হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
নরসিংদীর রায়পুরায় আগাম জাতের আমন ধানে ভালো ফলন দেখা দিয়েছে। ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দাম ভালো পাচ্ছেন তাঁরা। তবে, অনেক খেতে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে গিয়ে জানা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ সোনালি রঙের পাকা ধানে ভরে উঠেছে। উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আগাম জাতের ব্রি ধান-৭৫, ব্রি ধান-৯৩, বিনা-৭ ও বিনা-১৭ ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠ থেকে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। শ্রমজীবী মানুষ ভোর থেকে খেতে কাঁচি দিয়ে ধান কাটছেন।
উপজেলার মুছাপুর এলাকার কৃষক দ্বীন ইসলাম ও মনির জানান, এই এলাকায় প্রায় ৪০-৫০ ভাগ আমনখেতে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা গেছে। এরপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। ধানের দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।
কৃষক আব্দুল হামিদ ও আলাউদ্দিনের বাড়ি উপজেলার মুছাপুর এলাকায়। তাঁরা জানান, ধান কাটার পর ঘরে তোলা হয়েছে। ধান আবাদ করা জমিতে আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করার আশা করছেন তাঁরা।
উপজেলার পূর্ব হরিপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, চলতি বছর ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। মণ প্রতি ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে ৩০ মণ ধান বিক্রি করেছি। বোরোধান রোপণের আগে অতিরিক্ত ফসল সরিষা, আলুসহ শীতকালীন সবজি আবাদ করব।
আদিয়াবাদ গ্রামের কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, হাইব্রিড জাতের বিনা-৭, ব্রিধান-৯৩ ও ব্রি ধান-৩৪ জাতের চিকন ধান আবাদ করেছি। এ বছর ধাপে ধাপে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ফলন ভালোই হয়েছে।
বিনা-১৭ ধান আবাদ করেছেন আশরাফপুর গ্রামের কৃষক মো. দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেন, এই জাতের ধান একটু আগে কাটা যায়। এই ধান কাটার পর বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে পারি।
রায়পুরা ইউনিয়নের রায়পুরা গ্রামের কৃষক মোমতাজ হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ব্রি ধান-৭৫ আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এখন আবার জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করার চিন্তা করছি।
উপজেলার আলগী আব্দুল খালেক বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে ধানের চাষাবাদ করেছি। কিছু ফসল ইঁদুরে নষ্ট করেছে। আমার মতো অনেক বর্গাচাষিদের একই অবস্থা। তারপরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।
মহেষপুর এলাকার নুরু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন চাষি জানান, ফসলি মাঠজুড়ে বেশির ভাগ জমিতে ইঁদুর হানা দিয়েছিল। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৭৭৮ হেক্টর জমিতে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। চাষাবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। প্রণোদনায় ৮৫০ জন উপকারভোগী কৃষকের মধ্যে বীজ সার দেওয়া হয়। ৪০ শতাংশ ধান পেকেছে। ইতিমধ্যে ১৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি গড় ফলন প্রায় ১৬ মণ। ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
নরসিংদীর রায়পুরায় আগাম জাতের আমন ধানে ভালো ফলন দেখা দিয়েছে। ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দাম ভালো পাচ্ছেন তাঁরা। তবে, অনেক খেতে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা দেওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে গিয়ে জানা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠ সোনালি রঙের পাকা ধানে ভরে উঠেছে। উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন আগাম জাতের ব্রি ধান-৭৫, ব্রি ধান-৯৩, বিনা-৭ ও বিনা-১৭ ধান কাটা শুরু হয়েছে। মাঠ থেকে বাড়ির আঙিনা পর্যন্ত কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। শ্রমজীবী মানুষ ভোর থেকে খেতে কাঁচি দিয়ে ধান কাটছেন।
উপজেলার মুছাপুর এলাকার কৃষক দ্বীন ইসলাম ও মনির জানান, এই এলাকায় প্রায় ৪০-৫০ ভাগ আমনখেতে ইঁদুরের আক্রমণ দেখা গেছে। এরপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। ধানের দাম ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।
কৃষক আব্দুল হামিদ ও আলাউদ্দিনের বাড়ি উপজেলার মুছাপুর এলাকায়। তাঁরা জানান, ধান কাটার পর ঘরে তোলা হয়েছে। ধান আবাদ করা জমিতে আলু, সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করার আশা করছেন তাঁরা।
উপজেলার পূর্ব হরিপুর এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, চলতি বছর ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। মণ প্রতি ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে ৩০ মণ ধান বিক্রি করেছি। বোরোধান রোপণের আগে অতিরিক্ত ফসল সরিষা, আলুসহ শীতকালীন সবজি আবাদ করব।
আদিয়াবাদ গ্রামের কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, হাইব্রিড জাতের বিনা-৭, ব্রিধান-৯৩ ও ব্রি ধান-৩৪ জাতের চিকন ধান আবাদ করেছি। এ বছর ধাপে ধাপে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের ফলন ভালোই হয়েছে।
বিনা-১৭ ধান আবাদ করেছেন আশরাফপুর গ্রামের কৃষক মো. দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেন, এই জাতের ধান একটু আগে কাটা যায়। এই ধান কাটার পর বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে পারি।
রায়পুরা ইউনিয়নের রায়পুরা গ্রামের কৃষক মোমতাজ হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ব্রি ধান-৭৫ আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এখন আবার জমি তৈরি করে সরিষা আবাদ করার চিন্তা করছি।
উপজেলার আলগী আব্দুল খালেক বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে ধানের চাষাবাদ করেছি। কিছু ফসল ইঁদুরে নষ্ট করেছে। আমার মতো অনেক বর্গাচাষিদের একই অবস্থা। তারপরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।
মহেষপুর এলাকার নুরু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন চাষি জানান, ফসলি মাঠজুড়ে বেশির ভাগ জমিতে ইঁদুর হানা দিয়েছিল। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৭৭৮ হেক্টর জমিতে ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। চাষাবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে। প্রণোদনায় ৮৫০ জন উপকারভোগী কৃষকের মধ্যে বীজ সার দেওয়া হয়। ৪০ শতাংশ ধান পেকেছে। ইতিমধ্যে ১৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি গড় ফলন প্রায় ১৬ মণ। ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
মাদারীপুরে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক গৃহবধূসহ আহত হয়েছে ৩ জন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)...
২ ঘণ্টা আগেখাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ১০ হাজারের বেশি বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে আবাসিক গ্রাহকের বাসাবাড়িতে। কিন্তু অনেকের বাড়ি, এমনকি মূল লাইনেও বিদ্যুতের খুঁটি নেই। স্থায়ী খুঁটিতে সংযোগ টানার কথা বলে খুঁটিপ্রতি ১৭-১৮ হাজার টাকা নেওয়া হলেও সেটি হয়নি।
২ ঘণ্টা আগেআজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানান কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
২ ঘণ্টা আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় মোস্তাকিন মিয়া (১৭) নামে এক কিশোরের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের বসতঘর থেকে মোস্তাকিন মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে