরবর্তী সময় সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, তাঁর ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি।
ছেলের এই অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা কর্ণপাত না করে নিজেরাই তার বুকে চাপাচাপি, হাত-পা মালিশ করতে থাকেন। তখন জোর করে তাকে ওটি রুম থেকে বের করে দেন তাঁরা।
দুই ঘণ্টা পার হলেও তাঁরা ছেলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে আবার জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে ফখরুল জানতে পারেন তার ছেলে আহনাফ তামহিদ মারা গেছে।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সুন্নতে খতনা করতে করতে গিয়ে আহনাফ মারা যায়। এতে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় পাওয়া যায়। কেন মারা গেল কিভাবে মারা গেল তা উদ্ঘাটন করার জন্য এবং চিকিৎসকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ।
রাজধানীর মালিবাগে জে এস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করাতে গিয়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে দুই চিকিৎসককে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুই চিকিৎসক হলেন জে এস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডা. এস এম মুক্তাদির ও মাহাবুব মোরশেদ।
বিকেলে তাঁদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতিরঝিল থানার এসআই রুহুল আমিন প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অপর দিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আসামিদের আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। তবে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে খতনা করতে গিয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুর নাম আহনাফ তাহমিদ (১০)। সে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় শিশুর বাবা মোহাম্মদ ফখরুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আহনাফ তামহিদকে সুন্নতে খতনা করানোর জন্য তার বাবা ফখরুল আলম হাতিরঝিল থানার জে এস হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরের কাছে নিয়ে যান। তিনি ওই সময় কিছু টেস্ট লিখে দেন। ওই হাসপাতালেই টেস্টগুলো করে ছেলেকে নিয়ে বাসায় চলে যান। রাতে চিকিৎসক ফোন করে জানান, রিপোর্টগুলো ভালো আছে। সুন্নতে খতনা করতে কোনো সমস্যা নেই।
পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ৮টায় ছেলের সুন্নতে খতনা করানোর জন্য স্ত্রী খায়রুন নাহারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। পরে ছেলেকে অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাওয়া হয়।
আসামিরা জানান, তাঁদের ২০-২৫ মিনিট সময় লাগবে। তখন আহনাফের পিতা-মাতা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর ওটি রুমের দরজায় নক করলে তাঁরা জানান আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে। এভাবে এক ঘণ্টা পার হওয়ার পর আহনাফের পিতা ফখরুল ওটি রুমে প্রবেশ করতে চাইলে তাঁকে নিষেধ করে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলা হয়।
পরবর্তী সময় সন্দেহ হলে ফখরুল জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করেন। সেখানে দেখতে পান, তাঁর ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার বুকে হাত দিয়ে চাপাচাপি করছে এবং নাকে ও মুখে নল দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় দেখেন। তখন চিকিৎসক এস এম মুক্তাদিরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক উত্তর দেননি।
ছেলের এই অবস্থা দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁরা কর্ণপাত না করে নিজেরাই তার বুকে চাপাচাপি, হাত-পা মালিশ করতে থাকেন। তখন জোর করে তাকে ওটি রুম থেকে বের করে দেন তাঁরা।
দুই ঘণ্টা পার হলেও তাঁরা ছেলের বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দিয়ে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে আবার জোর করে ওটি রুমে প্রবেশ করে ফখরুল জানতে পারেন তার ছেলে আহনাফ তামহিদ মারা গেছে।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সুন্নতে খতনা করতে করতে গিয়ে আহনাফ মারা যায়। এতে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলার পরিচয় পাওয়া যায়। কেন মারা গেল কিভাবে মারা গেল তা উদ্ঘাটন করার জন্য এবং চিকিৎসকদের যোগ্যতা ও দক্ষতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
১ ঘণ্টা আগে