নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে বারবার বিভিন্ন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে ভবন মালিক ও সংশ্লিষ্ট আইন না মানার প্রবণতাকেই দায়ী করেছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মদ। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমাদের সবকিছুর আইন আছে কিন্তু সেটি মানুষ মানছে না।’
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নিমতলী থেকে বেইলি রোড: অগ্নিকাণ্ডের বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি, বিলস, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় এসব অগ্নিকাণ্ডের কারণ, আগুন লাগার পরের অবস্থা ও তদারকি সংস্থাগুলোর করণীয় এবং সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা করেন বক্তারা।
ভবন মালিক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কেউই আইন মানে না মন্তব্য করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মদ বলেন, ‘চুড়িহাট্টা থেকে বেইলি রোড পর্যন্ত যতগুলো অগ্নিকাণ্ড হয়েছে আমরাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নিয়ে সেগুলোর তদন্ত করেছি। তদন্তের উদ্দেশ্য ছিল এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা। ঢাকা শহরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমাদের সবকিছুর আইন আছে কিন্তু সেটি মানুষ মানছে না।’
এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, ‘এই নগরীর সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্বের কারণ কেন্দ্রীভূত সরকার ব্যবস্থা ও পুঞ্জীভূত সম্পদ। ফলে বিশৃঙ্খলভাবে পুরো নগরী অতি জনঘনত্বের নগরীতে পরিণত হয়েছে। এমন ঘনবসতিপূর্ণ নগরে ফায়ার ব্রিগেডে আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছে। অথচ এই সংস্থা ইন্সপেক্টরদের মাত্র ৪৬ শতাংশ পদায়ন আছে। বাদ–বাকি পদায়নের জন্য আবেদন করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বছরের পর বছর সেটি ঝুলিয়ে রেখেছে। মাত্র ৪৬ শতাংশ মানুষ নিয়ে পুরো নগরী কি সুরক্ষিত হবে?’
এসব ঘটনার আগে ও পরে আদালত বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়। তবে এসব নির্দেশনা কেউই মানে না বলে আক্ষেপ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘দোষীরা আদালতের নির্দেশ কোনোভাবেই মেনে চলে না। আদালত বারবার বলেছে বেইলি রোডের আগে যে অগ্নিকাণ্ডগুলো হয়েছে তখন সরকার যে কমিটি গঠন করেছে সেই রিপোর্টগুলো আদালতের সামনে জমা দেওয়া হয়নি। যখন চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তখন অনেকগুলো ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা দিয়েছিল। চুড়িহাট্টার একটা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আজ পর্যন্ত সেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। কিন্তু সেই ব্যাংকগুলোর অফিশিয়াল সাইটে উল্লেখ করা আছে তারা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দিয়েছে।’
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে ঢাকা সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন মহকুমা ছিল তখন যে পরিমাণ জনবল ছিল, আমরা এখনো সেই জনবল নিয়ে চলতেছি। যার কারণে আমাদের জনবলের অনেক অভাব রয়েছে। যখন কোনো ভবনে আগুন লাগে তখন উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে আমাদের কাজ করতে অসুবিধা হয়। ঢাকায় ওয়াসার যতগুলো পাম্প হাউস আছে, সেগুলোতে যদি একটি অথবা দুটি করে ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়, তাহলে আমদের জন্য আগুন নেভানোর কাজ অনেক সহজ হয়।’
নিমতলী থেকে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের মতো যত ঘটনা আছে সেগুলোর পরে অবহেলাজনিত মৃত্যুর কারণে মামলা করা হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা না করে বেআইনি কার্যকলাপের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস (ব্লাস্ট)–এর আইন বিষয়ক পরিচালক মো. বরকত আলী। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলোর করা মামলায় বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন বেলা ও ব্লাস্টের আইনজীবীরা। আরও বক্তব্য দেন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
রাজধানীতে বারবার বিভিন্ন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ হিসেবে ভবন মালিক ও সংশ্লিষ্ট আইন না মানার প্রবণতাকেই দায়ী করেছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মদ। তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমাদের সবকিছুর আইন আছে কিন্তু সেটি মানুষ মানছে না।’
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নিমতলী থেকে বেইলি রোড: অগ্নিকাণ্ডের বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি, বিলস, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি যৌথভাবে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মতবিনিময় সভায় এসব অগ্নিকাণ্ডের কারণ, আগুন লাগার পরের অবস্থা ও তদারকি সংস্থাগুলোর করণীয় এবং সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা করেন বক্তারা।
ভবন মালিক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট কেউই আইন মানে না মন্তব্য করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মদ বলেন, ‘চুড়িহাট্টা থেকে বেইলি রোড পর্যন্ত যতগুলো অগ্নিকাণ্ড হয়েছে আমরাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নিয়ে সেগুলোর তদন্ত করেছি। তদন্তের উদ্দেশ্য ছিল এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা। ঢাকা শহরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। আমাদের সবকিছুর আইন আছে কিন্তু সেটি মানুষ মানছে না।’
এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করেন নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, ‘এই নগরীর সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্বের কারণ কেন্দ্রীভূত সরকার ব্যবস্থা ও পুঞ্জীভূত সম্পদ। ফলে বিশৃঙ্খলভাবে পুরো নগরী অতি জনঘনত্বের নগরীতে পরিণত হয়েছে। এমন ঘনবসতিপূর্ণ নগরে ফায়ার ব্রিগেডে আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়েছে। অথচ এই সংস্থা ইন্সপেক্টরদের মাত্র ৪৬ শতাংশ পদায়ন আছে। বাদ–বাকি পদায়নের জন্য আবেদন করলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বছরের পর বছর সেটি ঝুলিয়ে রেখেছে। মাত্র ৪৬ শতাংশ মানুষ নিয়ে পুরো নগরী কি সুরক্ষিত হবে?’
এসব ঘটনার আগে ও পরে আদালত বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়। তবে এসব নির্দেশনা কেউই মানে না বলে আক্ষেপ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘দোষীরা আদালতের নির্দেশ কোনোভাবেই মেনে চলে না। আদালত বারবার বলেছে বেইলি রোডের আগে যে অগ্নিকাণ্ডগুলো হয়েছে তখন সরকার যে কমিটি গঠন করেছে সেই রিপোর্টগুলো আদালতের সামনে জমা দেওয়া হয়নি। যখন চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে তখন অনেকগুলো ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা জমা দিয়েছিল। চুড়িহাট্টার একটা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার আজ পর্যন্ত সেই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি। কিন্তু সেই ব্যাংকগুলোর অফিশিয়াল সাইটে উল্লেখ করা আছে তারা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা জমা দিয়েছে।’
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে ঢাকা সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে যখন মহকুমা ছিল তখন যে পরিমাণ জনবল ছিল, আমরা এখনো সেই জনবল নিয়ে চলতেছি। যার কারণে আমাদের জনবলের অনেক অভাব রয়েছে। যখন কোনো ভবনে আগুন লাগে তখন উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে আমাদের কাজ করতে অসুবিধা হয়। ঢাকায় ওয়াসার যতগুলো পাম্প হাউস আছে, সেগুলোতে যদি একটি অথবা দুটি করে ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়, তাহলে আমদের জন্য আগুন নেভানোর কাজ অনেক সহজ হয়।’
নিমতলী থেকে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের মতো যত ঘটনা আছে সেগুলোর পরে অবহেলাজনিত মৃত্যুর কারণে মামলা করা হয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা না করে বেআইনি কার্যকলাপের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস (ব্লাস্ট)–এর আইন বিষয়ক পরিচালক মো. বরকত আলী। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে অধিকারভিত্তিক সংগঠনগুলোর করা মামলায় বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন বেলা ও ব্লাস্টের আইনজীবীরা। আরও বক্তব্য দেন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা প্রমুখ।
রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কের পাশে ছুরিকাঘাতে শাহদাত হোসেন আকবর ওরফে শান্ত (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারীবাগ পার্কের পাশে মাদ্রাসার গলিতে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির সামনে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনড়াইলের কালিয়ায় চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকির পর ধানখেত থেকে এক শিশুর হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নড়াগাতী থানার খাশিয়াল ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁর মান্দায় একটি ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ৫টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের মারধরে চারজন আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগে ছয়জন নারীকে থানায় সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। পুলিশ তাঁদেরকে নাশকতার পরিকল্পনা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তার নারীদের দাবি, তাঁরা একটি চক্রের প্রতারণার শিকার।
২ ঘণ্টা আগে